Bengali book review | moyurakkhi tumi dile📒#shorts #viral #ytshorts #shortsfeed #book #bengali
#trending #shortsvideo #trendingshorts #bookreview #shortsvideo #bangla #viralshorts #love #thriller #booklover #travel #youtubeshorts #youtube #video #suspense #story #novel
@bengalibookworms
bengali book review
bengali book review channel
book review
bengali thriller book review
bangla book review
bengali books
book review in bengali
bengali historical book review
bengali thriller books
best bengali books to read
book review bangla
bangla boi review
book review in bangla
book review channel
bengali book haul
bengali best book
bengali story book review
বাংলা ভিডিও বই দাও
হর্ষ দত্তের উপন্যাস পাঠ এই প্রথম। উপন্যাসটি নিয়ে দীর্ঘ্য ভাবনার কথা বলার আগে, উপন্যাসের সার:
ময়ুরাক্ষী একটি নদীর নাম, ‘ময়ুরাক্ষী’ নদীর মত উছল একটি মেয়ের নাম! ময়ুরাক্ষী অদ্ভুত, সে স্বাধীনচেতা, সে খামখেয়ালী। আর তার খামখেয়ালীপনার ফসল এই উপন্যাস। এখানে কাহিনী শুরু হয় ময়ুরাক্ষী, সুনীত, হায়াৎ ও চয়নের মীরপুর ভ্রমনের মধ্যে দিয়ে। বেশ কেটেছিল মীরপুরের দিনগুলি, ময়ুরাক্ষীর পাগলামী সকলকে এমন আবিষ্ট করে রেখেছিল! কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটলই, ঘটল ফেরার সময়! ভয়াবহ গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেল হায়াৎ আর চয়ন! সুনীত আর ময়ুরাক্ষী বেঁচে গেল, তবে কিছুদিনের জন্য ময়ুরাক্ষী হারাল তার ভাষা। ভাষা ফিরলে ময়ুরাক্ষী জানাল যে সন্তানসম্ভবা! কে তার সন্তানের পিতা? সুনীত যে ভেবেছিল সে একদিন ময়ুরাক্ষীর সাথে ঘর বাধবে, কি হবে তার আশার? কি হবে ময়ুরাক্ষী ও তার সন্তানের?
হর্ষ দত্তের এই উপন্যাস মোটের উপর ভালই লেগেছে, তবে ভাল লাগার সাথে খামতির কথা বলাও জরুরী। উপন্যাসে লেখক সমহারে সকলের চরিত্রায়ন করেন নি। লেখক অল্প কথায় যেখানে মুনীর আলীর ভারি চমৎকার ছবি একেছেন, সেখানে তিনি অনর্থক দীর্ঘ্য অংশ ব্যায় করেছেন ময়ুরাক্ষীর পিতা মৌলিনাথের চরিত্র বর্ণনায়। অথচ এও বলেছেন যে ছেলেমেয়ের জীবনে তার ভুমিকা প্রায় নেইই। ময়ুরাক্ষীর বোন মধুমিতার অংশও এই একই দোষে দুষ্ট। মধুমিতার কলেজের বর্ননাও লেখক দেন কিন্তু শেষপর্যন্ত তার চরিত্রের গতি করেন না। ময়ুরাক্ষীর ভাই, সোমনাথের চরিত্রটি কেন অমন, কেন সে রাগচটা, লেখক তার ব্যাখ্যা দেন না। সোমনাথের মতই একই বঞ্চনার শিকার মৃত চয়নও। তার কথাও বিশদে আসেনা। তার ভুমিকা যেন শুধু হায়াৎ সম্পর্কিত রহস্যকে প্রলম্বিত করার জন্যেই! তা ছাড়া, অ্যাক্সিডেন্টের পরে ময়ুরাক্ষীর হঠাৎ মাতৃনির্ভরতা, বিশেষত, গর্ভাধানের খবর জানানোর সময়, তা কি শুধু বিপর্যয়ের অভিঘাতেরই ফল? না কি আসলে ময়ুরাক্ষীর চরিত্রায়নে লেখকের দুর্বলতা! উপন্যাস গঠনে এসব দুর্বলতা থেকে গেছে এবং মধ্যে মধ্যে তা পাঠের গতিকে স্লথও করে দিয়েছে।তবু, এইসকল দুর্বলতা নিয়েও, উপন্যাসের কিছু অংশ আমার ভালো লেগেছে, এবার তার কথা বলি-
এই বইয়ের শুরুতে মীরপুরের ওই চাদনী রাতের বর্ণনা আমাকে মোহিত করেছে। “মাথার উপর নিটোল চাঁদ। জোৎস্নার মায়াবী আলোয় ধুয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।...চাঁদের আলো ছাড়া আর কোন আলো রাত্রির সঙ্গসুখের জন্য জেগে নেই।...ময়ুরাক্ষীর পেছনে আখের ক্ষেত... আখখেতের মাথা ভর্তি লম্বা, ধারালো, সবুজ আর শুকনো পাতা নিবিড় জোৎস্নায় মুখ ডুবিয়ে স্থির হয়ে আছে।...মীরপুরে মধ্যরাত্রি...একটু শীত শীত করছে। ফাল্গুনের শেষ সপ্তাহ।...”পড়তে পড়তে, এই বর্ণনায় আমার আসলে মনে পড়ছে, এক দশক আগের এক হিমসিক্ত রাত! বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে এক গ্রামে। রাত্রির প্রথম যামে, হ্যালোজেন জ্বলা ওই দ্বীপের মত বিয়েবাড়ি ছাড়া সমস্ত গ্রাম ডুবে গেছে এক সুষুপ্তিতে। মাথার উপর এক বিরাট বর্তুল চাঁদ ভেসে আছে শুধু একা! চাঁদের সেই কুয়াসামাখা দুধের সরের মত মায়াবী আলোয় পথপার্শ্বের গৃহস্থবাড়ির নিকোনো উঠান হয়ে উঠেছে ধবধবে সাদা, যেন কেউ শ্বেত মর্মর বিছিয়ে দিয়েছে, অপেক্ষা করছে যেন রাত ঘন হয়ে ওঠার, অপেক্ষা করছে যেন কোন পরীদলের নেমে আসার! মনে পড়ছে, আমি, আর সেই নারী সকলের চেয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে দাড়িয়ে আছি এক ঝুপসি গাছতলায়। সমস্ত চরাচর জুড়ে নৈস্তব্ধতার মাঝে শুধু আমি আর সে, আর আমাদের নির্বাক হৃদয় আকুতি!
আমার আর সেই নারীর হৃদয় আকুতি কোথাও পৌছায়নি, পৌছানর কথাও ছিল না! তবে তাকে হারিয়ে ধীরেধীরে এটা বেশ বুঝেছি যে ভালবাসার চেয়ে ভালবাসাহীনতা কে মেনে নিতে অনেক বেশী সাহস লাগে। নিজের মনকে নিস্পৃহ করে রাখতে অনেক বেশী সংযম প্রয়োজন হয়। হায়াৎও তার ভালবাসাহীনতাকে মেনে নিয়েছিল কিন্তু সে আর যুঝতে পারছিল না। পীরের মাজারে, নিভৃত দুপুরে, ময়ুরাক্ষীর বাড়িয়ে দেওয়া হাত তাই সে ফেরাতে পারেনি!এক নারী হৃদয়ের উষ্ণতা, একজন নারীর প্রেম, হায়, আজও কত মহার্ঘ! যারা বিকিকিনিতে ব্যার্থ, তারাই বুঝি কেবল জানতে পেরেছে হৃদয়ের সে দামের কথা!
ময়ুরাক্ষী অবশ্য কাউকে তার মহার্ঘ ভালবাসা দিতে ইতস্তত করেনি। সে নির্দ্বিধায় তার বুকের নরম উষ্ণতা দিয়ে ঢাকতে চেয়েছে সুনীত, হায়াৎ, চয়ন, সকলের, সক্কলের ভালবাসাহীনতার শৈত্য! ময়ুরাক্ষী কি উন্মাদ? কে জানে! তবে, ময়ুরাক্ষীর এই পাগলামী আমাকে আরো এক নারীর কথা বড় মনে পড়িয়ে দেয়। সেই নারী বলেছিল যে, সমাজ যদি তাদের এমন করে শাসনের নিগড়ে বেধে না রাখত, মেয়েরা হয়ত তবে তাদের ভালবাসাকে চতুর্দিকে ফাগের আবিরের মতই ছড়িয়ে দিতে পারত! এমন হলে, সত্যি, আমরা তৃষিত প্রেমিক পুরুষেরা তবে নতজানু হয়ে আঁজলা পাততাম নারীর পায়ে, নারীর সে প্রেম, ভালবাসা, যৌনতার অমৃতময় কৃপাস্রোতের ধারাতলায়! নারীর ভালবাসা আস্বাদনের জন্যও এ জীবনও তো বড় ছোটো!
অপরের দয়িতা, সে নারীর কথা শুনে সেদিন আমার অন্যান্য নারীর কথা মনে হয়েছিল। মনে পড়ছিল, রাহুল সংস্কৃত্যায়নের ‘ভোল্গা থেকে গঙ্গা’র অধ্যায়ে অধ্যায়ে বর্ণিত দিবা, লেখা, সোমা নাম্নী নারীদের কথা! মানবসভ্যতায় কেবল তখনই বোধহয় মানুষ স্বাধীন ছিল যখন আমাদের হৃদয়ও ছিল স্বাধীন।
Информация по комментариям в разработке