Скачать или смотреть HSC 2022 logic Assignment Answer,যুক্তিবিদ্যা,এইচ এস সি ১ম সপ্তাহ

HSC 2022 logic Assignment Answer,যুক্তিবিদ্যা,এইচ এস সি ১ম সপ্তাহ,যুক্তিবিদ্যার ধারণা এর পরিধি পাওয়া যায় পর্যালোচনা করোঃ

উত্তরঃযুক্তিবিদ্যার উৎপত্তি ; যুক্তিবিদ্যা চর্চার একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে স্বাধীনভাবে যুক্তিবিদ্যার চর্চা শুরু হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, সেই, উপমহাদেশ এবং গ্রীস। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টোটলের হাতেই পদ্ধতিগত জ্ঞান শাখা হিসেবে যুক্তিবিদ্যার সূচনা হয় মধ্যযুগের কয়েকজন স্কলার দার্শনিক ও মুসলিম দার্শনিক যুক্তিবিদ্যার চর্চা করেন সমকালে রাসেল পিনো ভ্যান প্রমুখ প্রতীকী ও গাণিতিক যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

যুক্তিবিদ্যার ধারণা: যুক্তিবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ logic এর উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ logke থেকেi logosশব্দটি আবার গ্রিক শব্দ এর বিশ্লেষণ,logos শব্দের অর্থ হলো চিন্তা ভাষা আমরা জানি যে চিন্তার সাথে বাসার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। আমাদের মনের চিন্তা ধারাকে আমরা সব সময়ই ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করেi সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থ যুক্তিবিদ্যা হল ভাষায় প্রকাশিত চিন্তার বিজ্ঞান।

অ্যারিস্টোটলের মতে: এরিস্টোটল যুক্তিবিদ্যাকে জ্ঞানের পদ্ধতির নির্দেশ অনুসারে প্রারম্ভিক বিজ্ঞান বলেছেন। তার মতে যুক্তিবিদ্যা হলো জ্ঞানের পদ্ধতি নির্দেশ করা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা প্রশাখা সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি অনুসরণ করা, সেটা কলা কিংবা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন আর যুক্তি বিদ্যাঃ চিন্তার বিজ্ঞান হিসেবে এসবের জন্য নিয়ম-নীতি সরবরাহ করেi যুক্তিবিদ্যার কাজই হলো একটি চিন্তা বা আলোচনা কিভাবে সঠিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্ত করা যায় তার নির্দেশ করা কিংবা কিভাবে উপস্থাপন করলে তাকে বৈধ বা অবৈধ বলা হবে তা বলে দেয়i এ কারণেই যুক্তিবিদ্যা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন।

জেএস মিলের যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ দার্শনিক ও ইতিহাসবিদ জেমস মিল ও তার স্ত্রী হ্য্যারিয়েট ব্যারোর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন উনিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্রিটিশ দার্শনিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জন স্টুয়ার্ট মিল(১৮০৬-১৮৭৩)। যুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখেন। তিনি মনে করেন যে অবরোহ ও আরোহ যুক্তি বিদ্যায় এই দুটি শাখার নিয়মই হলো সত্য অনুসন্ধান করা। তার মতে, অবরোহ যুক্তি বিদ্যাঃ প্রতিষ্ঠা সূত্রের আলোকে আমাদের সত্য অনুসন্ধান কে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে এবং বিজ্ঞানের যুক্তিবিদ্যা আরোহ যুক্তি বিদ্যাঃ আবিষ্কারের জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় নিয়ম সরবরাহ করে। যুক্তিবিদ্যা হল আমাদের জ্ঞানগত প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এমন বিজ্ঞান বিচারের মাধ্যমে জ্ঞাত থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বুদ্ধিগত কাজ ও মানসিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করে ।

যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে জোসেফ এর ধারণাঃ ব্রিটিশ অধ্যাপক উইলিয়াম ব্রিন্ডলে তার An Introduction to logicবইয়ে যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন। জসে মনে করেন যে যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞানী হিসেবে নিজের সহ আলোচ্য বিষয়ের মূলনীতির ব্যাখ্যা করে। যেমন যুক্তিবিদ্যা সংখ্যার নিয়ম যৌগিক বিভাজন এর মূলনীতি অনুমান এর নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করে। যুক্তিবিদ্যার বিষয়বস্তু হল চিন্তা যুক্তিবিদ্যা মুক্ত চিন্তা। যেসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করি তার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা যুক্তিবিদ্যার কাজ। তার মতে যুক্তিবিদ এমন একটি বিজ্ঞান চিন্তা দারুন নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করো। যুক্তিবিদ্যা আমাদের চিন্তার আকারের সাথে সম্পর্কিত। তিনি বলেন যুক্তিবিদ্যা হল চিন্তা বিষয়ক বিজ্ঞান অধ্যায়ন।

যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে আই কপির ধারণাঃ আমেরিকান অধ্যাপক আর মারমার কপি যুক্তিবিদ্যার বিবেচনায় নিয়ে যুক্তিবিদ্যা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। মনে করেন যে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্তিবিদ্যা ব্যবহার করা যায়। যুক্তিবিদ্যা পাঠ আমাদের শুদ্ধ চুক্তি থেকে অশুদ্ধ চুক্তির পার্থক্য করতে সহায়তা করে জ্ঞান অনুসন্ধান কে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাদের আগ্রহের যেকোনো বিষয় বুঝতে সাহায্য করে। যুক্তিবিদ্যা আমাদের বুদ্ধিগত যোগ্যতাকে প্রসারিত করা এবং বাস্তব করে তোলা। যুক্তিবিদ্যা সকল ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও শুদ্ধ হওয়া শুকতে গঠনে সাহায্য করে।

যুক্তিবিদ্যার স্বরূপঃ যুক্তিবিদ্যা আমাদেরকে এমন শক্তি ব্যবহারের নিয়ম কানুন শিক্ষা দেয় তেমনি সেগুলো প্রয়োগ পদ্ধতি শেখায়। তাই যুক্তিবিদ্যা যেমন বিজ্ঞান তেমনি কলাবিদ্যা। বিজ্ঞান হল কোন নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে প্রকৃতির কোন একটি বিষয়কে পদ্ধতিগতভাবে জানা। জ্ঞান অর্জন হল বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য। কলাবিদ্যা হল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আমাদের অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে কাজে লাগানো। কলা কাজ হলো কাজে দক্ষতা অর্জন করা। যুক্তিবিদ্যা একটি শাখা হিসেবে আমাদেরকে তাত্ত্বিক জ্ঞান দেয় এবং জ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে আমরা বিশেষ দক্ষতা অর্জন করে। তাই যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান ও কলা উভয়ই।

যুক্তিবিদ্যার পরিসরঃ যুক্তিবিদ্যার পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু অনেক বেশি। এর প্রধান আলোচ্য বিষয় হল বাসায় প্রকাশিত চিন্তা। আর এজন্য যে বিষয়গুলো নির্বাচনে ভাবে এর আলোচনার আওতায় পড়েনা তাহলো চিন্তার মৌলিক সূত্র যুক্তিবাক্য ও তার শ্রেণীবিভাগ পোদের ব্যাথা যুগ বিভাজন অনুমানের প্রক্রিয়া হিসেবে অবরোহ ও আরোহ প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা এবং সর্বোপরি যুক্তির বৈধতা বিচার প্রণালী। প্রকৃতপক্ষে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যেকোন শাখা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্তিবিদ্যার আলোচনা বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। সার্বজনীন।#hsc_assignment#logic#answer_logic