Скачать или смотреть কলাই চাষ পদ্ধতি ||mas kolai |mug kolai|কলাই চাষ || kolai chas || Cultivation of pot

কলাই চাষ || kolai chas || Cultivation of pot
www.desihaatfpo.com
  / desihaatfpo  

Join Whatsapp Group : https://chat.whatsapp.com/JDIP2JzhNRY...
Join Facebook Group : https://www.facebook.com/share/g/7mWi...
#fpc #farming #agriculture #fpo #training #technology #farming #farmingvideos #farminglife #new #technolagyfarming #education #viralvideo #viralshorts #kolai
আরও জানতে আমাদের অফিস এ কল করুন : tel:8001007864

Farmers Produce Company (কৃষক উৎপাদক সংস্থা )
গঠন করলে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় ?
১. ন্যায্য় মূল্যে সরকারী ধান ক্রয় কেন্দ্র ।
২. অনলাইন এর মাধ্যমে কৃষি জাত পণ্য ক্রয় বিক্রয়
৩. চুক্তি চাষ
৪. বীজ বিক্রয় কেন্দ্র
৫. সার বিক্রয় কেন্দ্র
৬. chc কেন্দ্র
৭. csc কেন্দ্র
৮. Export Import
৯. কীটনাশক বিক্রয় কেন্দ্র
১০. মাটি পরীক্ষা কেন্দ্র
১১. গবেষণা কেন্দ্র
১২. কৃষি শিক্ষা কেন্দ্র
১৩. Agri-Infra Fund থেকে দু কোটি টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারেন
১৪. মাছ ও পশু পালন এর কাজের জন্য লোন
১৫. Agri মার্কেট linkage

আরও জানতে আমাদের অফিস এ কল করুন : tel:8001007864

এই ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করুন এখানে ক্লিক করে :
   / @desihaatfpo2020  .
কলাই চাষ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডাল ফসল, যা পুষ্টি এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি স্বল্প খরচে সহজে চাষযোগ্য এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফসল। কলাইয়ের বীজে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা মানুষের খাদ্য এবং পশুখাদ্য হিসেবে অত্যন্ত মূল্যবান। নিচে কলাই চাষের পদ্ধতি, গুরুত্ব, এবং উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. কলাইয়ের জাত
বিভিন্ন জাতের কলাই চাষ করা হয়, যা স্থানীয় আবহাওয়া এবং মাটির ধরন অনুযায়ী নির্বাচন করা হয়। কিছু প্রধান কলাইয়ের জাত হল:

দেশি কলাই (Lathyrus sativus): দেশজ প্রজাতি, যা খরা এবং প্রতিকূল পরিবেশে সহজে জন্মে। এটি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এবং মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
মসুর কলাই (Lens culinaris): এটি একটি জনপ্রিয় প্রজাতি, যা রান্নায় এবং খাদ্য হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার করা হয়।
মুগ কলাই (Vigna radiata): মুগ ডাল একটি জনপ্রিয় ডাল, যা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু।
মটর কলাই (Pisum sativum): মটর কলাই খাদ্য ও পশুখাদ্য উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় এবং এটি মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
২. জমি প্রস্তুতি
মাটির ধরন:
কলাই চাষের জন্য উঁচু এবং মাঝারি উঁচু জমি উপযোগী। ভাল নিষ্কাশন ব্যবস্থাযুক্ত দোআঁশ, বেলে-দোআঁশ মাটিতে কলাই ভালো ফলন দেয়। মাটির পিএইচ মাত্রা ৬.৫-৭.৫ এর মধ্যে থাকা উত্তম।

জমি চাষ:
জমি চাষের আগে গভীরভাবে চাষ করতে হবে, যাতে মাটি নরম এবং বাতাস চলাচল করতে পারে। জমি প্রস্তুতির সময় মাটিতে ২-৩ বার লাঙল দিয়ে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে। জমিতে জৈবসার এবং প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৩. বীজ বপন
বপনের সময়:
সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ মাসের মধ্যে (অক্টোবর থেকে জানুয়ারি) কলাইয়ের বীজ বপন করা হয়। শীতকালীন আবহাওয়া এবং মাটির আর্দ্রতা বীজের গজানোর জন্য আদর্শ।

বীজের পরিমাণ:
প্রতি একরে ২০-২৫ কেজি বীজ প্রয়োজন হয়। বীজের হার নির্ভর করে জাত এবং বপনের পদ্ধতির উপর।

বপনের পদ্ধতি:
কলাইয়ের বীজ ছিটিয়ে বা সারিতে বপন করা যায়। সারিতে বপন করলে সারির দূরত্ব ২৫-৩০ সেমি রাখা উচিত এবং গাছের দূরত্ব ৮-১০ সেমি হওয়া প্রয়োজন।

বীজের গভীরতা:
বীজ ২-৩ সেমি গভীরে বপন করতে হবে। বেশি গভীরে বপন করলে বীজের গজানো বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

৪. সেচ এবং পানি ব্যবস্থাপনা
প্রথম সেচ:
বীজ বপনের সময় জমিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকা উচিত। প্রয়োজন হলে বপনের পরপর প্রথম সেচ দিতে হবে।

অতিরিক্ত পানি থেকে সুরক্ষা:
কলাই গাছ বেশি পানি সহ্য করতে পারে না। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে গাছ মরে যেতে পারে।

সেচের সংখ্যা:
শুষ্ক অঞ্চলে প্রয়োজন অনুযায়ী ১-২ বার সেচ দিতে হবে, বিশেষত ফুল ফোটার সময় এবং বীজ ধরার সময় সেচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৫. সার ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনা
জৈবসার প্রয়োগ:
জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য জৈবসার যেমন গোবর সার বা কম্পোস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘস্থায়ী উর্বরতা বজায় রাখতে সহায়ক।

রাসায়নিক সার:
কলাইয়ের ভালো ফলনের জন্য সুষম সার ব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্রতি একরে ১৫-২০ কেজি ইউরিয়া, ৩০-৩৫ কেজি টিএসপি এবং ২০-২৫ কেজি পটাশ প্রয়োগ করা যেতে পারে।

সারের সময়:
প্রথম সেচের আগে এবং ফুল আসার সময় সারের সঠিক মাত্রা ব্যবহার করতে হবে, যাতে গাছ পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়।

৬. আগাছা ও রোগবালাই দমন
আগাছা নিয়ন্ত্রণ:
আগাছা গাছের বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা কমায়। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে ১-২ বার আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।

রোগবালাই:
কলাইয়ের প্রধান রোগ হলো পাউডারি মিলডিউ, উইল্ট, ব্লাইট এবং কলাইয়ের শুঁটি পোকার আক্রমণ। এই রোগ ও পোকা প্রতিরোধের জন্য সঠিকভাবে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিরোধক ব্যবস্থা: বীজ শোধন করা, প্রতিরোধী জাত নির্বাচন, এবং সুষম সার ব্যবহার করে রোগের প্রকোপ কমানো যেতে পারে।
৭. ফসল সংগ্রহ
ফসল কাটার সময়:
কলাইয়ের গাছের পাতা ও শুঁটি হলুদ হলে ফসল কাটার সময় আসে। সাধারণত বপনের ৮০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল কাটা যায়।

ফসল সংগ্রহ পদ্ধতি:
ফসল কাটার পর শুঁটিগুলো শুকিয়ে মাড়াই করে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। মাড়াই করার পর বীজগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে বীজে আর্দ্রতা না থাকে।