Скачать или смотреть মুমিন মানুষের মানুষের মর্যাদা

ইসলামে মুমিন (আল্লাহর প্রতি ঈমানদার ব্যক্তি) মানুষের মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। কুরআন ও হাদিসে মুমিনের সম্মান, গুরুত্ব ও মর্যাদার ব্যাপারে অনেক বর্ণনা এসেছে। সংক্ষেপে প্রধান দিকগুলো হলো—

১. আল্লাহর নিকট সর্বোচ্চ সম্মান

আল্লাহ বলেন:

"নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক সম্মানিত সেই ব্যক্তি, যে সর্বাধিক তাকওয়াবান।"
(সূরা হুজুরাত ৪৯:১৩)
অর্থাৎ জাতি, ধন-সম্পদ বা বংশ নয়—তাকওয়া ও ঈমানই আসল মর্যাদার মানদণ্ড।

২. মুমিনের জীবন রক্ষা মহান দায়িত্ব

রাসূল ﷺ বলেন:

"আল্লাহর কাছে মুমিন মানুষের মর্যাদা কাবা শরীফের চেয়েও বেশি।"
(ইবন মাজাহ)
অর্থাৎ একজন মুমিনকে হত্যা করা বা তার প্রতি অন্যায় করা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ।

৩. মুমিন এক দেহের মতো

নবী ﷺ বলেন:

"মুমিনগণ পরস্পরের সাথে দেহের অঙ্গের মতো—যখন একটি অঙ্গ ব্যথিত হয়, তখন পুরো দেহ ব্যথিত হয়।"
(বুখারি ও মুসলিম)
এটি বোঝায় যে মুমিনদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি ও সহযোগিতা থাকা উচিত।

৪. আল্লাহ মুমিনকে ভালোবাসেন

হাদিসে এসেছে:

"যখন আল্লাহ কারও প্রতি ভালোবাসা স্থির করেন, তখন জিবরাইলকে ডাকেন এবং বলেন—আমি অমুককে ভালোবাসি, তুমি তাকে ভালোবাসো। তারপর আসমান ও জমিনে তার জন্য ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।"
(বুখারি ও মুসলিম)

৫. মুমিনের সম্মান রক্ষা করা ইবাদত

গীবত, অপবাদ, অপমান বা অবিচারের মাধ্যমে মুমিনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হারাম।

রাসূল ﷺ বলেছেন:

"মুসলমান মুসলমানের ভাই; সে তার প্রতি জুলুম করে না এবং তাকে অপমানিত করে না।" (মুসলিম)

সারকথা: ইসলামে মুমিনের মর্যাদা আকাশচুম্বী—তার জীবন, সম্পদ, সম্মান সবই আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মুমিনদের একে অপরের মর্যাদা রক্ষা করা ফরজ দায়িত্ব।

আপনি চাইলে আমি কুরআন ও হাদিস থেকে মুমিনের মর্যাদা নিয়ে সুন্দর একটি বক্তব্য সাজিয়ে দিতে পারি যা খুতবা বা বক্তব্যে ব্যবহার করা যাবে।