Скачать или смотреть সুুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আন্দোলনের পর আন্দোলন, বিপ্লবের পর বিপ্লব হবে-জাতীয় পার্টির মহাসচিব

১২ বছর জাপার ওপর আ.লীগের প্রভাব ছিল: শামীম পাটোয়ারী
নিজেস্ব প্রতিনিধি.
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ২০১২ সালের পর থেকে প্রায় ১২ বছর জাতীয় পার্টির ওপর আওয়ামী লীগের ও সরকারের একটা প্রভাব ছিল। কিন্তু বর্তমানে সরকারের আজ্ঞাবহের বাইরে এসে জাতীয় পার্টি নিজস্ব ও সঠিক রাজনীতি করছে। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আমরা যতবারই সঠিক রাজনীতি করতে চেয়েছি, ততবারই সরকারের পক্ষ থেকে দল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এবারও সরকার আমাদের দল ভেঙেছে। এতে আমরা মোটেই বিচলিত নই। তিনি বলেন, সরকার গুটি কয়েক দলের সুপারিশে এবং গুটি কয়েক দলের পক্ষে পুনর্বিন্যাস করেছে। সেই পুনবিন্যাসে নিরপেক্ষ লোক আসেনি। যেহেতু প্রশাসনে নিরপেক্ষ লোক নাই, তাই এ প্রশাসন দিয়ে নিরপেক্ষ ভোট বা নির্বাচন অসম্ভব। ভোট কাছে এলে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, তারা উৎকণ্ঠা জানাবে। নিরপেক্ষ ভোটের জন্য প্রশাসনের রদবদল করতে হয়। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ভোটের সংকেত পাওয়া গেলে, জাতীয় পার্টি নিজেদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে অংশ নিতে পারে। তবে জাতীয় পার্টি নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে, পার্টি অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। গণঅধিকার দলের সঙ্গে আমাদের কোনো আসন কিংবা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই, তারপরও তারা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে ব্যান্ড চাচ্ছে। আমাদের মনে হয় তারা অন্য একটি দলের হয়ে প্রক্সি দিচ্ছে। তবে বলতে চাই, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলে এবং সুষ্ঠু ভোট হলে ভোটের সাজানো ছক এলোমেলো হয়ে যাবে। তাছাড়া দেশের চারটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মধ্যে জাতীয় পার্টি একটি। তাই এই চারটি দলের মধ্যে একটিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হলে সেই ভোটটি এক তরফা হয়, সেই সরকার টিকে না। তাই জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের চেষ্টা করলে সেটা হবে রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতা। শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ৯১ ও ৯৬ নিজের পায়ে ভোট করেছে জাতীয় পার্টি। ২০০১ সালে নিজস্বভাবে ভোট করেছে। কোনো অ্যালায়েন্স ছিল না। কিন্তু ২০০১ সালে দেখলাম, জামায়াতের প্রার্থী থাকলে ধানের শীষের প্রার্থী অফ, ধানের শীষের প্রার্থী থাকলে দাড়িপাল্লা সেখানে অফ। যার কারণে বিএনপি জামায়াত চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার গঠন করে। এরই মাধ্যমে জোটের রাজনীতি শুরু হয়। যদিও একক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বেশি ভোট পান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ভোটে অংশ নিতে না দিলে, তাদের ভোটাররা ভোট দিতে যাবে কি না, তা সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদিও শেখ হাসিনা এ বিষয়ে পরিষ্কার করেছেন। তারপরও জাতীয় পার্টি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, বহুদলীয় গণতন্ত্রের শক্তি, যার কারণে আওয়ামী লীগের কিছু অংশ আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে পারে। জাতীয় পার্টি ৩৬৫ দিন রাজনীতি করে। আমাদের একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে, দিনে দিনে তা বাড়ছে। আমরা ভোটের জন্য প্রস্তুত। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান ও রসিকের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসীর, প্রেসিডিয়াম সদস্য আজমল হোসেন লেবু, মহানগর জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, জাপা নেতা আব্দুস সোবহানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।