মরার আগে একবার মরে দেখেন।দুনিয়া বড় স্বার্থপর। Islamic Pathshala Officials 111.Mizanur Rahman Azahari

Описание к видео মরার আগে একবার মরে দেখেন।দুনিয়া বড় স্বার্থপর। Islamic Pathshala Officials 111.Mizanur Rahman Azahari

মরার আগে একবার মরে দেখেন।দুনিয়া বড় স্বার্থপর

"#জীবন_কে_দেখুন_মৃত্যুর_চোখ_দিয়েঃ

আজ রাত ১.৩০ মিনিট।
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমার স্টাফের দরজায় আঘাতের শব্দে ঘুম ভাঙলো। ইমারজেন্সি রোগী আসছে।
গিয়ে দেখি একজন মা, ৩০ বছর বয়স। সাথে ছোট দুইটা বাচ্চা। মায়ের চেহারায় তাকিয়ে দেখি ফ্যাকাসে হয়ে গেছে মায়াবী মুখখানি। টর্চ দিয়ে চোখ দেখলাম। পিউপিল Widely dilated, fixed, non reacting to light.

বিপি পালস নাই। ইসিজি করে দেখলাম ফ্লাট লাইন। বাচ্চা দুইটার দিকে তাকিয়ে আমার বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো। রোগীটার এটেন্ড্যান্টকে চেম্বারে ডাকলাম। ওনারা আমার চেহারা দেখেই বুঝে গেলেন। বাবা এসেছেন সাথে। উনি চেয়ার ছেড়ে চেম্বারের ফ্লোরে বসে পড়লেন মাথায় হাত দিয়ে। একজন চিকিৎসক হিসেবে সবচেয়ে অসহায় ও বিব্রত হই যখন কারো ডেথ ডিক্লেয়ার করা লাগে। এই জীবনে অনেকবার এই কাজটা করতে হয়েছে।

২০১০ সাল।
তখন আমি সিওমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন। মেডিসিন ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছেন প্রফেসর ইসমাইল পাটোয়ারি স্যার। একটা রোগীর বেডের কাছে গিয়ে স্যার খুব শান্তভাবে রোগীর দিকে তাকিয়ে আমাদের দিকে ফিরে জানতে চাইলেন, রোগীর স্বজনদের কাউন্সেলিং করা আছে কিনা। এই রোগী কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাবেন।
ঠিক ১০ মিনিট পরেই রোগীর মেয়ের গগনবিদারী চিৎকারে মেডিসিন ওয়ার্ড ভারী হয়ে উঠল। আমি অবাক বিস্ময় এ স্যার এর শান্ত সৌম্য চেহারার দিকে তাকিয়ে আছি।

একটা মানুষ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়ে নিলেন, এই নীল আকাশ আর দেখবেন না, প্রিয়জনের মায়াবী মুখ আর দেখবেন না, স্ত্রীর হাতের এক কাপ দুধ চা খেতে চাইবেন না, মা বলে প্রিয় মেয়েকে আর ডাক দেবেন না, জ্যোৎস্নাময়ী রাত কিংবা অস্তগামী সূর্যের রক্তিম লাল আভা দেখবেন না। কিন্ত স্যারের এতে কোনো ভাবান্তর নেই। স্যার একজনের পর একজন রুগীকে দেখে যাচ্ছেন।

মেডিসিনের একা এডমিশন নাইট। কিছু রাত বিভীষিকার আরেক নাম। দুইটা ওয়ার্ড একা সামাল দিতে হত। রাতে সিনিয়র কেউ থাকতেন না। একা সব সামাল দিতে হত। পুরুষ ওয়ার্ডে নতুন পেশেন্ট রিসিভ করতে গেলে মহিলা ওয়ার্ড থেকে ফোন সিস্টারের, অমুক বেডের রোগী এক্সপায়ার করছেন। মহিলা ওয়ার্ডে এসে ডেথ্ সার্টিফিকেট লিখতে লিখতে পুরুষ ওয়ার্ড থেকে কল আরেকজন এক্সপায়ার করছে।

মৃত্যু সত্য।মৃত্যু আসবেই। শুধু নির্ধারিত সময়ের অপেক্ষা। কিছু মৃত্যু মেনে নিতে আমাদের বুক ফেটে যায় কিন্ত মেনে না নিয়ে উপায় কী?

মৃত্যুর সময় অসময় বলে কিছু নেই। কখন কার মৃত্যুর সময় সেটা একমাত্র মৃত্যুর মালিকই জানেন।

তখন কার্ডিওলজিতে ইন্টার্নশিপ প্লেসমেন্ট। শুক্রবার ছিল। আমার সাথে ডিউটিতে ছিল আমার বান্ধবী কাব্যশ্রী পাল। এত নরম ও শান্ত মনের মেয়ে আমি খুব কম দেখেছি। আমি আমার একটা পেশেন্ট যিনি একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশান নিয়ে এডমিট হয়েছিলেন, ছুটির কাগজ লিখে জুমার নামাজে গেলাম কাব্যশ্রীর কাছে ছুটির কাগজে সিএ ভাইয়ার সিগ্নেচার রাখার দায়িত্ব দিয়ে। ২০ মিনিট পর নামাজ থেকে ফিরে দেখি রোগী লম্বা হয়ে শুয়ে আছে, সাদা বেডশিটে ঢাকা। বুকটা আঁতকে উঠল। একটু আগে যার সন্তানরা আনন্দে আত্মহারা ছিলেন প্রিয় বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন, নিচে গাড়ি রেডি ছিল, সেই বাবা এখন নিথর।
সেই বাবার নাম এখন লাশ। সেই রুগীর স্বজনদের চেহারা আজও মনে পড়ে।

আমার দাদাভাই একবার খুব অসুস্থ হয়ে গেলেন। বাঁচার কোন আশা দেখা গেল না। ওনাকে নিয়ে আমরা গ্রাম থেকে APOLLO HOSPITAL এ রওয়ানা দিলাম। মাইক্রো বাস ছেড়ে দিল। দাদাভাইকে বিদায় দিতে উনার চাচাত ভাই হাবিব উল্লাহ দাদা এক লুঙ্গির ওপর আরেক লুঙ্গি পরেই দৌড় দিতে দিতে গাড়ির কাছে আসলেন। বংশের মুরুব্বি বড় ভাইকে বিদায় দিতে, দোয়া নিতে ব্যাকুল ছিলেন। হাবিব দাদার আশংকা ছিল আমার দাদার সাথে এটাই হয়তো শেষ দেখা। লুঙ্গি পাল্টানোর সময় পাননি। আমার দাদাভাই Apollo থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। কিন্ত সেই হাবিব উল্লাহ দাদাভাই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন।
আমার দাদাভাই উনার জানাজার ইমামতি করলেন। বিষয়টা আমাকে আজও নাড়া দেয়। যার বাঁচার আশা ছিল না, তিনি বেঁচে গেলেন। কিন্ত যার মৃত্যু নিয়ে আমাদের ভাবনা ছিল না তিনি যে আজরাইলের লিস্টে ছিলেন তা আমরা বুঝিনি।

কুরবারির ঈদের ছুটি কাটিয়ে আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এ কুমিল্লা থেকে সিলেট ফিরছি। সিলেটে প্লাটফর্মে নেমে দেখা সাস্টের CSE DEPT এর সহযোগী অধ্যাপক ড.মো খায়রুল্লাহ এর সাথে। উনি আমার মামা শ্বশুর। হাসি মুখে কুশল জানলেন, কার্ড দিলেন, সাস্টে যেতে বললেন। কিন্ত ওনাকে দেখতে সাস্টে যাওয়ার আগেই মামা চলে গেলেন চিরদিনের জন্য সাস্ট ছেড়ে। গত ৫ অক্টোবর জুমার নামাজে সুন্নত পড়ার সময় মামা ইন্তেকাল করেন।

আমি ভাবছি মামার ছোট্ট পুত্র সন্তানের কথা। বাবা কি বোঝার আগেই বাবা হারিয়ে গেলেন দূরে, বহুদূরে, দূর অজানায়।

কুমিল্লা থেকে আমার ওয়াইফ যখন ফোনে জানালো এই বিষাদের খবর, তখন আমি নীরব হয়ে ছিলাম অনেকক্ষণ। গত রাতে ওনার হাসিমুখের ছবিগুলো দেখলাম আর ভাবলাম, মায়ার এই পৃথিবীর সাথে উনি কেন এত দ্রুত মায়া ছিন্ন করলেন? এখানে ওনার ইচ্ছার কি কোন দাম আছে। নেই তো।

মৃত্যুর কাছে মানুষের ইচ্ছের কোন দাম নেই। মৃত্যু কত কাছে?


Please Follow in Facebook

Facebook link https://www.facebook.com/profile.php?...,

Please Subscribe my YouTube channel

#Islamic Pathshala officials
#মরার আগে মর
#মিজানুর রহমান আজহারী
#বাংলা_ওয়াজ_মাহফিল,




Thank you For
watching This video

Комментарии

Информация по комментариям в разработке