করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রী, এমপি, পুলিশ, ডাক্তার, টকশোজীবী প্রত্যেকেই উপদেশ দিয়ে চলেছেন লকডাউন মানতে হবে, ঘরে থাকতে হবে। কিন্তু পেটের জ্বালা বড় জ্বালা, কোনো আইন নিয়ম, নিষেধ মানে না। তাই রাজধানীর গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সব রকম নিষেধাজ্ঞা ও নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নেমে পড়েছে রাস্তায়। তাদের একটাই কথা, ঘরে বসে থাকলে আমাদের পেট ভরবে? আমার খাবার আসবে কোথা থেকে? উপার্জনের উপায় কী? যাদের পেট ভরা আছে, তারা ঘরে বসে লকডাউন মানুক। গরিবের করোনা হয় না।
‘ঘরে থাকা’র দিনগুলোতে আসলে বেশিরভাগ মানুষই ঘরে নেই। অনেকের অবশ্য ঘরে থাকার উপায়ও নেই। কারখানাশ্রমিক, সবজিওয়ালা, তরকারিওয়ালা, মুদি দোকানদার, রিকশাওয়ালা, চিকিৎসাকর্মী, অনলাইন প্রতিষ্ঠানের কর্মী, ব্যাংকার, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ, সিকিউরিটি গার্ড, বাড়ির কাজের লোক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অতিদরিদ্র ভিক্ষুক, দিন মজুর, হকার, সংবাদকর্মী তাদের বাইরে যেতেই হচ্ছে। কেউ যাচ্ছে পেশাগত কারণে, কেউ বা সাহায্য-সহযোগিতা পাবার আশায়। হ্যাঁ কিছু লোক শখের বশেও যাচ্ছে, সেটা খুব বড় অংশ নয়।
যে কোনও সামাজিক নীতির পেছনে ন্যায়ের একটা লক্ষ্য থাকে। করোনার প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্যের ন্যায়ের মুল লক্ষ্য হল সংক্রমণ কমানো, প্রাণ বাঁচানো। সেই যুক্তিতে ঘরবন্দি ভালো উপায় ঠিকই, কিন্তু ঘরবন্দি হয়ে থাকতে তারাই পারে, যাদের স্থির রোজগার আছে, সঞ্চয় আছে, ঘরে যথেষ্ট খাবার আছে। আমাদের দেশে প্রায় ৩-৪ কোটি মানুষের তা নেই। ঘরবন্দির তিনটে কুফল আছে— এক, দেশের উৎপাদন কমে যাওয়া, সাধারণ মানুষের আয় ও চাকরির ক্ষতি। দুই, গরিবের অনাহার ও অর্থকষ্ট। গরিবের বড় অংশ দিন আনে দিন খায়, ঘরে বন্দি হলে তাদের খাবার জুটবে না। তিন, আমাদের দেশে গরিবের সংখ্যা এখনও বড্ড বেশি, বিশ্বব্যাংকের হিসেবে প্রায় ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ। অপুষ্টির ফলে তাদের শরীরে প্রতিরোধ-ক্ষমতা কম। রোজগার না থাকলে অপুষ্টি বাড়বে। সেটা জনস্বাস্থ্যের ন্যায়কেও আঘাত করবে। জনস্বাস্থ্যের ন্যায়ের সঙ্গে অর্থনীতির ও জীবিকার ন্যায়ের সংঘাত এখানেই। এই সংঘাত অবশ্যম্ভাবী এবং পৃথিবীর সব দেশেই তা ঘটছে। বাংলাদেশে অপুষ্টি বিপুল, তাই সংকট এখানে তীব্র।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের দেশসহ বিশ্বব্যাপী লকডাউনের ফলে চাহিদা ও জোগান দুদিক থেকেই অর্থব্যবস্থায় সংকট এসেছে। ছোট ছোট উদ্যোক্তরা অনেকে পথে বসে গেছে। পরিবহনশ্রমিক থেকে শুরু করে যারা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, তাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারা ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছেন। ফলে ঘনীভূত হয়েছে চাহিদার সংকট।
ওরা তো উপরে বসে থেকে 'লকডাউন-লকডাউন' করে কারণ ওদের খাবার আছে, আমাদের গরীবের কি হবে
লকডাউনে অসহায় সাধারণ মানুষের আর্তনাদ,,,,
লকডাউনে অসহায় সাধারণ মানুষের আর্তনাদ
যতটুকু যা লকডাউন হয়েছে, তাতেই নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কষ্টের বিভিন্ন চিত্র উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমে। কোথাও কাজ-হারানো মানুষ একইসঙ্গে লড়ছেন মহামারী ও অনাহারের সঙ্গে। অনেকেই একটু ত্রাণ বা সাহায্যের আশায় পথ চেয়ে আছেন। অনেকে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে মরিয়া হয়ে আছেন। কেউ কেউ সকল ঝুঁকি উপেক্ষা করে উদ্দেশ্যহীনভাবে পথে হাঁটছেন কেবল পেটের জ্বালায়
করোনা ভাইরাস: মানুষের আর্তনাদ!
#আর্তনাদ
#সাধারণ মানুষ
#লকডাউন
#Atanabbai Tv
#Breaking_News
#News
#98 TV
Информация по комментариям в разработке