Скачать или смотреть #ভ্রমণ

ভ্রমণ এর এক নতুন পৃথিবী: অদ্ভুত গন্তব্যে অসাধারণ অভিজ্ঞতা ll
...................................................................................
পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আদিবাসী সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য পরিচিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, ভ্রমণযোগ্য পাহাড়, নদী, এবং প্রাচীন মন্দিরের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এখানে পুরুলিয়া ভ্রমণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হল:

প্রধান দর্শনীয় স্থান:
আয়োধ্যা পাহাড়: পুরুলিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটনস্থল, আয়োধ্যা পাহাড় তার শান্ত পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে আয়োধ্যা মন্দির এবং অন্যান্য প্রাচীন মন্দির রয়েছে। এটি ট্রেকিং এবং পিকনিকের জন্য একটি আদর্শ স্থান।

বাগরা মন্দির: পুরুলিয়া শহরের কাছেই অবস্থিত এই মন্দিরটি শিবকে উৎসর্গীকৃত। মন্দিরের আশেপাশের পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ স্থান।

চরিদা গ্রাম: চরিদা গ্রাম তার চাউ নৃত্য এবং চাউ মুখ তৈরির জন্য পরিচিত। এই গ্রামে গিয়ে আপনি চাউ নৃত্য দেখার পাশাপাশি আদিবাসী সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কংসাবতী বাঁধ: পুরুলিয়া শহরের কাছে অবস্থিত কংসাবতী বাঁধ একটি গুরুত্বপূর্ণ সেচ বাঁধ। এখানে আপনি নৌকাবিহারের মাধ্যমে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

জোরবাংলা মন্দির: বাঘমুণ্ডি গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দিরটি তার অসাধারণ স্থাপত্যশিল্পের জন্য বিখ্যাত।

রঘুনাথগঞ্জ: এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশ শহরের বাইরে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য উপযুক্ত।

পাখি পাহাড়: পাখি পাহাড় একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থান যেখানে পাখি দেখার সুযোগ রয়েছে। পাহাড়ের উপরে উঠলে আশপাশের দৃশ্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

কুদু পাহাড়: যারা ট্রেকিং পছন্দ করেন, তাদের জন্য কুদু পাহাড় একটি জনপ্রিয় স্থান। এখান থেকে পুরুলিয়া জেলার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, বিশেষ করে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়।

ভ্রমণের সেরা সময়:
শীত (অক্টোবর থেকে মার্চ): শীতকালে পুরুলিয়ার আবহাওয়া খুবই মনোরম থাকে, যা ভ্রমণ, ট্রেকিং এবং অন্যান্য আউটডোর কার্যকলাপের জন্য উপযুক্ত।
বর্ষা (জুন থেকে সেপ্টেম্বর): বর্ষাকালে পাহাড় এবং চারপাশের এলাকা সবুজে ভরে ওঠে, তবে ভারী বৃষ্টি চলাকালীন কিছু জায়গায় যাতায়াত কঠিন হতে পারে।
গ্রীষ্ম (মার্চ থেকে জুন): গ্রীষ্মকাল অত্যন্ত গরম হতে পারে, তবে পাহাড় এবং শান্ত পরিবেশ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।
কিভাবে পৌঁছাবেন:
ট্রেন: পুরুলিয়া কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য শহরের সাথে ভালভাবে যুক্ত রয়েছে। পুরুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন এখানে প্রধান পরিবহন কেন্দ্র।
রাস্তা: কলকাতা থেকে প্রাইভেট গাড়ি বা বাসে পুরুলিয়া পৌঁছানো সম্ভব। কলকাতা থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বিমান: কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (২৯০ কিমি) হল সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর, এখান থেকে ট্যাক্সি বা বাসে পুরুলিয়া যাওয়া যায়।
স্থানীয় খাবার:
লুচি-আলু ভর্তা: একটি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি প্রাতঃরাশ, যা লুচি (গভীর তেলে ভাজা রুটি) ও আলু ভর্তার সাথে পরিবেশন করা হয়।
শর্ষে ইলিশ: ইলিশ মাছের একটি বিখ্যাত বাঙালি রান্না, যা সরষে মাখন দিয়ে তৈরি করা হয়।
পান্তা ভাত: গরমের দিনে খাওয়া হয় এমন একটি খাবার, যেখানে ভাত পচে একটু টক হয়ে যায় এবং মাছ বা তরকারি দিয়ে পরিবেশন করা হয়।
থাকার ব্যবস্থা:
পুরুলিয়াতে বিভিন্ন ধরনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন সরকারী অতিথি নিবাস, বাজেট হোটেল, রিসোর্ট এবং পরিবেশবান্ধব থাকার ব্যবস্থা। আয়োধ্যা পাহাড়ের কাছাকাছি বা অন্যান্য পর্যটন স্থানগুলোর কাছে থাকার সুবিধা পাওয়া যায়।

পুরুলিয়া এক একটি শান্ত, প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার স্থান, যা প্রকৃতিপ্রেমী এবং সাহসী পর্যটকদের জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য।

দেখার জন্য ধন্যবাদ
অনুগ্রহ করে লাইক, সাবস্ক্রাইব এবং শেয়ার করুন।
thanks for watching
please like,subescribe and share.

#shortvideo
#cute
#cinematic
#cinema
#travel
#broken hill travel guide
#travel vlogs
#travel rishikesh
#travel mussoorie
#travel uttarakhand
#travel life
#travel tips
#travel srilanka
#srilanka travel
#india travel
#travel guide
#song
#views