গোরা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | পর্ব ১ থেকে ১০ | Gora | Rabindranath Tagore |

Описание к видео গোরা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | পর্ব ১ থেকে ১০ | Gora | Rabindranath Tagore |

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস "গোরা" বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। ১৯০৯ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি ধর্ম, জাতীয়তাবাদ, সমাজ এবং মানবতার মতো গভীর বিষয়গুলোর উপর আলো ফেলে।

উপন্যাসের মূল কাহিনি:

গোরা, যার পুরো নাম গৌরমোহন, একজন ব্রাহ্মণ পরিবারের যুবক। সে নিজেকে একজন আদর্শ হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তার ধর্ম এবং জাতির প্রতি অগাধ বিশ্বাস তাকে একটি কঠিন এবং কঠোর চরিত্রে পরিণত করে। কিন্তু গল্পের মধ্যেই একসময় গোরা জানতে পারে যে সে আসলে একজন আইরিশ পিতা-মাতার সন্তান, এবং তাকে হিন্দু ধর্মে দত্তক নেওয়া হয়েছিল।

গোরার এই সত্য জানা কেবল তার আত্মপরিচয়ের সংকটই নয়, বরং তার ধর্মীয় এবং জাতীয়তাবাদী ধারণাগুলোকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। উপন্যাসে গোরার বন্ধু বিনয় এবং প্রেমিকা সুচরিতা চরিত্র দুটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মধ্যকার সম্পর্ক এবং বিতর্ক সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানসিকতার প্রতিফলন দেখায়।

থিম বা বিষয়বস্তু:

"গোরা" মূলত ধর্ম, জাতীয়তাবাদ এবং মানবতার মধ্যে সংঘাতের এক অসাধারণ চিত্র তুলে ধরে। রবীন্দ্রনাথ এই উপন্যাসের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, মানবতার উপরে কোনো ধর্ম বা জাতের স্থান নেই।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:

1. ধর্মীয় সংকট: গোরার ধর্মীয় অনুশাসন এবং তার সত্যিকারের পরিচয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব গল্পটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে।


2. সমাজ সংস্কার: হিন্দু সমাজের রক্ষণশীল দিক এবং ব্রাহ্ম সমাজের আধুনিকতার মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট।


3. মানবতাবাদ: গোরার শেষ পরিবর্তন দেখায়, মানুষকে মানুষের দৃষ্টিতেই দেখা উচিত, ধর্ম বা জাত দিয়ে নয়।



সমাপ্তি:

"গোরা" শেষ হয় গোরার আত্ম-উপলব্ধি দিয়ে, যেখানে সে বুঝতে পারে জাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উপন্যাসের মাধ্যমে একদিকে সমাজের কুসংস্কারের সমালোচনা করেছেন, অন্যদিকে মানবতাবাদী আদর্শকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন।

আপনি যদি ধর্ম, সমাজ এবং ব্যক্তিগত সংকটের গভীরে প্রবেশ করতে চান, তবে "গোরা" অবশ্যই পড়া উচিত।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке