Скачать или смотреть সিশেলসে শ্রমিক যাবে স্বল্প খরচে | যা বললেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী-সচিব | SEYCHELLES | LABOUR MARKET

#AFRICA_SEYCHELLES__BOESL#বিস্তারিত_জানতে_পুরো_ভিডিও_দেখুন

প্রবাসী সংবাদ (www.probashsangbad.com) নিউজ পোর্টাল ও ইউটিউভ চ্যানেলের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী অধুষ্যিত বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি নেয়া হচ্ছে। যারা বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চান, তারা যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগ[email protected] কিংবা নিচে কমেন্টস করে নিজের পরিচয় ও মোবাইল নম্বর দিয়েও যোগাযোগ করতে পারেন।

সহযোগী চ্যানেল-
World Views
   • কাতারে জনসংখ্যায় শীর্ষ চারে যেভাবে বাংলাদে...  

Bangla Views
   • সুজাতার পান খেতে কোথায় যেতেন প্রবীর মিত্র ...  

সিশেলসের সাথে বাংলাদেশের শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। ফলে বাংলাদেশের দক্ষ ও যোগ্য কর্মীরা স্বল্প খরচেই সেশেলস যেতে পারবেন। একই সঙ্গে সেশেলসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও ওঠে গেল।

রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পূর্ব আফ্রিকার পর্যটনসমৃদ্ধ দ্বীপরাষ্ট্র সেশেলসের সঙ্গে শ্রম সহযোগিতা চুক্তি (এএলসি) স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তির ফলে দ্বীপটিতে বাংলাদেশের বেশকিছু কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ইমরান আহমদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে সেশেলস কর্মী পাঠাতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগবে না। সরকারিভাবে খুবই কম খরচে এ দেশে শ্রমিক যেতে পারবে। তবে কী পরিমাণ শ্রমিক যাবে সেটা নির্ধারণ হবে তাদের চাহিদার ওপর। সেশেলসে শুধু সরকারিভাবে কর্মী যেতে পারবে। বেসরকারি কোনো এজেন্ট সেশেলস কর্মী পাঠাতে পারবে না। সে জন্যই যারা ওই দেশে যেতে ইচ্ছুক তারা কোনো এজেন্টকে টাকা দেবেন না।

তিনি বলেন, সেশেলসে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত। এ দেশে নির্মাণ শিল্পে অধিকাংশ কর্মী কাজ করেন। এছাড়া হোটেল, ট্যুরিজম, স্বাস্থ্যসেবা, হাউস কিপিং, কুক, ভিলা এটেনডেন্ট, কৃষি ও পোল্টি খামার ছাড়াও বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। এছাড়া ফিশিং ও ফিশ ইন্ডাস্ট্রিজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ট্যুরিজম খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য সেশেলসের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব হবে এবং উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও অধিকার সুরক্ষিত হবে।


২০১৮ সালের অক্টোবরে সেশেলস সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া সাময়িক বন্ধ রাখে। এরপর উচ্চ অভিবাসন ব্যয় হ্রাসসহ একটি সুশৃঙ্খল ও কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় সেশেলসে কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে উভয় দেশ শ্রম সহায়তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সেশেলস সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করে। তারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে টেকনিক্যাল সভায় মিলিত হন। পরে ২১ অক্টোবর দুই দেশের সাথে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সেশেলসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজাসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।