Скачать или смотреть শীতের অন্যতম সব্জী লাউ। ছাঁদ কৃষিতে ২য় ধাপে রোপণের পদ্ধতি দেওয়া হলো।

সমস্ত প্রশংসাই মহান আল্লাহর । বর্তমান সময়ে শহরের ছাঁদ কৃষি ধিরে ধিরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । সেই সাথে ছাঁদ কৃষিতে সব্জি চাষের প্রবনতা আগের যে কোন সমযয়ের থেকে বেড়েছে । ১ম এর মুল কারন হলো বাজারের সব্জিতে বিষ দেওয়ার নিময়টি না মেনে বিষ স্পে করার পরেই সব্জি তুলে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা । ২য় সব্জি তরতাজা রাখতে ফরমালিন মিশ্রিত পানি দিয়ে বেশ কয়েক দিন ভালো রাখা হয়। শহরের মানুষ নিরাপদ খাদ্য শাক সব্জি চায় কিন্তু বাজারের তা তেমন পাওয়া যায় না । যাদের সুযোগ আছে তারা নিজেরা নিজেদের বাড়ির খালি ছাঁদে শাক সব্জি ফল ও ফুল উৎপাদন করে খেয়ে থাকেন । বাজারের সব্জি থেকে বহু গুন সুস্বাদু এই ছাঁদ কৃষির শাক সব্জি । তাই নিজেদের উৎপাদিত সব্জি যে এক বার করে খেয়েছেন তারা এখন নিয়মিত করে খেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । অনেক সময় সফল হচ্ছেন আবার কখনো পোকা মাকড়ে নষ্ট করে দিতেছে । আমরা যারা ছাঁদ কৃষির সাথে জরিত আছি তাদেরকে তাদের প্রথম কাজটি ছাঁদ কৃষির উপযোগি করে মাটিটি তৈরির বিষয়টি ভালো ভাবে আয়ত্তে করতে হবে । ছাঁদ কৃষির মুল ভিক্তি হলো সুষম সার ব্যবস্থাপনা যুক্ত মাটি তৈরি করে নেওয়া । সঠিক নিয়ম মেনে মাটি তৈরি করতে পারলে গাছ সুস্থ্য থাকবে ফলন ও ভালো হবে এবং গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে । একটু চেষ্টা করলে ছাঁদ কৃষির মাটি খুব সহজ ভাবেই বানাতে পারবেন। গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসমের মাটিতে শাক সব্জি ফলানোর পরে সেই মাটি টি শীত কালীন শাক সব্জি চাষের জন্য উপযোগি করে নিতে হবে । প্রথমে আমরা একটু মাটি চিনবার চেষ্টা করি । যে মাটিতে পানি ঢাললে সাথে সাথে শোষন করে নেয়, তার নাম বেঁলে মাটি। আমরা সাধারনত এই জাতীয় মাটিকে ভিটি বালু বলি। নদীর চরে যে বালু থাকে সেটাই বেঁলে মাটি। বেঁলে মাটিতে হিউমাস থাকে না। বেঁলে মাটি শুকালে কোন চাকা বাধে না। ময়লা, আবর্জনা, গাছ-পালা ও জীব জন্তু পচে যে সার তৈরী হয়, তাকেই হিউমাস বলে। বালু ৫০% আর হিউমাস ৫০% মিশ্রিত করলেই দোআঁশ মাটি তৈরী হয়। স্বাভাবিক ভাবে আমাদের দেশের বর্ষায় জমিতে পলিমাটি চলে আসে সেই মাটি দেখা যায় বেশী ভাগই দোআঁশ মাটি হয়ে থাকে। এই মাটিতে পানি ঢাললে ধীরে ধীরে শুষে নেয়।দোআঁশ মাটি শুকালে চাকা বাধে তবে সামান্য আঘাতেই ভেঙ্গে চুরচুমার হয়ে যায়।এই দোঁআশ মাটিতে যে কোন ফুল ফল শাক সব্জি খুবই ভাল হয়ে থাকে । তা ছাড়া এক মৌসমে ছাঁদ কৃষিতে চাষ করার পর’ পরের মৌসমে ফসল এই মাটিতে তেমন ভালো হবে না এর কারন মাটির তেমন শক্তি থাকে না । তাই নতুন করে মাটি শুকিয়ে নিয়ে হিউমাস দিতে হবে । প্রশ্ন চলে আসবে আমরা হিউমাস কই পাবো বা কি ভাবে দিবো । শীতকালীন সব্জির জন্য মাটিতে হিসাব করে প্রতি ৫ বস্তা ( সিমিন্টে বস্তার মাপ ) মাটির সাথে ৩ বস্তা পচা বা শুকনা গোবর মিশিয়ে দিয়ে দিব । সব কিছু পচানোর জন্য ১০০গ্রাম ইউরিয়া সার দিয়ে দিতে হবে ।সাথে জিপসাম সার ১০০ গ্রাম’ ডেপ সার ১০০ গ্রাম’ পটাশ ১০০ গ্রাম’ দস্তা সার ৫০ গ্রাম । ছত্রাকনাশক ম্যানসার ২০ গ্রাম দিতে হবে । বোরন সার ১০ গ্রাম দিতে হবে।সাথে ভিজানো চুন দিয়ে দিবেন চুনের পরিমান গোলানো চুন ২ কাপ পরিমান ভিজানো চুন পানিতে ভালো ভাবে মিশাইয়া দিতে হবে ।সব কিছু মাটিতে ভালো ভাবে মিশানোর পড়ে চুনের পানি দিয়ে দিবেন পরে মাটির টিভি করে পলিথিন দিয়ে মাটি ঢেকে দিবেন । ১৫ থেকে ২০ দিন পরে মাটি খুলে ১ দিন রোদে শুকিয়ে নিতে হবে । তাহলে মাটিতে আর গ্যাস জমে থাকবে না । আমরা এই ভাবে শীত কালীন সময়ের জন্য শাক সব্জি ফল ও ফুল জন্য মাটি বানিয়ে নিতে পারি । এই মাটিতে শাক সব্জি ফল ও ফুল চাষের জন্য উপযোগি হয়ে গেল । আপনারা এখন নিজের খুশি মতো চারা ও বিজ রুপন করতে পারেন ।আমার ইউটিউবের চ্যানেলে ছাদ কৃষির উপযোগি করে আরো বেশ কিছু মাটি তৈরির পদ্ধতি সহ নানা বিষয তুলে ধরেছি । চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিবেন ধন্যবাদ ।