কেমন হয় আঙ্গুর, পার্সিমন, কমলা, মাল্টা এসব বিদেশী ফল যদি আপনার ছোট ছাদবাগান কিংবা মাঠ বাগানেই নিজের গাছেই ফলন নিতে পারেন? একদমই আমদানি করা ফলের মতোই যেগুলো আমরা বাজার থেকে কিনে খাই?
কিভাবে হবে সেটা বলার আগে একটা বিষয় জেনে নিই চলুন, বাংলাদেশে যেভাবে আম, কাঁঠাল, লিচি, পেয়ারা খুব সহজেই চাষ হয় সেভাবে কেন আঙ্গুর, পার্সিমন, কমলা মাল্টা সহ এসব বিদেশী ফল গুলো চাষ হয় না?
প্রত্যেকের একটি সহজ ও কমন উত্তর হবে যে, ফলগুলো চাষের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া বাংলাদেশে নেই এজন্য হয় না। বাংলাদেশে শুধুমাত্র দেশী ফল গুলো চাষ করা যাবে।
তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্যে আরেকটি প্রশ্ন, বলুনতো দেশী ফল কোনগুলো? আপনার উত্তর যদি হয় আম, কাঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা সহ এসব কমন ফল তাহলে বলবো আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
লিস্টে শুধুমাত্র আম বাদে সবগুলো ফলই বিদেশী ফল, এমনকি আমকেও ইন্দোনেশিয়ান কিংবা দক্ষিণ ভারতীয় ফল বলা হয় কোথাও কোথাও।
কলার উৎপত্তি ইন্দো মালয় অঞ্চলে, পেয়ারা আমেরিকান ফল, লিচুর উৎপত্তি চীনে।
শুধু ফল ই নয়, সবজি কিংবা ফুল সবকিছুতেই বিদেশী গাছের ছড়াছড়ি।
এই ফল গুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশী বিদেশী সৌখিন বাগানীদের হাতে আমাদের অঞ্চলে প্রবেশ করেছে এবং ধীরে ধীরে আমাদের দেশী ফল হিসেবে প্রচলিত হয়ে গিয়েছে।
তাহলে পার্সিমন, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর কেন এখনো চাষ শুরু হয়নি?
এর সংক্ষিপ্ত উত্তর হচ্ছে এগুলোর প্রজাতির বিশালতা এবং আবহাওয়া।
বিশ্বের অধিকাংশ আঙ্গুর, ডালিম, পার্সিমন, কমলা, মাল্টা, প্লাম, পীচ, জুজুবি চাষ হয় সাব আর্কটিক থেকে সাবট্রপিক্যাল ক্লাইমেট এর এড়িয়া গুলোতে অর্থাৎ শীতপ্রধান বা নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল। এসব ফলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী আবহাওয়া হচ্ছে সাবট্রপিক্যাল।
বাংলাদেশের আবহাওয়া সাবট্রপিক্যাল থেকে ট্রপিক্যাল। 
পৃথিবীতে ১০-২০ হাজার আঙ্গুরের জাত রয়েছে, সাইট্রাস জাতীয় ফল অর্থাৎ কমলা মাল্টা, জাম্বুরা ও লেবু সাদৃশ ফলের প্রজাতির সংখ্যাও হাজার হাজার। পার্সিমনের জাতের সংখ্যাও অসংখ্য, শুধু জাপান ও চীনের পার্সিমনের হাজারের অধিক জাত পাওয়া যায়।
এসব জাত গুলোর একেকটি একেক আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
বাংলাদেশে এসব ফল চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা টা হচ্ছে গ্রীষ্মকালে খুব বেশী তাপমাত্রা (কিছু সময়ের জন্য ৩৮-৪০° সেলসিয়াস পার হয়ে যাওয়া)।
আঙ্গুর, পার্সিমন, কমলা মাল্টা সহ এই ধরনের ফল গুলো যেসকল অঞ্চলে চাষ হয় সেখানে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা সাধারণত ৩৪-৩৬° সেলসিয়াস এর বেশী হয় না সেটা জাপান হোক কিংবা চীন।
তাহলে আমাদের জন্য সলিউশন কী বলুন তো?
আমাদের জন্য সলিউশন হচ্ছে আমাদের আবহাওয়ার মতো আবহাওয়ার যেই দেশ ও অঞ্চল গুলো আছে সেখানে চাষ হওয়া আঙ্গু্র, পার্সিমন, কমলা মাল্টা, জুজুবি এর জাত গুলো নিয়ে আসা। অর্থাৎ বিশেষ সে-ই জাত গুলো যেগুলো ৩৮° সেলসিয়াস এর বেশী তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে।
বাংলাদেশের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ও কৃষিতে অগ্রসর দেশগুলো হচ্ছে থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভিয়েতনাম, চীনের দক্ষিনাঞ্চল তথা চীনের গুয়াংডং প্রদেশে, গুয়াংসি প্রদেশ, হাইনান প্রদেশ এবং তাইওয়ান।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এসব দেশ ও অঞ্চলের চাষ হাওয়া বাংলাদেশে চাষ উপযোগী কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর পার্সিমনের জাতগুলো আপনারা কোথায় পাবেন? এটার ওয়ানস্টপ সলিউশন পেতে পারেন আমাদের গ্রীন স্টেশন এগ্রোর কাছে।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের উনার Owner জনাব মাসুদ রানা সাহেব নিজেই এসব দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন বিদেশী ফলের জাত সংগ্রহ করেন যেগুলো আমাদের বিডি প্লান্ট স্টেশন পেইজ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারাও আমাদের দেশে সদ্য নিয়ে আসা জাত গুলোর চারা খুব সহজেই পেতে পারেন।
আমরা পার্সিমন, কমলা, মাল্টা, আঙ্গুর সহ বিভিন্ন বিদেশী ফলের বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী ডজন ডজন জাতের চারা বিক্রি করি যেগুলো সদ্যই বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাদৃশ দেশ ও অঞ্চল গুলো থেকে আমদানি করা।
বিদেশী ফলের বাংলাদেশে চাষের সম্ভাবনা, বাংলাদেশে ট্রায়াল এবং এসব ফলের আমদানি করা চারা কিনতে এবং নিয়মিত আমাদের আপডেট পেতে BD Plant station পেইজ লাইক ফলো দিন, চারা কিনতে এবং আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট https://bdplantstation.com/
জয়েন করুন আমাদের Green Station agro ফেসবুক গ্রুপে।
#PlantStationNursery
#GreenStationAgro
#FruitPlantSaplings
#GraftedPlantsBD
#ImportedPlantsBD
#FruitGardenBangladesh
#RareFruitPlants
#AgricultureBangladesh
#HighQualityPlants
#PersimmonPlantBD
#GrapePlantBD
#MaltaPlantBD
#OrangePlantBD
#ExoticFruitsBD
#FruitFarmingBD
#BangladeshNursery
#OnlinePlantShopBD
#HomeGardenBD
#OrganicFarmingBD
#FruitTreeSaplings
                         
                    
Информация по комментариям в разработке