Скачать или смотреть গাছ বাড়ি

ঝিনাইদহের গাছবাড়ি--

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণদিয়া গ্রামে এই বাড়িটি গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম।

দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির গাছে ঘেরা বাড়িটি পরিচিত হয়ে উঠেছে গাছবাড়ি হিসেবে। নানা জাতের ফুল, ফল, ক্যাকটাসে ভরা এই বাড়ি। গাছবাড়ি ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন জাতের পাখির অভয়াশ্রম।

মালিক ব্যবসায়ী মো. আমিনুল ইসলাম ঢাকায় বসবাস করলেও বাড়ির সবুজে পড়ে থাকে তাঁর মন। ১৪ বিঘা জমির ওপর নির্মিত তাঁর বিশাল বাড়িতে এখন আছে পাঁচ শর বেশি প্রজাতির দেশি-বিদেশি প্রায় ১০ হাজার গাছ।

জাপান, ফ্রান্স, ইতালি, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, মালয়েশিয়া, ভারতসহ অনেক দেশ থেকে গাছ নিয়ে এসে প্রকৃতিপ্রেমিক আমিনুল ইসলাম রোপণ করেছেন তাঁর বাড়িতে। বিদেশি প্রজাতিগুলোর মধ্যে আছে ক্যাসিয়া, উইসটেরিয়া, কিগেলিয়া ও আমাজন লিলি।

বাড়ির দেয়ালও আচ্ছাদিত ছিল ‘ওয়াল কার্পেট’ নামের একধরনের লতায়।

গাছের সঙ্গে পাখির রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ফুলে-ফলে ভরা গাছ থাকলে পাখিও আসবে।গাছবাড়ি তাই নানা জাতের পাখির নিশ্চিন্ত আশ্রয়ও। অনেক গাছেই নানা প্রজাতির পাখি বাসা বেঁধেছে। পাখিদের থাকার উপযোগী গাছ যেমন রোপণ করা হয়েছে, তেমনি তাদের খাওয়ার উপযুক্ত ফলের গাছও লাগিয়েছেন বাড়ির মালিক। এ ছাড়া এখানে পাখিদের নিয়মিত খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। গাছবাড়িতে গেলে পাখির কলকাকলিতে মন ভরে যাবে।

সূচিশিল্প আমিনুলের মূল ব্যবসা। গ্রামের নারীদের দিয়ে নকশিকাঁথাসহ কাপড়ে নকশা তোলার কাজ করান। নারীরা যাতে এক জায়গায় বসে কাজ করতে পারেন সে জন্য তিনি গ্রামে ২০১৪ সালে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেন। কিন্তু গ্রামের নারীরা সেই পাকা ভবনে বসে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। তাঁরা চাইছিলেন নিজের বাড়িতে বসে সংসারের কাজের ফাঁকে নকশা তোলার কাজটি করতে। এ কারণে বাড়িটি অব্যবহৃত পড়ে থাকে। ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ আমিনুল তখন গাছবাড়ির পরিকল্পনা করেন।

আমিনুল আশা করেন, ভবিষ্যতে একসময় উদ্ভিদ ও জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করাদের জন্য সহায়ক হয়ে উঠতে পারে তাঁর গাছ, পাখি ও মাছের এই সংগ্রহশালা