Скачать или смотреть শিশুদের ব্লেন্ডার করে খাবার খাওয়ানোর সুবিধা ও অসুবিধা কি?

শিশুদের ব্লেন্ডার করে (পিউরি করে) খাবার খাওয়ানোর কিছু সুবিধা আছে, আবার কিছু অসুবিধাও আছে।👇

✅ সুবিধা:

1. সহজে হজম হয় – ছোট শিশুদের দাঁত বা শক্ত চিবানোর ক্ষমতা থাকে না, তাই ব্লেন্ডার করা খাবার সহজে গিলতে ও হজম করতে পারে।

2. পুষ্টি বজায় থাকে – ফল, সবজি, ভাত বা ডাল পিউরি করলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার শিশুর শরীরে যায়।

3. খাওয়ানো সহজ হয় – অনেক শিশু খাবার খেতে অনীহা করে; পিউরি করে দিলে চামচ দিয়ে খাওয়ানো তুলনামূলক সহজ।

4. খাবারের বৈচিত্র্য আনা যায় – বিভিন্ন সবজি, ডাল, ভাত একসাথে ব্লেন্ড করে শিশুকে এক খাবারে একাধিক পুষ্টি দেওয়া যায়।

5. শিশুর পাকস্থলীর সুরক্ষা – বড় টুকরো খাবারে দম আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে না।

⚠️ অসুবিধা:

1. চিবানোর অভ্যাস তৈরি হয় না – দীর্ঘদিন শুধু পিউরি খেলে শিশু চিবানোর অভ্যাস পায় না, ফলে পরবর্তীতে শক্ত খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে।

2. মুখের পেশি ও দাঁতের ব্যবহার কম হয় – শিশুর দাঁত ও মুখের মাংসপেশি ঠিকভাবে কাজ করার সুযোগ পায় না।

3. অতিরিক্ত মসৃণ হলে ফাইবার কম কার্যকর হয় – বেশি ব্লেন্ড করলে ফাইবার ভেঙে যায়, ফলে হজম প্রক্রিয়ায় ফাইবারের ভূমিকা কমে যেতে পারে।

4. অভ্যাসগত সমস্যা – সবসময় পিউরি করা খাবার দিলে শিশুরা শক্ত বা টুকরো খাবার নিতে রাজি হয় না।

5. পুষ্টি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি – কিছু খাবার বেশি সময় ব্লেন্ড করলে বা দীর্ঘক্ষণ সংরক্ষণ করলে ভিটামিন নষ্ট হতে পারে।

👉 তাই, ৬ মাস বয়স থেকে শিশুকে ব্লেন্ডার করা খাবার (পিউরি) শুরু করা ভালো, কিন্তু ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে (৮–৯ মাসের পর থেকে) হালকা চটকানো খাবার বা ছোট ছোট নরম টুকরো দেওয়া উচিত, যাতে চিবানো ও খাবারের টেক্সচারে অভ্যাস তৈরি হয়।

শিশুদের ব্লেন্ডার করে খাবার খাওয়ানোর সুবিধা ও অসুবিধা কি?

What are the advantages and disadvantages of feeding babies with a blender?

#health #healthtips #shortsfeed