Скачать или смотреть জোয়ার ভাটার কি?/এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা/জোয়ার ভাটার সুফল ও কুফল/what is Tidel/

জোয়ার ভাটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা :-------

সৌরজগতের নিয়ম হচ্ছে সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রতিটি গ্রহ ঘুরবে।সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান তৃতীয়।পৃথিবীর ঠিক পাশেই চাঁদের অবস্থান। মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। যাকে মহাকর্ষ বল বলে। সূর্য এবং চন্দ্র পৃথিবীকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। সূর্যের ভর চন্দ্রের তুলনায় দুই কোটি ষাট লক্ষ গুন বেশী। কিন্তু পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দুরত্তের তুলনায় সূর্যের দূরত্ব ৩৯০ গুন বেশি। সূর্যের আকর্ষণ বল বেশী হলেও পৃথিবী থেকে দূরে অবস্থান করায় এর কার্যকারিতা কমে যায়। তাই পৃথিবীতে সূর্যের তুলনায় চাঁদের আকর্ষণ বল বেশী। সেজন্যে জোয়ার ভাটার জন্যে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা চাঁদের। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০ সালে সেলিউকাস প্রথম ধারণা করেন যে জোয়ার ভাটার জন্যে চাঁদের আকর্ষণ রয়েছে। পৃথিবী এবং চাঁদ কাছাকাছি অবস্থান করার জন্যে তারা একে অপরকে নিজের দিকে টানতে থাকে। এই আকর্ষণ কঠিন বস্তুর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও তরলের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। যে কারণে সমুদ্রের পানি চাঁদের দিকে সরে আসে। তখনই জোয়ারের সৃষ্টি হয়। ঠিক একই সময়ে চাঁদের বিপরীত পাশে মহাকর্ষ শক্তি কমে যায় ফলে কেন্দ্রবিমোখি বলার প্রভাবে জোয়ারের সৃষ্টি হয়। চাঁদের দিকের জোয়ারকে মুখ্য এবং বিপরীত পাশের জোয়ারকে গৌণ জোয়ার বলে। এই সময় পৃথিবীর বাকি দুই পাশের পানি কোন যায়। তাকে ভাটা বলে আমবর্শা বা পূর্ণিমার তিথিতে চাঁদ,পৃথিবী,সূর্য একই সরলরেখায় অবস্থান করে।তখন তাদের মিলিত আকর্ষণের ফলে তীব্র জোয়ারের সৃষ্টি হয়।তাকে ভরা কাটাল বলে । আবার কৃষ্ণপক্ষ ও শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে চাঁদ এবং সূর্য পৃথিবীর সাথে সমকোণে অবস্থান করার ফলে তাদের আকর্ষণ বিপরীতমুখী থাকে তখন সূর্যের আকর্ষণে সূর্যের দিকে এবং চাঁদের আকর্ষণে চাঁদের দিকে পানি ফুলে উঠে। একে মরা কাটাল বলে।

জোয়ার ভাটার সুফল :------

জোয়ার ভাটার ব্যাবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। জোয়ার ভাটার ব্যাবহার করে লবণ উৎপাদন করা যায়। জোয়ার ভাটার ব্যাবহার করে নদী বন্দরে জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জোয়ার ভাটার ব্যাবহার করে নদীতে পলির পরিমাণ ঠিক রাখা যায়

জোয়ার ভাটার কুফল :------

কৃষি জমিতে পানি এসে তা চাষের উনোপযক্ত করে তোলে। জোয়ারের পানিতে নদী ভাঙনের ফলে জনবসতি হুমকির মুখে পড়ে যায়। জোয়ার ভাটার ফলে নদীর মিষ্টি পানি নোনা হয়ে তা সেচ কাজে জন্যে উপযুক্ত থাকে না

ধন্যবাদ।।।।।