Скачать или смотреть নতুন ভূমি আইনে অচিরেই ৬ শ্রেণীর জমির দলিল বাতিল হতে চলেছে।

নতুন ভূমি আইনে অচিরেই ৬ শ্রেণীর জমির দলিল বাতিল হতে চলেছে।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ পেতে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ৫১০ টাকা বিকাশ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। সরাসরি সাক্ষাৎ করে আইনী পরামর্শ নিতে চাইলে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ১৫৩০ টাকা বিকাশ করে সাক্ষাতের সময়সূচি জেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে) নিয়ে চেম্বারে আসতে হবে। ঠিকানা: ব্যারিষ্টার দোলন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস, প্রেস্টিজ হোমস (১ম তলা), চিটাগাং হোটেলের সামনে, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অথবা প্রামাণিক ল’ চেম্বার, জজ কোর্ট চত্ত্বর, কুষ্টিয়া।
#law_tips_bd
#seraj_pramanik
#shortsvideo
#deed
#deedcancel
#দলিল
ছয় শ্রেণির দলিল চূড়ান্তভাবে বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। এখন থেকে দলিল রেজিস্ট্রেশন ও সংরক্ষণ পুরোপুরি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নেওয়া হচ্ছে। ১৯০৮ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত রেজিস্ট্রি অফিসে রাখা সব দলিল ধাপে ধাপে স্ক্যান করে অনলাইনে যুক্ত করা হবে। এর ফলে ঘরে বসেই মোবাইলে দলিল খোঁজা, যাচাই ও ডাউনলোড করা যাবে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে দলিল সংগ্রহ সম্ভব হবে। তবে ১৯৪৭ সাল ভারতপাকিস্তান বিভক্তির দাঙ্গা ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এ সময়ের বহু দলিল হারিয়ে যাওয়ায় সেগুলো অনলাইনে পাওয়া যাবে না। এসব দলিল যাদের কাছে আছে, তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রি অফিসে কপি জমা দিতে হবে। ডিজিটাল দলিল সিস্টেম দুর্নীতি ও প্রতারণা রোধে বড় ভূমিকা রাখবে। আগে দলিল খোঁজার জন্য ঘুষ দিতে হতো কয়েক হাজার টাকা, অথচ সরকারি ফি মাত্র ২০ টাকা। নতুন সিস্টেম চালু হলে এই হয়রানি আর থাকবে না।
ফলে আগামী জুন ২০২৬ সালের মধ্যেই ছয় শ্রেণির দলিল চূড়ান্তভাবে বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জাল, অবৈধ ও বিভ্রান্তিকর দলিল বাতিল করে জুলাই থেকে সারাদেশে বিডিএস (ডিজিটাল ভূমি জরিপ) কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। আর দলিল স্ক্যান ও অনলাইনকরণ চলমান থাকলেও ছয় ধরনের নির্দিষ্ট দলিল স্ক্যান কিংবা ডিজিটাল রূপে রূপান্তর করা হবে না। এসব দলিল আইনি জটিলতা ও জালিয়াতির কারণে বাতিল করা হবে। এ বিষয়ে--। যেসব ছয় শ্রেণির দলিল বাতিল হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ১. হেবা দলিল। যেসব হেবা দলিলে প্রতারণা, জালিয়াতি বা অসুস্থ ব্যক্তিকে ব্যবহার করে সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলো বাতিল হবে। হেবা দলিল তৈরির নির্ধারিত নিয়ম মানা না হলে দলিলটি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। নম্বও ২. ওসিয়তনামা দলিল: এক-তৃতীয়াংশ সীমা লঙ্ঘন করে অথবা ওয়ারিশদের কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে ওসিয়ত করলে
সেই দলিল বাতিল বলে গণ্য হবে। পূর্বের ওসিয়ত বাতিল করে পরবর্তীতে করা নতুন ওসিয়ত বৈধ থাকবে। নম্বর ৩. রেজিস্ট্রেশনবিহীন দলিল: যেসব দলিল কেবল মহুরীর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে কিংবা স্ট্যাম্পে লেখা হয়েছে কিংবা নোটাররি পাবলিক করা হয়েছে এবং নিবন্ধন হয়নি, রেজিস্ট্রেশন হয়নি, সেগুলো স্ক্যান বা ডিজিটাল হবে না এবং বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। নম্বর ৪. জাল দলিল: ভুয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে তৈরি দলিল প্রশাসনের নজরে এলে তা বাতিল করা হবে। কারণ অনলাইনে যুক্ত হয়ে গেলে সেগুলো বাতিল করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। নম্বও ৫. ক্ষমতার অপব্যবহারে অর্জিত দলিল: রাজনৈতিক বা প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল ও দলিল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে, সেসব দলিল বাতিলের আওতায় পড়বে। ভুক্তভোগীরা আইনি পথে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে পারবেন। নম্বও ৬. অংশের চেয়ে বেশি জমি বিক্রির দলিল: যে ক্ষেত্রে কোনো ওয়ারিশ তার প্রকৃত অংশের চেয়ে বেশি জমি বিক্রি করেছেন,
অতিরিক্ত অংশের দলিল অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রকৃত ওয়ারিশ আদালতের মাধ্যমে অংশ ফেরত নিতে পারবেন। সরকার জানিয়েছে, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে একদিকে জমির মালিকানায় স্বচ্ছতা আসবে এবং অন্যদিকে জালিয়াতির শিকারদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হবে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা ও ডিজিটালকরণে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। সম্মানীত ভিউয়ারস--