Скачать или смотреть গণি মিয়ার ছেলের কি হবে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা বৈষম্য। Quota Discrimination Primary Teacher

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং প্রায় ১০ হাজার শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথা শুনে কৃষক গণি মিয়ার ছেলে তো মহাখুশি। এবার সরকারি প্রাইমারীতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিবেন। প্রস্তুতিও ভাল।
তবে শিক্ষক নিয়োগের শর্ত দেখে মাথার ওপর আকাশ ভাঙার উপক্রম দিন আনে দিন খায় সংসারের এই ছেলেটির। কারন কোটা পদ্ধতি না থাকলেও এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা জুড়ে দেয়া হয়েছে।
এতে গণি মিয়ার ছেলের জন্য চাকরির পরীক্ষা যুদ্ধে লড়াইয়ের সুযোগ থাকছে মাত্র ২০ শতাংশ পুরুষ কোটায়। সেখানে তিনি কি টিকতে পারবেন? গণি মিয়ার নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। ৯০ দশকের পাঠ্যবইয়ের অংশ গণি মিয়ার কাল্পনিক গল্প বলছি।
সত্যিকার অর্থে গণি মিয়ার ছেলের মতোই প্রাক-প্রাথমিক বা সরকারি প্রাইমারিতে চাকরির পরীক্ষায় এমন কোটা যন্ত্রণায় আছেন অনেকে। পোষ্য কোটা, নারী কোটাই যদি ৮০ শতাংশ হয় তাহলে অন্যদের উপায় কি?
২০১৯ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মেয়েদের পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে, ছেলেদের পাসের হার ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ। অর্থাৎ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাশের হার ২ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের জিপিএর হারও বেশি।
একই বছরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারের দিক দিয়ে মেয়েরা এগিয়ে ছিল৷ মেয়েদের মধ্যে ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ পাস করলেও ছেলেদের পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ৷ সে হিসেবে মেয়েরাই বেশি মেধাবী। আবার সরকারও চাচ্ছে নারী-পুরুষের সমতা। তাহলে কোটা বৈষম্য কেন?
এবার আসি পোষ্য কোটায়। বিভিন্ন চাকরি পোষ্য কোটার বাইরেও অজ্ঞাত কারনে যারা চাকরি করছে তাদের ছেলে-মেয়েরা এমনিতেই চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন।
এমন অনেক মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে যেখানে দেখবেন শিক্ষকেরা অবসর নিলে বা মারা গেলে তাদের ছেলে-মেয়েরাই গভর্নি বডি বা প্রধান শিক্ষকসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বাবা-মায়ের উত্তরাধিকারী হিসেবে চাকরি করছেন।
এনটিআরসি পরীক্ষার কারনে যদিও এই সুযোগ কমে এসেছে। তবে কেরানীসহ বিভিন্ন নিয়োগে এখনও সেই প্রভাব রয়েই গেছে।