Скачать или смотреть রাত দুটোর সময় মন্দির খোলা হয়, ভারতের কোথায় এমন মন্দির আছে জানেন?

গ্রহণের সময় পৃথিবীর কোন মন্দির খোলা থাকে না। না ঐ সময় কোন পুজো হয়, না কোন ভক্ত সেখানে প্রবেশ করতে পারেন, না ওই সময় ঈশ্বরকে ভোগ প্রদান করা হয় কোনটাই এই সময় করা যায় না। কিন্তু কেরালার থিরুবারাপ্পু তে শ্রীকৃষ্ণের মন্দির কিছুটা অন্যরকম। একবার সূর্যগ্রহণের দিন এই মন্দিরকে বাকি মন্দিরের মতোই বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই একটা অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটলো যা শুনে চমকে যাবেন আপনিও। পরের দিন যখন পূজারী মন্দির খোলেন তখন শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। কিন্তু কেন এত অবাক হওয়ার মতন কি এমন ঘটনা ঘটলো?

পুরোহিত মশাই দেখেন মূর্তিটি আগের থেকে অনেক রোগা হয়ে গেছে। মন্দিরটি তার স্থাপত্যশৈলীর জন্য যতই বিখ্যাত হোক না কেন সূর্য গ্রহণের দিনে অদ্ভুত ঘটনা কিন্তু মানুষের মনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ওই সময় আদি শংকরাচার্য মন্দিরে দর্শন করতে আসেন। তিনি শ্রীকৃষ্ণের এরকম রুগ্ন মূর্তি দেখে বলেন, যে সূর্য গ্রহণের সময় অতটা সময় শ্রীকৃষ্ণকে খাবার না দেওয়ার জন্যই তার এমন অবস্থা হয়েছে। সেই দিনের পর থেকে আজ অব্দি এই মন্দিরে প্রতিদিন সময় সময়ে ভোগ দেওয়া হয় ঈশ্বরকে।

এমনকি সূর্যগ্রহণ চন্দ্রগ্রহণের দিনও খাবার দেওয়া হয়। রাত তিনটের সময় এই মন্দিরের প্রথম ভোগ নিবেদন করা হয়। সঠিক সময় ভগবানকে ভোগ দেবার জন্য রাত দুটোর সময় মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আর সেই কারণে এখানে পুরোহিত মশাই চাবির সঙ্গে সঙ্গে দরজা খোলার জন্য একটা হাতুড়ি নিয়ে যান, কোন কারনে যদি চাবি দিয়ে সেই দরজা খোলা না যায় তাহলে যাতে হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে দরজা খুলতে পারেন। অর্থাৎ কোনভাবেই ভগবানকে অভুক্ত রাখা যাবে না।

এছাড়াও এই মন্দিরকে ঘিরে আরো অনেক কাহানি শোনা যায়। এমন যদি আপনিও যদি নানা কাহিনী শুনত #amazingfact #mythology #shrikrishna