Скачать или смотреть Hashi - Rokonuzzaman Khan (হাসি - রোকনুজ্জামান খান ) // আবৃত্তি // বিধান চন্দ্র রায়

কবি রোকনুজ্জামান খান এর লেখা কবিতা "হাসি"
আবৃত্তি করেছেন বিধান চন্দ্র রায়।
Poem Hashi - Poet Rokonuzzaman Khan
Recitation Bidhan Chandra Roy.

কবি পরিচিতি
ষাটের দশকে শিশু কিশোরেরা আবৃত্তি করেছে তার লেখা ছড়া ও কবিতা। নৃত্যের তালে হারমনিয়াম ও ঝুমুরের সাথে উচ্চারিত হয়েছে তার লেখা।
-
"বাক বাক্‌ কুম পায়রা, মাথায় দিয়ে টায়রা
বউ সাজবে কাল কি, চড়বে সোনার পালকি"
-
পাঠ্য বইতে অন্তভূক্ত হয়েছে তার লেখা। কিংবা মায়েরা বাচ্চাদের ঘুম পাড়াতো তাঁর  কবিতা আওরে।"হাট্টিমাটিম টিম"ও "খোকন খোকন ডাক পাড়ি", বিছানায় শুয়ে মুখস্ত হায়ে যেত শিশুদের।
-
সবার প্রিয় দাদাভাই রোকনুজ্জামান খান ছিলেন শিশু সাহিত্যিক, শিশু সংগঠক,কবি,ছড়াকার ও সাংবাদিক।সৃষ্টিশীল ও সাংগঠনিক কর্মের পুরস্কার স্বরূপ পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৮),  শিশু একাডেমী পুরস্কার (১৯৯৪), একুশে পদক (১৯৯৮) আরো রয়েছে অনেক স্বীকৃতি ও সম্মাননা।
-
রোকনুজ্জামানের কর্ম জীবন শুরু কলকাতার ইত্তেহাদে (১৯৪৭)। পরে শিশু সওগাত (১৯৪৯) ও দৈনিক মিল্লাত (১৯৫১) পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।তারপর বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাকে (১৯৫৫)যোগ দেন। শিশু- কিশোরদের উপযোগী কচিকাঁচার আসর বিভাগের পরিচালক হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।
-
তার দাম্পত্য সঙ্গী ছিলেন, "সওগাত" সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের কন্যা নূরজাহান বেগম। নূরজাহান বেগম ছিলেন সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকার সম্পাদক ।
-
দাদাভাই’ এর জন্ম  ১৯২৫ সালের ৯ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে, নানার বাড়িতে। তার নানা রওশন আলী চৌধুরী ছিলেন "কোহিনূর" পত্রিকার সম্পাদক। তার পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ভবানীপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মৌলভী মোখাইরউদ্দীন খান, মায়ের নাম রাহেলা খাতুন।
-
রোকনুজ্জামানের সব থেকে  বড় অবদান ‘কচি-কাঁচার মেলা’ (১৯৫৬) নামে একটি শিশুসংগঠন প্রতিষ্ঠা। সেগুনবাগিচায় এই ভবন তৈরি হয় তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায়।  এখন এর শাখা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে শিশুদের গান, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও শিশুদের মনে নীতিজ্ঞান, দেশপ্রেম ও চারিত্রিক গুণাবলি জাগ্রত করার জন্য এই প্রচেষ্টা।পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য রয়েছে "কাকলী পাঠাগার"।
-
১৯৯৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ৭৪ বছর বয়সে সবাইকে ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি।তাকে পরদিন বিকালে সেগুন বাগিচায় মেলা ভবনের দক্ষিণ পূর্ব কোণে সমাহিত করা হয়।

বিধান চন্দ্র রায় ☔
১৫-০৫-২০২২,ঢাকা।