Скачать или смотреть রাতারগুল সিলেটে আঞ্চলিক গানের আড্ডা || মাঝি লিচু মিয়ার গান || Ratargul Swamp Forest, Sylhet

#ratargul
#ratargul_swamp_forest
#sylhet
#রাতারগুল
#রাতারগুল_সোয়াম্প_ফরেস্ট
#সিলেট
#লিচু_মিয়ার_গান

সিলেট, রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট:
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত একটি অনন্য মিঠা পানির জলাবন। এটি দেশের একমাত্র স্বীকৃত জলাবন এবং বিশ্বের কয়েকটি মিঠা পানির জলাবনের মধ্যে একটি। এটি "সিলেটের সুন্দরবন" বা "বাংলার অ্যামাজন" নামেও পরিচিত। রাতারগুল সিলেট শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত। এটি চেঙ্গির খাল নামক একটি শাখা নদীর মাধ্যমে গোয়াইন নদীর সঙ্গে সংযুক্ত। বনটি প্রায় ৩,৩২৫.৬১ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যার মধ্যে ৫০৪ একর ২০১৫ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

রাতারগুলে প্রায় ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া যায়। প্রধান গাছগুলোর মধ্যে করচ (Dalbergia reniformis), হিজল (Barringtonia acutangula), মুর্তা (Schumannianthus dichotomus), কদম (Neolamarckia cadamba) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এই বনটি বিভিন্ন স্তরের গাছপালা নিয়ে গঠিত, যার উপরের স্তরে বড় গাছ এবং নিচের স্তরে ঘন ঝোপঝাড় রয়েছে। প্রাণিজগতের মধ্যে বানর, সাপ, গুইসাপ, মেছোবাঘ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি (যেমন বক, মাছরাঙা, চিল), এবং শীতকালে আগত পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। এছাড়া, এখানে ৯৪ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, যার মধ্যে অনেকগুলো বিপন্ন বা সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। রাতারগুল ভ্রমণের জন্য বর্ষাকাল (মে থেকে সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে উপযুক্ত সময়, যখন বনটি পানিতে নিমজ্জিত থাকে এবং নৌকায় করে ঘুরে দেখা যায়। পর্যটকদের বন পরিদর্শনের জন্য বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয় এবং স্থানীয় নৌকা ভাড়া করে ভ্রমণ করতে হয়। বনের ভিতরে একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে, যেখান থেকে পুরো বনটির দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

রাতারগুলের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন পর্যটকদের দ্বারা শব্দদূষণ, প্লাস্টিক ও বর্জ্য ফেলা, এবং অবৈধ বন উজাড়। এ বনটির জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট প্রকৃতিপ্রেমী ও অভিযাত্রীদের জন্য একটি অনন্য গন্তব্য, যা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের এক অসাধারণ নিদর্শন।

রাতারগুলে সিলেটের অসাধারণ আঞ্চলিক গানটি পরিবেশন করেছেন নৌকার মাঝি লিচু মিয়া। আশা করি সিলেটের আঞ্চলিক গানটি আপনাদের ভালো লাগবে।