জীবন আনন্দ দাশের -

Описание к видео জীবন আনন্দ দাশের -

বহু দিন ধরিয়া লক্ষ করা যাইতেছে যে সাহিত্যকেও যেন আজকাল আর উপভোগ করা হইতেছে না। যেন রূঢ়তায় ভোগ করা হইতেছে আজকের ভোগবাদ প্রধান পৃথিবীতে । সাহিত্যের ফুল ছিড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলিতেছে যেন নখ আর দাঁত দিয়ে। মননের আর মনের স্পর্শে তাকে বাচিঁয়ে রাখার প্রচেষ্টা কেন যেন নেই আর মানব সম্প্রদায়ের ভেতরে !
তাই সাহিত্য হইয়া গিয়ছে অনেকটা কমার্শিয়াল। যত জাকজমকতা আজ তাই দেখা যায় গ্রন্থের মলাটে । ললাটে যার অর্থময় কোন জ্ঞানের বচন নেই! জ্ঞানের বিহনে তাইতো প্রেম সৃষ্টি হইতে পারিতেছেনা মানুষের অন্তর্গত হৃদয়ে, প্রাণে-যাহা আলো ছড়াইতে পারিবে সমাজে ।

বিংশ শতাব্দীর সূচনার দিকে সারা বিশ্বের মতো বিশেষ করে ইউরোপের; আমাদেরও সাহিত্যে লাইট এনলাইটমেন্টের সূচনা হয় । আমাদের আকাশে তখন রবীন্দ্র নক্ষত্রের আলো জ্বলিতেছে বহু দিন হয়। আরো অভিনবো, উদ্ভাসিত, অভাবনীয় আর রঙিন সৃষ্টিশীল কিছু আলো সময়ের দাবীতে আসিতে আরম্ভ করিল তখন। আমাদের কবি লেখকদের হাতে সৌন্দর্য সত্য জ্ঞান অনুপম ভালবাসা আরো যত ভালো কিছু ছিল তাদের এক অনন্য সমন্বয় ঘটিয়া আভা ছড়াইতে শুরু করিয়া দিল। যাকে বাঙলা সাহিত্যে আধুনিকতার আলোক সূচনা বলিতে পারা যায় আজ আমাদের এই সময়ে দাড়িয়ে।

বাঙলার আধুনিক সাহিত্য গড়িয়া উঠিল মূলত দীন, হত-দরিদ্র কবি 'জীবনানন্দের ' হাত ধরে। সময়পটে এক চরম মূর্ত-বিমুর্ত ছবি আঁকেন তিনি তার পুষ্পের ন্যায় রংতুলি যেন শব্দগুচ্ছ দ্বারা। ব্যাপক অনিকেতবোধ থেকে দেশাত্মবোধ যে এভাবে কারো জাগ্রত হতে পারে, ইতিহাসের পরিমণ্ডলে বিচরণ করে আধুনিকতা যে এত স্নিগ্ধ হইয়া উঠিতে পারে একমাত্র দেখাইলেন আমাদের কবি জীবনানন্দ দাশ।
তার প্রতি আমাদের বাঙালীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ম্লান হবে না কভূ, বাংলার পথে পথে ঘুরিয়া এই জানিয়াছি আমি..!

তার অনন্যসাধারন কবিতা "মৃত্যুর আগে "। এতটাই চিত্রকল্পময় কবিতা যে জীবন অভিজ্ঞতায় আর আসন্ন কালের প্রতি সুন্দর মনোভাব রাখিয়া আমার একান্ত নিজেরই কথা বলিয়া মনে হইয়াছে!
তাই কয়েকবার গ্রন্থিত পৃষ্ঠার দিকে তাকায়ে পাঠ করিবার পর আবৃত্তি করিবার অর্থাৎ হৃদয় হতেই পাঠ করিবার সাহসটা পাওয়া যায়।
আজিকে সেই প্রয়াসই আমার এই..........


ধন্যবাদ
অজস্র মামুন (কবি)
বুধবার /১১ ভাদ্র - ১৪৩১ /
ঢাকা।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке