Скачать или смотреть বাছুরের জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়||কৃষি খমার৩৯

বাছুরের জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়||কৃষি খমার৩৯

** ANTI-PIRACY WARNING **
This content is Copyright to কৃষি খামার৩৯।
Any unauthorized reproduction, redistribution or re-upload is strictly prohibited of this material. Legal action will be taken against those who violate the copyright of the following material presented


বাছুরের জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি সে বিষয়ে আমাদের দেশের বেশিরভাগ খামারিদেরই তেমন কোন ধারণা নেই। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গরু পালন করা হয়ে থাকে। আর গরু পালনে বাছুরের যত্ন নেওয়া অতীব জরুরী। অবহেলা কিংবা সঠিক ব্যবস্থাপনা না নিয়ে বাছুর সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। আজকে আমরা জেনে নিব বাছুরের জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে
বাছুরের জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়ঃ

বিভিন্ন কারণে বাছুর রোগে আক্রান্ত হতে পারে। নিচে বাছুরের জীবাণুঘটিত রোগ যেমন- উদরাময়, পাতলা পায়খানা, পরজীবী, সর্দি-কাশি ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত দেওয়া হল-

পাতলা পায়খানাঃ

বাছুরের অনেক সময় পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে এগুলোর মধ্যে অন্ত্রের রোগ অন্যতম। বাছুরের এই রোগ হলে ঘন ঘন পাতলা পায়খানার ফলে বাছুরের মুখ শুকিয়ে যায় এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। জীবাণুঘটিত পাতলা পায়খানার কারণে আক্রান্ত বাছুর মারাও যেতে পারে। বাছুরের এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে বাছুরকে সালফার জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়ানো যেতে পারে। দূর্বলতার জন্য স্যালাইন বা গ্লুকোজ ইনজেকশনও দেয়া যেতে পারে।

সর্দি-কাশিঃ

অত্যধিক ঠান্ডা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বৃষ্টিতে ভেজা ইত্যাদি কারণে বাছুরের সর্দি-কাশি হতে পারে। এছাড়াও রোগজীবাণুতে আক্রান্ত হলেও বাছুরের সর্দি-কাশি হতে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়া, মাঝে মাঝে হাঁচি বা কাশি দেয়া প্রাথমিক লক্ষণ, তবে এর সাথে শরীরে ব্যথা ও জ্বর হতে পারে। সর্দি-কাশি দেখা দিলে আক্রান্ত বাছুরটিকে শুকনা ও আলো-বাতাস পূর্ণ ঘরে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই রোগের চিকিৎসায় বাছুরকে সালফার জাতীয় ট্যাবলেট, সালফাডায়াজিন, ইত্যাদি খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। তবে কুসুম গরম সরিষার তৈল, কর্পূর বা তারপিন লিনিমেন্ট দুই পাঁজরে মালিশ করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

বাছুরের পরজীবী বা কৃমি রোগঃ

বাছুর সাধারণত যেসব কৃমি দ্বারা বাছুর আক্রান্ত হয় এগুলোর মধ্যে লম্বা, গোল, কেঁচো বা সুতা কৃমি, ফিতা কৃমি, চ্যাপ্টা বা পাতা কৃমি উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন প্রকারের কৃমি পশুর পাকস্থলী ও অন্ত্রনালীতে বাস করে।

আবার কোনো কোনো কৃমি কলিজা ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে থাকে। কৃমি আক্রান্ত পশু মাঠে বা চারণভূমিতে মলত্যাগ করার ফলে মাঠের ঘাস দূষিত হয়। আর এসব দূষিত ঘাস সুস্থ গরু খেলে তারাও কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও অনেক কৃমি আছে যা শরীরের চামড়া ভেদ করে দেহে প্রবেশ করতে পারে। কৃমিতে আক্রান্ত বাছুর সহজে মারা না গেলেও বাছুরের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়ে থাকে। বাছুরের বৃদ্ধি হ্রাস পায় ও আক্রান্ত বাছুরকে ঠিকমত খাবার দিলেও তার স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কোন কাজে আসে না।

বাছুরের পরজীবী রোগের লক্ষণঃ

১। পরজীবী আক্রান্ত বাছুরের শরীরের লোম উস্কোখুস্কো দেখায়।

২। বাছুর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দৈহিক বৃদ্ধি ও খাওয়া দাওয়া কমে যায়।

৩। বাছুর ক্রমান্বয়ে হাড্ডিসার হয়ে পড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।

৪। কখনো পাতলা পায়খানা আবার কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

৫। আক্রান্ত বাছুরের শরীরে বিশেষত চোয়ালের নিচে পানি জমতে থাকে।

বাছুরের পরজীবীর চিকিৎসাঃ

বাছুর পরজীবী তথা কৃমিতে আক্রান্ত হলে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় বাছুরকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ১ বার উচ্চ ক্ষমতার কৃমিনাশক খাওয়ালে ভালো ফল পাওয়া যায়।