কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না | সাধন ঘোষ | অ্যালবামঃ পথ-চাওয়াতেই আনন্দ

Описание к видео কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না | সাধন ঘোষ | অ্যালবামঃ পথ-চাওয়াতেই আনন্দ

কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না শুকনো ধুলো যত!
কে জানিত আসবে তুমি গো অনাহুতের মতো । ।
পার হয়ে এসেছ মরু,নাই যে সেথায় ছায়াতরু-
পথের দু:খ দিলেম তোমায় গো এমন ভাগ্যহত । ।
আলসেতে বসে ছিলেম আমি আপন ঘরের ছায়ে,
জানি নাই যে তোমায় কত ব্যথা বাজবে পায়ে পায়ে।
ওই বেদনা আমার বুকে বেজেছিল গোপন দুখে-
দাগ দিয়েছে মর্মে আমার গো গভীর হৃদয়ক্ষত । ।

তথ্যপঞ্জি:
রচনার তারিখ: ২৪ চৈত্র ১৩২০ (৭ এপ্রিল ১৯১৪)। কবির বয়স: ৫২। রচনার স্থান: শান্তিনিকেতন। প্রকাশ: ১.গীতিমাল্য কাব্য, আষাঢ় ১৩২১, ৯১ সংখ্যক গান; ২. গীতবিতান (১ম সং ) ২য় খণ্ড, আশ্বিন ১৩৩৮; ৩. গীতবিতান (২য় সং) ১ম খণ্ড, ভাদ্র ১৩৪৫; ৪. গীতবিতান (অখণ্ড), আশ্বিন ১৩৭১। পর্ব: পূজা, ৫১ সংখ্যক গান। উপপর্ব: বন্ধু। রাগ: পিলু- ভীমপলশ্রী। তাল: দাদ্রা। পূবর্তন স্বরলিপি: ১. আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা, পৌষ ১৩২২, ইন্দিরা দেবী; ২. গীতলেখা ৩য় খণ্ড ১৩২৭, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রচলিত স্বরলিপি: স্বরবিতান- ৪১, দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথের জীবনকালে প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড: হরেন্দ্রনাথ দত্ত, গ্র্রামোফোন পি ৬৫৭৪।

পাঠভেদ:
১. পার হয়ে এসেছ মরু......
২. আলসেতে বসে ছিলেম আমি....
৩. ওই বেদনা আমার বুকে...
:স্বরলিপি অংশ, গীতলেখা ৩, ১৩২৭; গীতবিতান (অখণ্ড), ১৩৭১।
৪. পথের দু:খ দিলেম তোমায় গো ...
৫. দাগ দিয়েছে মর্মে আমার গো গভীর হৃদয়ক্ষত : গীতবিতান (অখণ্ড ), ১৩৭১।
১. তুমি পার হয়ে এসেছ মরু.....
২. তখন আলসেতে বসে ছিলেম আমি....
৩. ঐ বেদনা আমার বুকে
: কথার অংশ, গীতলেখা ৩, ১৩২৭, গীতবিতান ১ম সংস্করণ ১৩৩৮, ২য় সংস্করণ ১৩৪৫
৪. পথের দু:খ দিলেম তোমায়....
৫. দাগ দিয়েছে মর্মে আমার গভীর হৃদয়ক্ষত
: গীতবিতান ১ম সংস্করণ ১৩৩৮, ২য় সংস্করণ ১৩৪৫।

সংগীতভাষ্য:
রবীন্দ্রনাথের ঈশ্বরভাবনায় বিশ্ববিধাতা এবং ভক্তজনের সম্পর্কের মধ্যে একটা প্রতিসমতা আছে। পরমেশ্বর সেখানে একই সাথে প্রভু এবং প্রিয়, পূজ্য এবং প্রেয়,নাথ এবং সখা। মিলনের ব্যগ্রতা ভক্তের যেমন, ঈশ্বরেরও তেমনি। কেন চোখের জলে দিলেম না গানে যে অনাহুত অতিথির আগমন বার্তা আছে, তিনি সেই পরানসখা পরমেশ^র। কবি-হৃদয়ের গোপন বিজন ঘরে তিনি এসেছেন ছায়াতরুহীন মরুপ্রান্তর পেরিয়ে, পায়ে পায়ে অন্তহীন ব্যথা বাজিয়ে। তাঁর আসার কোনো পূর্বভাস পান নি কবি। তাই চোখের জলে ভিজিয়ে দেয়া হয়নি যাত্রাপথের শুকনো ধুলো। ভক্তপ্রাণে প্রেম বিলিয়ে দিতেই পরানসখার এমন হঠাৎ আসা। কিন্তু চিরবাঞ্ছিত বন্ধুর এই অকস্মাৎ আগমনে কবির প্রাণে খুশির তুফান ওঠে নি, হঠাৎ পাওয়ায় চম্কে ওঠে নি মন। বরং পথের দুঃখ দিলেম তোমায় গো- এই অনুতাপ গানটিতে একটা বিষণ্ণতা এনে দেয়। অবশ্য আভোগ অংশে অনাহুত অতিথির বেদনা যখন কবির বুকে গোপন দু:খ হয়ে বাজে,মর্মে দাগ দিয়ে যায়,গভীর হৃদয়কে বিক্ষত করে, তখন অনুতাপের প্রচ্ছদপটে অনুরাগের প্রলেপ পড়ে। সে অনুরাগ চিরসখার জন্য- চিরবন্ধুর জন্য।

যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনাঃ দুর্বাদল চ্যাটার্জী
পরিকল্পনা ও কপিরাইটঃ সোমা ঘোষ (সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত)
কারিগরি সহায়তাঃ দেবজ্যোতি সরকার

Комментарии

Информация по комментариям в разработке