পিপার প্রজেক্ট মূর্খকে কোটিপতি আর বেইমানকে — হতাশ করে !!!
Published at ১৫ই নভেম্বর ২০১৬......
বিনা বিনিয়োগে সুযোগ ও ভাগ্য সৃষ্ট আপনার হাতে —
সঠিক লক্ষ্য, উপযুক্ত উদ্যম ও কারিগরি সহযোগিতা — অসম্ভবকেও সম্ভব করে। Piper Cultivation is best Cultivation.
মাত্র দু’টো পিপার গাছ ও আপনার দু’টো বছর ধৈর্য্য — আপনাকে কোটিপতি করতে যথেষ্ট।
আসুন, মাত্র ১ দিনের ৪ ঘন্টা ট্রেনিং নিয়ে, শর্তসাপেক্ষে বিনামূল্যে দুটো কাটিং সংগ্রহ করুন এবং সারা বছর ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ গাইডের মাধ্যমে বাড়ির কাঠ জাতীয় গাছে — মহা-ঔষধি পরগাছা পিপার গাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হন। আমাদের পদ্ধতিতে বার বার কাটিং বা চারা সংগ্রহের ঝামেলা নেই। একবার রোপন করলে সারা জীবনেও বংশ শেষ হয়না এই গাছের। ট্রেনিং শেষে উপহারে দেওয়া দুটো অতি-দুর্লভ কাটিং-ই আপনার জীবনকাল চাষের জন্য এবং আপনার জীবন বদলানোর জন্য যথেষ্ট। আপনি আর্থিক লাভবান হন, সাথে আপনার আশেপাশের গ্রাম বাংলায় অর্থনীতিকে সচ্ছলতা প্রদান করুন এবং দেশকে বৈদেশিক মুদ্রায় সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠতে সহযোগিতা করুন। শীঘ্রই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ট্রেনিং ও কাটিং বিতরণ শুরু হতে চলেছে। চাষকৃত পূর্ণাঙ্গ গাছের মাত্র ২৫% খরচ কেটে নিয়ে বাজারকরণ আমরাই (উদ্যোক্তা) করে থাকি।
***এছাড়াও, পিপার গাছ গরিবের ডাক্তার :
পিপার গাছের ডাল ও শিকড়ে আছে অসাধারণ ঔষধিগুণ ঃ
১. গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করেও কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে ;
২. খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধা মন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে ;
৩. পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ সারাতে পিপার লতা অনেক উপকারী ;
৪. স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমণ করে ;
৫. ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এবং শরীরের ব্যথা সারায় ;
৬. সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে অব্যার্থ মহৌষধ হিসেবে পিপার শিকড় কাজ করে ;
৭. কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে ;
৮. মাত্র এক ইঞ্চি পরিমাণ ১ বছরের পুরাতন পিপার গাছের টাটকা শক্ত লতার সাথে আদা পিষে খেলে সর্দি সমস্যা থেকে ম্যাজিকের মতো মুক্তি পাওয়া যায় ।
উপযুক্ত স্থান :
ছায়া বা আধো ছায়া জায়গাতে পিপার গাছ ভালো হয়। সাধারণত বসতবাড়ির আঙ্গিনায় এ ধরনের স্থানে পিপার গাছ লাগানো হয়। পিপার গাছ জলাবদ্ধতা সইতে পারে না। তাই নিচু বা জল আসে বা জমে থাকে এরূপ জায়গায় পিপার গাছ না লাগানো ভালো। বড় কোনো গাছ যেমন জিওল বা জিকা, মেহগিনি, আম, কাঁঠাল, সুপারি, নারিকেল, সজিনা, তেতুল ইত্যাদি গাছের পাশে পিপার গাছ লাগানো উচিত। ১০টি পিপার গাছ লাগাতে প্রায় ১ শতক জায়গা লাগে। জমির পরিমাণ নির্ভর করে বাউনি তুলে দেয়া গাছের সংখ্যা ও দূরত্বের ওপরে।
জমি ও গর্ত তৈরি :
লাগানোর জায়গা ঠিক করার পর সেখানে সবদিকে এক হাত মাপে গর্ত তৈরি করতে হবে। সে গর্তের মাটির সাথে ১৫-২০ কেজি গোবর সার, ২০০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমওপি, ১০০ গ্রাম জিপসাম ও ২৫ গ্রাম জিংক সালফেট সার মিশিয়ে দিয়ে গর্ত ভরাট করে ফেলে রেখে দিতে হবে ১০/১২ দিন। গর্ত ভরাটের পর তা যেন ঢিবির মতো উঁচু হয়।
চারা তৈরি :
বয়স্ক গাছের কাণ্ড ও শেকড়ের গিঁট কেটে মাটিতে পুঁতে দিলে, সেখান থেকেও চারা বের হয়। কৃষকরা নিজেদের পিপার গাছ থেকে সাধারণত: কাটিং করে চারা তৈরি করে। যদি অন্যের কাছ থেকে কিনতে হয় সেক্ষেত্রে প্রতিটি চারার দাম ১৫০-২৫০ টাকা হতে পারে।
রোপণ :
বর্ষার আগে বা বর্ষায় গর্ত করে পিপার গাছের লতার বা শেকড়ের কাটিং সরাসরি মাটিতে পুঁতে দিলে, সেখান থেকে নতুন গাছের জন্ম হয়। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কাটিংয়ে অন্তত তিনটি/পাঁচটি গিঁট থাকে, যার দুই থেকে তিনটি গিঁট মাটির নিচে পুঁততে হবে। এ ছাড়া পলিব্যাগেও বীজ থেকে বা লতার কাটিং থেকে চারা তৈরি করে, সেসব চারা গর্তে লাগানো যায়। গর্তে জৈব সার দিলে বাড়-বাড়তি ভালো হয় । বসতবাড়ির আঙ্গিনাতেই পিপার গাছের চাষ করা হয়।
বাউনি দেয়া :
আম, জাম, কাঁঠাল, সুপারি, নারিকেল, দেবদারু, নিম, মেগগিনি, শিরিষ, সজিনা প্রভৃতি গাছে পিপার গাছ লতিয়ে বাড়তে পারে।পিপার গাছ একবার কোনো গাছকে আঁকড়ে ধরলে তাকে ঝড়ও আর সরাতে পারে না। আম ও জিকা/কচা গাছে তুলে দিলে ভাল ফলন দেয়।
গোড়ায় মাটি তোলা :
বর্ষার আগে প্রতিটি পিপার গাছের গোড়ায় মাটি তুলে উঁচু করে দিতে হয়।
সার ব্যবস্থাপনা :
পিপার চারা বা কাটিং লাগানোর ১০/১২ দিন আগে গোবর ও অন্যান্য সার গর্তের মাটিতে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর প্রতি পিপার গাছের গোড়ায় বছরে একবার বর্ষা শেষে ২৫-৫০ গ্রাম ইউরিয়া দিতে হবে। সার দেয়ার সময় পিপার গাছের গোড়ায় মাটি হালকা করে কুপিয়ে সেচ দিতে হবে।
সেচ ব্যবস্থাপনা :
পিপার গাছে সাধারণত: কোনো সেচ দেয়া লাগে না। তবে চৈত্র-বৈশাখ মাসে পিপার গাছের গোড়ায় নিয়মিতভাবে সেচ দিলে ভালো হয়।
আহরণ :
পিপার চারা বা কাটিং লাগানোর ২/৩ বছর পর আহরণযোগ্য হয়। ৫ থেকে ৭ বছরের পিপার গাছ ভাল মান সম্পন্ন হয়। কাণ্ড বা লতা কাটার পর অবশিষ্টাংশ থেকে আবার নতুন লতা কাটার পর অবশিষ্টাংশ থেকে আবার নতুন করে পিপার গাছের ডাল বা লতা বের হয়। সেসব লতা আবার পরে পিপার গাছে পরিণত হয়। তবে ৫ থেকে ৭ বছর পর সম্পূর্ণ পিপার গাছ তুলে আবার নতুন গাছ লাগানো ভাল।
ফলন :
বয়সভেদে পিপার গাছের ফলনও ভিন্ন হয়। ৩-৪ বছর বয়েসী একটি পিপার গাছ ১.৫-২.০ কেজি হয়। কিন্তু ৮-১০ বছরের একটি গাছ ৮ কেজি হয়।
মজুদ ও বিক্রি :
পিপার গাছ কাটার পর দ্রুত শুকাতে থাকে। শুকালে তার বাজারমূল্য কমে যায়। এজন্য কাটা কাণ্ড বা শিকড় বা ডালপালা সবসময় জল দিয়ে ভিজাতে হয়। আঁটি বেঁধে তাতে জলের ছিটা দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হয়। জলে ভেজা কাপড় বা চট দিয়ে পেচিয়েও রাখা হয়।
বিঃ দ্রঃ পিপার গাছের কোচি পাতা পশুদের ভীষণ প্রিয়। তাই পশুদের হাত থেকে বাচাতে, পিপার চারা আরোহী গাছে উঠে না যাওয়া পর্যন্ত -- পিপার চারাকে ঘেরা দেবার ব্যবস্থা করা হয়।
আগ্রহীরা ইচ্ছুকরা সত্তর যোগাযোগ করুন —
WhatsApp no : ৭০৪৭১১৩৩৫৮
অথবা,
Gmail ID : [email protected]
Информация по комментариям в разработке