Скачать или смотреть হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করলে সম্পত্তির উপর অধিকার থাকবে কি || হিন্দু উত্তরাধিকার আইন

হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করলে সম্পত্তির অধিকার থাকবে কি???
Conversation deprives one of property rights : Hindu Law.
হিন্দু ধর্ম যুগের সঙ্গে চলমান ধর্ম।
হিন্দু আইন আনুপূর্বিক সংবিধিবদ্ধ (codified) নয়। এগুলো বহুলাংশে ধর্মের নামে প্রথা ভিত্তিক আইন। জটিলতা নিরসনের জন্য আইনগুলো কোডিফাই করা দরকার।
বাংলাদেশে সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার দিয়ে অভিন্ন পারিবারিক আইন করা হয়নি। এখানে মুসলমানদের জন্য মুসলিম পারিবারিক আইন; হিন্দু, বৌদ্ধ ও বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীর জন্য হিন্দু আইন ও প্রথাভিত্তিক আইন এবং খ্রিষ্টানদের জন্য আলাদা আইন চালু আছে। এই ব্যবস্থায় কেউ ধর্মান্তরিত হলে সেই ব্যক্তি কোন পারিবারিক আইনের আওতায় পরবে, তা নির্ধারণ করা জটিল।
“বাবার মৃত্যুর আগে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হলে, ছেলে সম্পত্তির ভাগ পাবে না। কারণ তার পিন্ডদানের অধিকার থাকে না। পিন্ডদানের ক্রমঅধিকারী ব্যক্তিরাই উত্তরাধিকারী হয়। বাংলাদেশে ইহাই আইন। “ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে পিতার পিন্ডদান করলেও সে এখন ব্রাত্য। হিন্দু আইনে ব্রাত্য বা পতিত ব্যক্তি উত্তরাধিকার পায় না। তাছাড়া তিনি এখন মুসলিম পারিবারিক আইনের আওতাধীন। একারণে তিনি হিন্দু পারিবারিক আইনের আওতায় সম্পত্তির, ঐতিহ্যের বা কৃষ্টির ভাগিদার নন। তিনি শুধুমাত্র তার সোপার্জিত সম্পদের মালিক। আইনগতভাবে তার পিতার সম্পত্তির জীবনসত্ত্ব এখন তার মা ভাই-বোন কিংবা অন্যন্য হিন্দু উত্তারাধীকারীগনের। হিন্দু আইনে মৃত ব্যক্তির পুত্র কিংবা কন্যা না থাকলে বোনের পুত্র সন্তান হলে সেই সন্তান সম্পত্তির পূর্ণ অধিকার পাবে।”
কেউ ধর্মান্তরিত হলে সম্পত্তি কেন পাবে না?
এর এক নম্বর কারণ হল, ধর্মান্তরিত হলে সম্পত্তি পাওয়ার কোনো আইন নেই। ধর্মান্তরিত হলেও সম্পত্তি পাবে – ইংরেজরা এই বিধান চালু করে ১৮৫০ সালে Cast Disabilities Removal Act নামে একটি আইন করেছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধানের ১৪৯ অনুচ্ছেদে “প্রচলিত আইনের কার্যকরতা অব্যাহত থাকিবে” মর্মে ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবিধানের সেই ঘোষণার আলোকে ১৯৭৩ সালে Bangladesh Laws (Revision and Declaration) act প্রণয়ন করা হয়– যে আইনটির আওতায় প্রচলিত বিভিন্ন আইন আত্তীকরণ করা হয়েছিল। তবে ইংরেজদের বানানো Cast Disabilities Removal Act-1850 গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ধর্মান্তরিত হলেও পৈত্রিক সম্পত্তিতে উত্তরাধিকার পাওয়ার কোনো বিধান এখন নেই। অর্থাৎ ১৯৭৩ এর আইনের মাধ্যমেই ধর্মান্তরিত নারী-পুরুষ উত্তরাধিকার সম্পত্তি পাবেন না এবং উক্ত আইনটি ১৯৭৩ সাল থেকেই প্রচলিত। উক্ত আইনের ব্যাপারে মন্তব্য করেন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ লজ রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লারেশন অ্যাক্ট, ১৯৭৩-এ ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনটি বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেনি। বর্তমানে দেশে যে আইন রয়েছে এতে ধর্মান্তরিত হলে হিন্দু নারী-পুরুষ সম্পত্তির অধিকার হারাবেন।
পরিশেষে একথাও বলতে চাই,
ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের সম্পত্তির উত্তরাধিকার থাকবে না– এই মর্মেও বাংলাদেশের সংসদে কোনো কোডিফাইড আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এই জায়গায় ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের অধিকারের বিষয়টি আলাদা আলাদা প্রথাভিত্তিক পারিবারিক আইনের উপর ন্যস্ত হয়ে আছে। ফলে বিষয় ও ক্ষেত্রভিত্তিক অস্পষ্টতা আছে এবং জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই ধর্মান্তরিত ব্যক্তির উত্তরাধিকারের বিষয়গুলো সুবিন্যস্ত, সুনির্ধারিত ও সুস্পষ্ট করে আইন প্রণয়ন করা দরকার। সেই মর্মে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন পুর্বক আজকের আলোচলা এখানেই শেষ করছি।
এমন অসংখ্য আইন ভিত্তিক আলোচনা দেখতে, শুনতে জানতে এই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন, বেল আইকনের নোটিফিকেশন অল করে দিন। ভিডিওটি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করুন।

#No_one_said_that
#lawofattraction
#law
#lawyer
#lawyers
#lawfirm
#marriage
#marriagegoals
#marriageadvice
#divorce
#divorcedwoman
#viralvideo
#viral
#video
#bangladesh
#creations
#gaibandha
#india
#jurney
#viralshorts
#viralreels
#viralshorts