নিলামকৃত সম্পত্তি/Auction property/সরকারী পাওনা আদায়/Government debt collection/Law tips bd/লটিপস

Описание к видео নিলামকৃত সম্পত্তি/Auction property/সরকারী পাওনা আদায়/Government debt collection/Law tips bd/লটিপস

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আইনি পরামর্শ পেতে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ৫১০ টাকা বিকাশ করে পরামর্শ নিতে পারবেন। সরাসরি সাক্ষাৎ করে আইনী পরামর্শ নিতে চাইলে ০১৭১৬-৮৫৬৭২৮ নম্বরে ১৫৩০ টাকা বিকাশ করে সাক্ষাতের সময়সূচি জেনে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যদি থাকে) নিয়ে চেম্বারে আসতে হবে। ঠিকানা: ব্যারিষ্টার দোলন এন্ড এ্যাসোসিয়েটস, প্রেস্টিজ হোমস (১ম তলা), চিটাগাং হোটেলের সামনে, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অথবা প্রামাণিক ল’ চেম্বার, জজ কোর্ট চত্ত্বর, কুষ্টিয়া। This Channel does not promote and encourage any illegal content, illegal activities. The aim and objects of this channel is to create a law-conscious population.

নিলাম ক্রয়-বিক্রয়, নিলাম জারী, নিলাম রদ, ডিক্রি জারী অর্থাৎ নিলাম সম্পর্কিত যে সব সাধারণ জিজ্ঞাসা রয়েছে-সেগুলোর আইনী আলোচনা ও সমাধান নিয়ে এ আলোচনা। শুরুতেই জেনে নিই নিলাম কি। সাধারণ ভাষায়, প্রকাশ্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিক্রয় প্রক্রিয়াকে নিলাম বলে। সার্টিফিকেট জারীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি কোনো সম্পত্তি নিলাম খরিদ করে নিলে সরকার পক্ষ সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়। তবে দখল বুঝিয়ে দেয়ার সময় যে সনদপত্র প্রদান করেন তাকে দখলনামা বলে। সরকারের লোক সরেজমিনে গিয়ে ঢোল পিটিয়ে, লাল নিশান উড়িয়ে বা বাঁশ গেড়ে দখল প্রদান করেন। কোনো ডিক্রিজারির ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হলে আদালত ওই সম্পত্তির ক্রেতাকে দখল বুঝিয়ে দিয়ে যে সার্টিফিকেট প্রদান করেন তাকেও দখলনামা বলা হয়। যিনি সরকার অথবা আদালতের নিকট থেকে কোনো সম্পত্তির দখলনামা প্রাপ্ত হন, ধরে নিতে হবে যে, দখলনামা প্রাপ্ত ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে দখল আছে।

আমরা সবাই জানি যে, যেকোন দেওয়ানী প্রকৃতির মামলার বিচার নিস্পত্তি হয় আদালত কর্তৃক ঘোষিত রায়ে ডিক্রী বা ডিস্মিস এর মাধ্যমে। যে সকল মামলার ডিক্রি শুধু রায় ঘোষণার মাধ্যমে চূড়ান্ত নিস্পত্তি হয় না তা আদালতের পরবর্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে (জারী) চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করতে হয়, সে সকল কার্যক্রমই ডিক্রী জারীর আওতাভূক্ত। যেমন কোন ব্যক্তি তার স্বত্ব দখলীয় জমি হতে বেদখল হলে বেআইনী দখলদারকে উচ্ছেদ পূর্বক তাতে ডিক্রীদারকে (বাদী) খাস দখল পেতে ডিক্রী জারী করতে হয়। সম্পত্তিতে বিভিন্ন ওয়ারেশ বা ক্রয় সূত্রে অংশীদারগণের মধ্যে স্বত্ব দখলীয় অংশ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে এবং আদালত প্রার্থীগণের অংশ মোতাবেক বাটোয়ারা ডিক্রী প্রদান করলে এবং পক্ষগণের মধ্য বণ্টন করে দিতে হলে উক্ত ডিক্রী জারীর মাধ্যমে সমাপ্ত হতে হয়। কেউ মানিস্যুট বা অর্থঋণ আদালতে মামলা করলেএবং ডিক্রী পেলে তা ডিক্রী জারী কার্যক্রমের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হয়। অর্থাৎ ডিক্রী পেলেও তা জারীর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি না হলে ৬ মাস থেকে ২০/২৫ বছর মামলা চালিয়ে ডিক্রী পেলেও তা অর্থহীন হয়ে যায়। অর্থাৎ শুধু ঘোষণামুলক ডিক্রী ছাড়া সকল ঊীবপঁঃধনষব ডিক্রী আদালতের মাধ্যমে কার্যকরী করতে হয়।

এবার জেনে নিই ডিক্রি জারীর বিধানাবলী সম্পর্কে। ডিক্রি জারীযোগ্য মামলায় ডিক্রি জারী করিতে ইচ্ছুক হইলে ডিক্রিদার মূল আদালতে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ২১ আদেশের ১১ নিয়মের বিধান মোতাবেক হাইকোর্ট ফরম নং ৪৭ এর চাপানো ফরমে আবেদন করিতে পারে। সাধারণত দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তির ৩ বৎসরের মধ্যে ডিক্রিদারকে ডিক্রি জারী দরখাস্ত দাখিল করিতে হয়। টাকা আদায়ের জারীর আবেদনে অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের জন্য ২১ আদেশের ৩০ নিয়মের ক্রোকি পরোয়ানায় উল্লিখিত টারা নগদ প্রদান না করলে অস্থার সম্পত্তি ক্রোক করা হয় এবং নিলাম বিক্রয় করে অথবা দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করে টাকা আদায় করা হয়। অস্থাবর সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ে ডিক্রির টাকা মিটানো সম্ভব না হইল স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করতঃ নিলামে বিক্রয় করে ডিক্রিকৃত টাকা আদায় করা যায়। প্রকৃতপক্ষে দায়িকের স্থাবর সম্পত্তি নির্মিত হওয়ার পর ক্রোক ও নিলামের আদেশ দেওয়া হয়। দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ২১ আদেশের ৫৪ নিয়মের বিধান মোতাবের দায়িকের উপর এবং ভূমির উপর পরোয়ানা জারী করে স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। তৎপর দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ২১ আদেশের ৬৬ নিয়মের নোটিশ এবং নিলাম ইস্তেহার জারী করতে হয়। নিলাম ইস্তেহারের বিষয় স্থানীয় এবং জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে অন্ততঃপক্ষে ৩০ দিন এবং অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫ দিন অপেক্ষার পর বিক্রয় অনুষ্ঠিত হবে। তবে দায়িক অনুমতি প্রদান করিলে সময় গণনার প্রয়োজন নাই।

একটা বিষয় জেন রাখা দরকার যে, ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের ৭ ধারা মোতাবেক সম্পত্তি নিলাম হওয়ার পূর্বে বিবদীর নোটিশ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির পর উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে ২২ ধারার বিধান মোতাবেক তিনি সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট নিলাম বাতিলের আবেদন এবং আবেদনের জন্য সময় পেতে পারে কিংবা নিলামের ব্যাপারে আপত্তি দাখিল করতে পারেন। এমনকি কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি নিলাম হলে ওই নিলামের বিরুদ্ধে তিনি আপিল, রিভিউ, রিভিশন করতে পারেন। ক্রোক বা নিলামযোগ্য সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে জমি, ঘর, বাড়ি, নগদ টাকা, চেক, বন্ড, লোন, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, এফ. ডি. আর এবং অন্যান্য বিক্রয়যোগ্য সামগ্রী। আর ক্রোক বা নিলাম অযোগ্য সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে-পরিধেয় পোষাক, বিছানা, রান্নার সামগ্রী, হালের বলদ, কৃষি যন্ত্রপাতি, আবশ্যক বাসগুহ, মজুরের পারিশ্রমিক, বেতনের অংশ, ভবিষ্যত ভাতার অধিকার, সরকারী বৃত্তি ইত্যাদি।

মনে রাখবেন ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের ৭ ধারার নোটিশ পাওয়ার পর দেনাদার ঐ সম্পত্তি কারো নিকট গোপনে হস্তান্তর করলেও দেনাদারের বিদ্যমান সকল স্বত্ব, স্বার্থ ও অধিকার নিলাম ক্রেতার উপর বর্তাবে।
#law_tips_bd
#seraj_pramanik
#lawtips
#auction
#Auction_property
#auction_techniques
#Nilam_property
#নিলাম
#নিলামসম্পত্তি
#নিলামজমি
#নিলামক্রয়
#নিলামবিক্রয়
#নিলামকী
#দখললামা

Комментарии

Информация по комментариям в разработке