Скачать или смотреть দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকার ৩২ বর্ষপূ্র্তি, Daily Andolonerbazer 32 years passed, Mithu Choudhury

দেখতে দেখতে আমার সন্তান ৩২ বছর পার করে ৩৩ বছরে পদার্পন করলো। আমার কাছে মনে হয় এই তো সেদিন, কুষ্টিয়া কলেক্টরেটের সামনে ওলি চাচা’র ছাপড়া রেস্টুরেন্টে বসে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হয়ে গেল একটা দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করা হবে। সেই চায়ের টেবিলে আমরা কয়জন মুকুল খসরু, বকুল চৌধুরী, হাসানুল কবীর নাজির, এস এম হালিমুজ্জান আড্ডা দিতে দিতে আবিষ্কার করলাম ‘আন্দোলনের বাজার’। দিনটি ছিল বুধবার ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১। সবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জনতার বিজয় অর্জিত হয়েছে, কিন্তু দেশের আপামর মানুষের মৌলিক অধিকার তখনো আর্জন হয়নি। তাই সংবাদপত্রের আন্দোলনের মাধ্যমে জনতার দাবী প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে নাম দেয়া হয় ‘আন্দোলনের বাজার’। এই পত্রিকার লোগোতে একটি মুষ্টিবদ্ধ হাত রয়েছে, যেখানে পাঁচটা আঙ্গুল সেই আঙ্গুল গুলোর নাম, অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং বাসস্থান আর মুঠোর মধ্যে রয়েছে গণতন্ত্র।
জন্ম থেকে এই পত্রিকা দিয়ে সাধারন মানুষের মৌলিক অধিকার এবং নিপিড়ন ও নির্যাতন বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদের নতুনত্ব সৃষ্টিতে মনোযোগী হয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে গণমানুষের মুখপত্র। বিশ্বাস করা হয়েছে এটা আমার পত্রিকা নয় দেশের এক প্রান্তিক প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তিক মানুষের নিজের পত্রিকা।
প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি কুষ্টিয়া তথা ঐ এলাকার সব শ্রেণীর মানুষের কাছ থেকে। রাজনীতি থেকে সামাজিক, অনিয়ম, দূর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা, আমলাতন্ত্র, প্রশাসনিক জটিলতা, অব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস ইত্যাদি থেকে উন্নয়নের গতিমাত্রা ও চাহিদা রেখেছিল এই বাজারের পাতায় পাতায়।
তাই এই জনপথের মানুষের কাছে আন্দোলনের বাজার হয়ে উঠে তাদের নিজস্ব মুখপত্র। এমনটাই বাসনা নিয়েই প্রকাশনা শুরু করেছিলাম বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথের জন্ম দিন ১৫ বৈশাখ ১৩৯৮, ৮ মে ১৯৯১ বুধবার জন্ম হয় আন্দোলনের বাজার পত্রিকার।
এই পত্রিকার ৩৩ বছরের পথ চলার শুরুতে বর্তমান সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু এবং সংশ্লিষ্ট সকল সাংবাদিক, দাপ্তরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সকল পাঠক ও শুভাকাঙ্খী, অবিভাবকসহ বৃহত্তর কুষ্টিয়াবাসীর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আমি আমার সকল ভক্ত অনুরাগীর প্রতি বিনীত সালাম ও নমস্কার জানাই, দীর্ঘ ১১ বছর আমি নির্বসিত থাকার পরও তারা আমাকে অন্তর থেকে স্বরণ রেখেছেন।
আমার সন্তান আন্দোলনের বাজার এভাবেই বেঁচে থাকুক গণমানুষের হৃদয়ে এটুকুই প্রত্যাশা এই শুভক্ষনে…. ধন্যবাদ