অযত্ন আর অবহেলায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রাগৈতিহাসিক যুগের সমাধিস্থল | MEGALITH IN SYLHET BANGLADESH |

Описание к видео অযত্ন আর অবহেলায় বাংলাদেশের একমাত্র প্রাগৈতিহাসিক যুগের সমাধিস্থল | MEGALITH IN SYLHET BANGLADESH |

মেগালিথ একপ্রকার প্রাচীন পাথর, যা কোনো স্থাপত্য বা মিনার তৈরী করতে এককভাবে বা অনেকগুলো নিয়ে ব্যবহৃত হয়। আর মেগালিথিক শব্দটি দ্বারা বোঝানো হয় বিশাল আকৃতির সেই স্থাপনাগুলোকে; যার নির্মাণে মেগালিথ পাথর ছাড়া কোনো ধরনের ইট-কাঠ-পাথর ব্যবহার করা হয় না। মূলত প্রাচীনকালে সমাধি সৌধ বা স্মারক সৌধ হিসেবে মেগালিথিক স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হতো। অর্থাৎ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কবরকে চিহ্নিত করে রাখার জন্য বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্মারক চিহ্ন হিসেবে বানানো হতো একেকটি মেগালিথিক স্থাপনা। মেগালিথিক সৌধগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন- মেনহির, ডলমেন, স্টোন সার্কেল, মাল্টিপল হুডস্টোন ইত্যাদি। বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত একমাত্র মেগালিথিক সংস্কৃতির দেখা পাওয়া যায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। জৈন্তাপুর উপজেলায় তিনটি মেগালিথিক প্রত্নস্থান রয়েছে। এই উপজেলার মেগালিথিক স্থাপনাগুলো বাঁচিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের প্রাচীন এক সময়কে। জৈন্তাপুর মেগালিথ (প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রকান্ড প্রস্তর নিদর্শন) যুগের ধ্বংসাবশেষের জন্য খ্যাত। সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে ৪০ কিমি উত্তরে ও জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত। অঞ্চলটির উত্তর ও পূর্ব দিকে রয়েছে অসংখ্য পাহাড়, সূতপ ও উপত্যকা। আর পশ্চিম ও দক্ষিণাংশে রয়েছে নিচু সমতল ভূমি ও অসংখ্য জলাশয়, যা আঞ্চলিকভাবে হাওড় হিসেবে পরিচিত। সব মিলিয়ে সিলেট যেন অপরুপ সৌন্দর্যের সমাহার। প্রাচীনকালে বর্তমান সমতল ভূমি পানির নিচে ছিল বলে মনে করেন ঐতিহাসিকরা। এ কারণে ধরে নেয়া হয়, সিলেটের সাথে জৈন্তাপুরের খুব একটা যোগাযোগ ছিল না। অঞ্চলটির ভূতাত্ত্বিক গঠনের জন্যই এটি দীর্ঘ দিন স্বাধীন ছিল এবং জৈন্তাপুর রাজ্য হিসেবে সুপরিচিত ছিল। এভাবেই এ অঞ্চলটি মহাকাব্য, পৌরাণিক কাহিনী ও তান্ত্রিক সাহিত্যে উল্লিখিত হয়েছে। তবে স্থানীয় জনশ্রুতি, লোকগাঁথা ও তাম্রশাসনে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে, আনুমানিক সাত/আট শতকে জৈন্তাপুর কামরূপ রাজ্যের অধীনে আসে এবং পরবর্তীকালে এটি চন্দ্র ও বর্মণ শাসকদের শাসনাধীন হয়। বর্মণদের পতনের পর জৈন্তাপুর পুনরায় কিছু সময়ের জন্য দেব বংশের শাসনাধীন ছিল। দেব বংশের শেষ শাসক জয়ন্ত রায়ের এক কন্যার নাম ছিল জয়ন্তী। তার এ কন্যার সাথে খাসি উপজাতীয় প্রধানের এক পুত্র লান্দোয়ারের বিয়ে হয়। এ বৈবাহিক সূত্র ধরে জৈন্তাপুর রাজ্য আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে খাসিয়াদের শাসনাধীনে চলে যায়। ১৮৩৫ সালে ব্রিটিশ কর্তৃক দখল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জৈন্তাপুর রাজ্য স্বাধীনভাবে খাসি রাজাদের দ্বারা শাসিত হতে থাকে।
For More Visit:
Website: https://infohunterbd.blogspot.com/
Facebook:   / bdinfohunter  

Комментарии

Информация по комментариям в разработке