Скачать или смотреть কুষ্টিয়ার পোড়াদহে মাকে নির্মমভাবে খুন-যা শুনলে চোখের পানি-Haqqani tv- kushtia puradah mother murder

কুষ্টিয়ার পোড়াদহে মাকে নির্মমভাবে খুন-যা শুনলে চোখের পানি ধরে রাখা যায়না kushtia puradah mother murder. Haqqani tv
অপহরণ নাটক করেও বাঁচতে পারলোনা মা হত্যার আসামীরা-Haqqani tv- puradah ma murder news
==========
মাকে হত্যার পর প্রধান আসামী নিজ সন্তানসহ অপহরণ নাটকের নায়করা কেউই বাঁচতে পারেনি। একে একে সকল আসামীকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্পত্তির জন্যই নিজের গর্ভধারিণী মাকে দিন দুপুরে হত্যা করে বস্তায় ভরে পুকুরের পানিতে চাপা দিয়ে ডুবিয়ে রাখে এক পাষন্ড সন্তান। মা অন্যের হাত ধরে চলে গেছে এবং অপহরণ নাটকও করে সন্তান। কিন্তু মাকে হত্যা করে বাঁচতে পারেনি তারা। গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারী একমাস ৪ দিন পর পুলিশ উদ্ধার করেছে হতভাগিনী ওই মায়ের লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ গ্রামে।
আটক হয়েছে নিহতের একমাত্র পুত্র মুন্না বাবু। সেই পৈত্তিক সম্পত্তি একাই ভোগ করার জন্য মাকে খুন করে। তার সাথে ছিলেন চাচা আব্দুল কাদের। বন্ধু রাব্বী। কিছুদিন আগে পোড়াদহ কাপুড় হাটের একটি দোকান বিক্রি করেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ দক্ষিণ কাটদহ গ্রামের ফজলের স্ত্রী বিধবা মমতাজ বেগম (৫৫)। দোকান বিক্রিত ২৫ লাখ টাকা মমতাজ বেগম তার ৩ মেয়ে ও একমাত্র পুত্র মুন্না বাবুকে ভাগ করে দেন। দোকান বিক্রির ওই টাকা বোনদের ভাগ দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না মুন্না।
বোনদের ওই টাকার ভাগ দেওয়ায় মুন্না ক্ষেপে ওঠেন। মায়ের উপর চরম নির্যাতন শুরু করেন। সন্তানের কারণে মা মমতাজ বেগম মেয়েদের বাড়িতেও আশ্রয় নেন। এরপর মা বাড়িতে আসলে তাকে আরেকটি দোকান বিক্রি করে তার সম্পূর্ণ টাকা মুন্নাকে দিতে বলে। মা মমতাজ বেগম তার দাবী না মানায় চাচা আব্দুল কাদেরের সাথে যুক্তি করেন। ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে চাচা আব্দুর কাদেরের সাথে মুন্নার মায়ের পরিপড়তাও ছিলোনা। তাই তিনিও মমতাজ বেগমকে শায়েস্তা করতে ছেলেকে মোক্ষম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেন। ভাবীকে হত্যা করতে দেবর আব্দুল কাদের তার ভাতিজাকে পরামর্শ দেন। পথের কাটা দূর করতে ভাবীকে খুন করার পরামর্শ দেন আব্দুল কাদের। তার পরামর্শে ভাতিজা মুন্না বাবু বন্ধু রাব্বীসহ অন্য বন্ধুদের সাথে গোপনে যুক্তি করেন। গত ২০ জানুয়ারী দিন দুপুরে মাকে খুন করেন। ওইদিন মমতাজ বেগম যখন বাড়িতে টিউবয়েলের উপর মাছ কুটতেছিলেন ঠিক সেই সময়ে ছেলে মুন্না পেছন দিক থেকে গামছা দিয়ে মায়ের চোখ মুখ বেঁধে ফেলে। বন্ধু রাব্বী মমতাজ বেগমের পা চেপে ধরে। চাচা কাদের হাত ধরে। সকলে মিলে মমতাজ বেগমকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। তারপর একটি দড়ি দিয়ে মমতাজ বেগমের গলায় দড়ি বেঁধে একদিকে ছেলে মুন্না আরেকদিকে চাচা আব্দুল কাদের দড়ি টেনে ধরেন। মমতাজ বেগমকে গলায় ফাঁস দিয়ে নিমর্মভাবে খুন করেন।
খুন করেই শুধু ক্ষান্ত হয়নি। মমতাজ বেগমের লাশ সকলে মিলে ঘুঘু ফাঁদ দিয়ে বেঁধে বস্তায় ভরেন। পরে ওই লাশ ঘরের খাঁটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। গভীর রাতে মমতাজ বেগমের লাশ বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত হাজামজা পুকুরে গর্ত করে পূতে রাখেন। লাশের সাথে কিছু কাপড়-চোপড় ব্যাগ ও সেন্ডেলসহ সেখানে পূঁতে দেয়।
এরপরই তারা শুরু করে অপহরণ নাটক। মা সবকিছু নিয়ে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে। তাকে অপহরণচক্র অপহরণ করেছে। এসব নিয়ে বিভিন্ন অপ-প্রচার চালায় তারা। এ নিয়ে পুত্র মুন্না মিরপুর থানায় একটি জিডিও করে।
ইতিমধ্যেই তারা অপহরণকারী সেজে মুন্নার দুলা ভাইয়ের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবীও করে। পুলিশ থানায় জিডি ও মুক্তিপনের দাবীতে মোবাইল কলের সূত্র ধরে অভিযানে নামে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশ।
আটক করে মুন্নার বন্ধু রাব্বীকে। সেই প্রশাসনের কাছে মমতাজ বেগমের হত্যার ঘটনা প্রকাশ করে।
এরপরই পুলিশ আটক করে মমতাজ বেগমের পুত্র খুনী মুন্নাকে। আটক করে চাচা আব্দুল কাদেরকে। তারাই মুন্নার মাকে সম্পদের জন্যই নিমর্মভাবে খুন করেছে বলে সব তথ্য প্রকাশ করেছে।
এ খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সচেতন মহল। অবিলম্বে মাকে হত্যাকারীদের ফাঁসীর দাবী করেছে।
এম খালিদ হোসাইন সিপাহী
হক্কানী টিভি
০১৭১৬-২৬৮৮৫৮



জাতীয়/রাজনীতি/বিনেদোন/খেলাধুলা/ইসলামী অনুষ্ঠান/ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদি দেখতে haqqani tv ভিজিট করুন।