✔️জান্নাতি পোষাকের রং কি হবে জেনে নিন :
• দুই জন ব্যক্তি কথা মহান আল্লাহ বলেছেন । জা...
✔️শুক্রবার যে আমল করলে আল্লাহ খুশি হয়ে যান : • শুক্রবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল, যে আমল...
✔️আবু হুরাইরা (রা.) মসজিদে বিড়াল নিয়ে ডুকার ঘটনা:
• আবদুর রহমান থেকে যেভাবে হয়ে উঠলেন আবু হুরা...
#নেক_আমলের_প্রতিদান
আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, ‘তোমার রবের ইবাদত করতে থাক, যে পর্যন্ত না মৃত্যু আসে।’ (সুরা হিজর : ৯৯)।
আল্লাহ তায়ালা মৃত্যু আসার আগ পর্যন্ত বান্দাকে তার ইবাদত-আমল অব্যাহত রাখতে বলেছেন। যারা আল্লাহর হুকুম যথাযথ মেনে চলবে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের বিভিন্ন সফলতা ও প্রতিফল লাভের কথা আমরা কোরআন ও হাদিসের আলোকে দেখতে পাই। নিচে কয়েকটি সফলতার দিক উল্লেখ করা হলো।
#স্রষ্টা_ও_সৃষ্টির_ভালোবাসা : যে মহান আল্লাহর সঙ্গে নেক আমলের মাধ্যমে সম্পর্ক ঠিক রাখে, আল্লাহ তার দুনিয়ার সম্পর্ক ঠিক করে দেন। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা মানুষের অন্তরে তার ভালোবাসা, #হৃদ্যতা এবং তার #মর্যাদা ও #সুখ্যাতি দুনিয়ায় বৃদ্ধি করে দেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাদের জন্য (মানুষের অন্তরে) ভালোবাসা তৈরি করে দেন।’ (#সুরা_মারিয়াম : ৯৬)।
#রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন আল্লাহ কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন, তখন তিনি জিবরাঈলকে ডেকে বলেন, আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন তাই তুমিও তাকে ভালোবাসো। তখন জিবরাঈল (আ.) তাকে ভালোবাসেন। অতঃপর জিবরাঈল আসমানে ঘোষণা করে দেন যে, আল্লাহ অমুক বান্দাকে ভালোবাসেন তাই তোমরাও তাকে ভালোবাসো। তখন আসমানবাসীরাও তাকে ভালোবাসে এবং তার ভালোবাসা পৃথিবীবাসীদের মধ্যেও গ্রহণ করা হয়। (অর্থাৎ পৃথিবীবাসীর অন্তরেরও তার ভালোবাসা তৈরি করে দেওয়া হয়, যে কারণে পৃথিবীবাসীরাও তাকে ভালোবাসতে থাকে)।’ (#বুখারি : ৭৪৮৫)
#চিরস্থায়ী_জান্নাতের_সুখ : মুসলমানের সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে, পরকালীন জীবনে চিরস্থায়ী সুখময় জান্নাত লাভ করা। আর আল্লাহ তায়ালা সঠিক আমলের বিনিময়ে বান্দাকে পরকালীন শাস্তি থেকে মুক্তি দিয়ে আখেরাতে চিরস্থায়ী জান্নাত দান করবেন। বাহ্যিক চেহারা বিবেচনা না করে আল্লাহ তায়ালা সেদিন সঠিক আমলের বিবেচনায় বান্দাকে জান্নাত দান করবেন। এতে করে হোক সে নারী অথবা পুরুষ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যে পুরুষ অথবা নারী ঈমানের সঙ্গে নেক আমল করে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তথায় তাদেরকে বেহিসাব রিজিক দেওয়া হবে।’ (#সুরা_মুমিন : ৪০)
#সুখী_স্বচ্ছন্দময়_জীবন : #চিরস্থায়ী সফলতা দেওয়ার পাশাপাশি আমলের বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে দুনিয়াতেও উত্তম ও সুখী স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন দান করেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যে নেক আমল করে সে পুরুষ হোক কিংবা নারী হোক সে ঈমানদার। আর আমি তাকে (দুনিয়াতে) পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে (আখেরাতে) তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরস্কার দেব, যা তারা করত।’ (সুরা নাহল : ৯৭)
#বরকতের_উন্মুক্ত_দরজা : #পার্থিব জীবন চলার পাশাপাশি পরকালীন কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় আল্লাহ তায়ালার ওপর পূর্ণ আস্থা ও ভয়ভীতি রেখে ইবাদত করলে, আল্লাহ তায়ালা বান্দার জন্য আসমানের বরকতের দরজাগুলো খুলে দেন। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেজগারি অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানি ও পার্থিব নেয়ামতসমূহ উন্মুক্ত করে দিতাম।’ (#সুরা_আরাফ : ৯৬)
#পার্থিব_দুশ্চিন্তা_দূর_হয় : যে বান্দা আল্লাহর জন্য হয়ে যায়, আল্লাহ তায়ালাও স্বয়ং তার জন্য হয়ে যান। অর্থাৎ যে ব্যক্তি দুনিয়াবি কাজকর্ম পেছনে ফেলে আল্লাহর গোলামি ও দাসত্বকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নেয়, আল্লাহ তায়ালাও তার দুনিয়াবি সব সমস্যাগুলো দূর করে দেন। এ সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান! তুমি আমার ইবাদতের জন্য মনোনিবেশ কর, তা হলে আমি তোমার অন্তরকে সচ্ছলতায় ভরে দেব এবং তোমার হাত রিজিক দ্বারা পূর্ণ করে দেব। হে আদম সন্তান! তুমি আমার থেকে দূরে যেওনা, (যদি দূরে সরে যাও) তা হলে আমি তোমার অন্তর অভাবে পূর্ণ করে দেব এবং তোমার দুহাতকে কর্মব্যস্ত করে দেব।’ (#মুস্তাদরাক_হাকেম : ৭৯২৬)
#সম্পদ_ও_সন্তানে_বরকত : গুনাহের কথা স্মরণ করে তওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসলে আল্লাহ তায়ালা তার বিগত জীবনের গুনাহগুলো মাফ করে দেন। শুধু তাই নয়! #তওবা-#ইস্তেগফার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার #ধন_সম্পদ,সন্তান-সন্ততিতেও বরকত দান করেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তোমরা যদি ক্ষমা প্রার্থনা কর, তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য #নদী-#নালা প্রবাহিত করবেন।’ (সুরা নূহ :১০-১২)
আর যারা আল্লাহর বিধানাবলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে আমার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সঙ্কীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব।’ (#সুরা_তাহা : ১২৪)।
সুতরাং #দুনিয়া ও আখেরাতে ওই ব্যক্তি সফল, যে তার নিজের জীবনকে গনিমত মনে করে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করে। পক্ষান্তরে ওই ব্যক্তি নির্বোধ, যে তার জীবনকে নফসের খায়েশাত অনুযায়ী অতিবাহিত করে অথচ নিজেকে সফলকাম মনে করে। #sesh_jamanar_poth #আল_বাহর #ওয়াজ #জুম্মা_মোবারক #মিজানুর_রহমান_আজহারী
Информация по комментариям в разработке