আমরা তিরিশে ডিসেম্বর ২০২৩ লালকেল্লা যাই ঢাকা থেকে। আমাদের আজকের ভ্রমণ দিল্লির লালকেল্লা, এছাড়া আমরা যাই আগ্রার তাজমহল, জয়পুরের পিংক সিটি, আজমীর শরীফের হযরত মইনুদ্দিন চিশতির মাজার।
সুলতান-উল-হিন্দ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী ছিলেন একজন পারসিক সুন্নি মুসলিম প্রচারক, সৈয়দ, তপস্বী, ধর্মীয় পণ্ডিত, দার্শনিক, সুফি সাধক ও সিস্তানের রহস্যবাদী, যিনি তার শেষ জীবনে ১৩ শতকের প্রথম দিকে ভারতীয় উপমহাদেশে বসতি স্থাপন করেন। সেখানে তিনি সুন্নি রহস্যবাদের বিখ্যাত চিশতিয়া তরিকা প্রচার করেন।
সুলতান-উল-হিন্দ খাজা[৪] মইনুদ্দিন চিশতী ( উর্দু / ফার্সি : خواجہ معین الدین چشتی; আরবি: خواجة معين الدين الششتى ) ছিলেন একজন পারসিক সুন্নি মুসলিম প্রচারক, সৈয়দ, তপস্বী, ধর্মীয় পণ্ডিত, দার্শনিক, সুফি সাধক ও সিস্তানের রহস্যবাদী, যিনি তার শেষ জীবনে ১৩ শতকের প্রথম দিকে ভারতীয় উপমহাদেশে বসতি স্থাপন করেন। সেখানে তিনি সুন্নি রহস্যবাদের বিখ্যাত চিশতিয়া তরিকা প্রচার করেন। ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১২৩৬ সালে পরলোকগমন করেন। তিনি গরিবে নেওয়াজ ( غریب نواز ) নামেও পরিচিত। মইনুদ্দিন চিশতীই উপমহাদেশে সর্বপ্রথম চিশতী ধারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত করেন এবং তিনি ভারতে চিশতী ধারার মাধ্যমেই আধ্যাত্মিক সিলসিলাকে এমনভাবে পরিচিত করেন যে, তা গোটা ভারতে ছড়িয়ে যায় এবং পরবর্তীতে তাঁর একনিষ্ঠ অনুসারী; যেমন: কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী, বাবা ফরিদ, নিজামুদ্দিন আউলিয়া প্রমুখ ভারতের ইতিহাসে এই সুফি ধারাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান
ধারণা করা হয়, খাজা মইনুদ্দিন চিশতী ৫৩৭ হিজরী/১১৪২ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পারস্যের সিস্তান রাজ্যের সানজারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পারস্যে বেড়ে উঠেন। পনেরো বছর বয়সে তার পিতা-মাতা মৃত্যুবরণ করেন। তার পিতার নাম গিয়াসউদ্দিন এবং মাতার নাম বিবি উম্মালওয়ারা (ওরফে বিবি মাহে-নূর), ছিলেন সৈয়দ বা মুহাম্মদ (দ.)-এর বংশধর, তার নাতি হাসান এবং হোসাইনের মাধ্যমে।তিনি তার পিতার কাছ থেকে একটি বাতচক্র (উইন্ডমিল) ও একটি ফলের বাগান উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করেন। কিংবদন্তি অনুসারে, একদিন তিনি তার ফলবাগানে জল দিচ্ছিলেন তখন তার ফলবাগানে আসেন বিখ্যাত সুফি শেখ ইবরাহিম কুন্দুজী (কুন্দুজী নামটি জন্মস্থান কুন্দুজ থেকে এসেছে)। যুবক মইনুদ্দিন তটস্থ হয়ে যান এবং কুন্দুজীকে কিছু ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেন। এর প্রতিদানস্বরূপ কুন্দুজী মইনুদ্দিনকে এক টুকরা রুটি দেন ও তা খেতে বলেন। এর পর তিনি তার সম্পত্তি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র গরীবদের মাঝে বিতরণ করে দেন। এরপর তিনি বিশ্বের মায়া ত্যাগ করে জ্ঞানার্জন ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বুখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।তিনি বুখারা এবং সমরকন্দের সেমিনারিতে ভর্তি হন এবং (সম্ভবত) মুহাম্মদ আল-বুখারি (মৃত্যু ৮৭০) এবং আবু মনসুর আল-মাতুরিদি (মৃত্যু ৯৪৪) এর মাজার পরিদর্শন করেন, যা ইসলামি বিশ্বের ব্যাপকভাবে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব।
ইরাক ভ্রমণের সময়, নিশাপুর জেলায়, তিনি বিখ্যাত সুন্নি রহস্যবাদী খাজা উসমান-এর সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি তাকে দীক্ষা দিয়েছিলেন।বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তার আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শকের সাথে পরবর্তী অঞ্চল থেকে অঞ্চলে ভ্রমণে, মঈনুদ্দিন সেই সময়কালে তার নিজস্ব স্বাধীন আধ্যাত্মিক ভ্রমণও চালিয়ে যান।তার স্বাধীন বিচরণে মঈনুদ্দিন সেই যুগের অনেক উল্লেখযোগ্য সুন্নি রহস্যবাদীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যার মধ্যে ছিলেন আবদুল কাদের জিলানী (মৃত্যু ১১৬৬) এবং নাজমুদ্দিন কুবরা (মৃত্যু ১২২১), পাশাপাশি নাজিব আল-দীন আবদ-আল-কাহির সোহরাওয়ার্দী, আবু সাঈদ তাবরিজি, এবং আবদ আল-ওয়াহিদ গজনবীও ছিলেন, যাদের সবাই সুন্নি ঐতিহ্যের সবচেয়ে সম্মানিত সুফি সাধক ছিলেন।
Информация по комментариям в разработке