Скачать или смотреть KODALA TEA ESTATE & RUBBER GARDEN || কোদালা চা এবং রাবার বাগান|

DONT CLICK IT:   / @iukhansbrainchild  

কোদালা চা বাগানঃ
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দূরে কর্ণফুলী নদীর পাড়ঘেষা উঁচু নিচু টিলা আর ছায়া ঘেরা কোদালা চা বাগান।
চা বাগান বলতেই আমরা সিলেট বুঝি। সম্প্রতি পঞ্চগড়ে চা বাগান তৈরি হলেও, চট্টগ্রামেই যে বিশাল চা বাগান রয়েছে তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। কর্ণফুলী নদীর তীরে এই চা বাগানটি কিন্তু নতুনও নয়, বরং বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন চা বাগান গুলোর একটি।কারো কারো দাবী, কোদালা বাংলার প্রথম চা বাগান।

অবস্থান-ইতিহাসঃ
কোদালা চা বাগান চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত। স্থানীয় ইতিহাস বলে, ব্রিটিশরা কর্ণফুলী নদী দিয়ে আসা-যাওয়ার সময় কোদালায় বিস্তীর্ণ জায়গা দেখে চা বাগান করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৮৯৪ সালে বাগানটি শুরু হয় ব্রিটিশ মালিকানায়, পরবর্তীতে বেশ কয়েকবার এর মালিকানা হাতবদল হয়েছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী ১৯৭৬ সালে তৎকালীন সরকার ব্যক্তি মালিকানায় লিজে চা বাগানগুলো ছেড়ে দেয়। এর মধ্যে প্ল্যাটাস বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে কোদালা চা বাগান পরিচালনা করে আসছে। লোকসানের কারণে ১৯৯৩ সালে প্ল্যাটাস বাংলাদেশ থেকে আনোয়ার গ্রুপ চা বাগানটি লিজ নেয়। তারাও লাভের মুখ দেখতে না পাওয়ায় ২০০৪ সালে ৭ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্র্যাক কোদালা চা বাগানের লিজ নেয়। অন্যরা লাভের মুখ না দেখলেও ব্র্যাকের নির্দেশনায় কোদালা চা বাগান ঠিকই লাভের মুখ দেখতে পাই এবং উন্নতমানের চা উৎপাদন করায় বর্তমানে সুনাম অর্জন করেছে।
কোদালা যাওয়ার উপায়ঃ
চট্টগ্রাম থেকে সড়ক এবং নদীপথে দুভাবেই কোদালা চা বাগানে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই রোডে চলাচলকারী বিভিন্ন বাসে করে সফর-ভাটা(২বার)থেকে সিএনজি অটোরিকশায় নিয়ে সরাসরি পৌঁছে যেতে পারেন আপনার প্রিয় গন্তব্যে। এছাড়াও চট্টগ্রাম শহর থেকে সরাসরি মরিয়ম-নগর চৌমুহনী এসে, সেখান থেকে রিকশা নিয়ে কর্ণফুলী নদীর পাড়, আর নদী পার হলেই পৌঁছে যাবেন চা বাগান। কোদালা চা বাগান যাওয়ার জন্য অগ্রিম অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। তবে বাংলোতে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। কোদালায় আপনার জন্য খাবারে সু-ব্যবস্থা নেই।
কোদালায় কি কি রয়েছে?
বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে সবুজ চা বাগানের সমারোহ। আলো ছায়ার খেলা আর ব্রিটিশ স্থাপত্য রীতিতে বানানো বাংলো-বাড়ি গুলোও দেখার মত। উঁচু নিচু টিলা আর আকা বাঁকা সরু রাস্তা। মন চাইলেই নিরিবিলি এই চা বাগানে নিজের মাঝে হারিয়ে যাওয়া যায়। চা পাতা থেকে চা বানানোর পদ্ধতিটাও উপভোগ করা যায়। 
চা বাগানটি বিভিন্ন অংশ ভাগ করা হয়েছে,একেক সময় একেক অংশে চা পাতা তোলার কাজ হয়। পাতা তোলার মৌসুমে কর্মচারীরা বেশ ব্যস্ত থাকেন।
কোদালায় চা বাগানের পাশাপাশি রাবার ও অন্যান্য গাছের বনায়নও করা হয়েছে। গাছ থেকে রাবার রস সংগ্রহ করা হয়।পরবর্তীতে রস থেকে রাবারের বিভিন্ন আকারের প্লেট বানিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় শুকানোর জন্য।এছাড়াও কোদালায় রয়েছে বাংলো, কৃত্রিম লেক।

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৪২ কিলোমিটার দুরে এই জায়গাটি এক দিনে ঘুরে আসার জন্য খুবই চমৎকার। ছুটির দিনে গেলে একটু ভীড় হলেও অন্য দিনগুলোতে বেশ নিরিবিলিতে আপনি সময় কাটিয়ে আসতে পারেন।
সব মিলিয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।

ভিডিওগ্রাফিতে সহায়তা করেছেনঃ শোয়াইবুল সিজল।
#IUKHAN