Скачать или смотреть ৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে হঠাৎ বাসস্ট্যান্ডে সিঙ্গারা বিক্রি করতে দেখলেন বিচারপতি ম্যাডাম!!!

শ্রোতাবন্ধু, এক সন্ধ্যায় যখন শহরের আকাশ ঢেকে গিয়েছিল ঘোর কালো মেঘে, আর ঝমঝম বৃষ্টির ফোঁটাগুলো আছড়ে পড়ছিল শহরের প্রধান বাস টার্মিনালের পুরোনো টিনের ছাদে, ঠিক তখনই সেই হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সূচনা হলো। আট বছরের এক শিশুর ভেজা ঝুড়িতে মাত্র দশটি মুচমুচে সিঙাড়া অবশিষ্ট। তার ভেজা চোখ কেবল বিক্রি না হওয়া সিঙাড়ার দিকেই স্থির নয়, বরং তার অসুস্থ পালক মায়ের জীবনদায়ী ওষুধের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টাকার দিকে স্থির। ঘড়িতে চারটা বেজে গেলেও ভাগ্যের চাকা যেন আজ থেমে আছে। দারিদ্র্যের প্রতীক তার ফর্সা, কিন্তু ছেঁড়া জামাগুলো বৃষ্টির জলে সিক্ত। তবুও তার কোমল কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে, "গরম সিঙাড়া, গরম সিঙাড়া!"
যাত্রীদের ঔদাসীন্য যখন সেই শিশুর ক্ষীণ কণ্ঠস্বরকে উপেক্ষা করছে, ঠিক তখনই টার্মিনালের এক কোণে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নেওয়া পাঁচজন লোক চোখে চোখ মেলাল। তারা সাধারণ পথচারী নন, তারা হলেন—শহরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মহলের প্রধান নিরাপত্তা দলের সদস্যরা। নেতৃত্বে ছিলেন ক্রুর স্বভাবের সিকিউরিটি চিফ বিনয় সিং। তার সঙ্গী-সাথীরা—অশ্বিন রায়, বিশাল গোয়েল, প্রকাশ গুপ্ত এবং অনিল শর্মা—তাদের চকচকে পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে ছিল নির্দয়তার ছায়া। তারা হয়তো জানত না, এই দৃশ্যটিই তাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির ওপর এক বজ্রপাতের মতো আঘাত হানতে চলেছে, কারণ এই অসহায় শিশুটি আর কেউ নয়—সারা দেশের বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে থাকা একজন ব্যক্তিত্ব—মাননীয়া প্রধান বিচারপতি রিয়া সেনের হৃদয়ের টুকরো। ছয় বছর আগে এক জনাকীর্ণ শিল্প মেলায় হারিয়ে যাওয়া সেই সন্তানকে তিনি আজও তিল তিল করে খুঁজছেন।