ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা কেবল ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, সামাজিক দায়িত্ব এবং মানবিক আচরণকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো “প্রতিবেশীর হক” বা অধিকার। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, একজন প্রকৃত মুসলমান সেই, যার হাত ও জিব থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে। এ বিষয়টিকে এতটাই গুরুত্ব সহকারে দেখানো হয়েছে যে, এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “জিবরীল আমায় প্রতিবেশীর হক সম্পর্কে এত বার উপদেশ দিলেন যে, আমি মনে করলাম প্রতিবেশী বুঝি উত্তরাধিকারী হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
আজকের সমাজে আমরা যত বেশি আধুনিক হচ্ছি, ততই প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ছে। আমরা একে অপরের খবর রাখি না, দরকারে সাহায্যে এগিয়ে যাই না, বরং সামান্য ঝামেলাতেই রাগ, হিংসা ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করি। অথচ ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—প্রতিবেশী কষ্ট পেলে, সে যদি অমুসলিমও হয়, তবুও তার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। একে অপরের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানো, তাকে কষ্ট না দেওয়া, তার গোপনীয়তা রক্ষা করা, এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখা—এসবই ইসলামের শিক্ষা।
এই পবিত্র শিক্ষা কেবল ধর্মীয় দায়িত্বই নয়, বরং একটি উন্নত সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সমাজের শান্তি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহনশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের নিজেদের ঘর থেকে, নিজের পাশের মানুষ থেকে এই চর্চা শুরু করতে হবে।
আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি—আমরা কেবল ভালো মুসলমান হবো না, বরং একজন দায়িত্বশীল ও সদয় প্রতিবেশী হিসেবেও পরিচিত হবো। এটাই আমাদের ইসলামি শিক্ষা, এটাই মানবিকতা।ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা কেবল ইবাদতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, সামাজিক দায়িত্ব এবং মানবিক আচরণকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো “প্রতিবেশীর হক” বা অধিকার। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, একজন প্রকৃত মুসলমান সেই, যার হাত ও জিব থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে। এ বিষয়টিকে এতটাই গুরুত্ব সহকারে দেখানো হয়েছে যে, এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “জিবরীল আমায় প্রতিবেশীর হক সম্পর্কে এত বার উপদেশ দিলেন যে, আমি মনে করলাম প্রতিবেশী বুঝি উত্তরাধিকারী হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)
আজকের সমাজে আমরা যত বেশি আধুনিক হচ্ছি, ততই প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়ছে। আমরা একে অপরের খবর রাখি না, দরকারে সাহায্যে এগিয়ে যাই না, বরং সামান্য ঝামেলাতেই রাগ, হিংসা ও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করি। অথচ ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে—প্রতিবেশী কষ্ট পেলে, সে যদি অমুসলিমও হয়, তবুও তার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে। একে অপরের দুঃখ-দুর্দশায় পাশে দাঁড়ানো, তাকে কষ্ট না দেওয়া, তার গোপনীয়তা রক্ষা করা, এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখা—এসবই ইসলামের শিক্ষা।
এই পবিত্র শিক্ষা কেবল ধর্মীয় দায়িত্বই নয়, বরং একটি উন্নত সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সমাজের শান্তি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহনশীলতা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের নিজেদের ঘর থেকে, নিজের পাশের মানুষ থেকে এই চর্চা শুরু করতে হবে।
আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি—আমরা কেবল ভালো মুসলমান হবো না, বরং একজন দায়িত্বশীল ও সদয় প্রতিবেশী হিসেবেও পরিচিত হবো। এটাই আমাদের ইসলামি শিক্ষা, এটাই মানবিকতা।
Информация по комментариям в разработке