Скачать или смотреть হরিচাঁদ ঠাকুরের বন্দনা । অথ মঙ্গলাচরণ । Harichand Thakur bandona । হরিলীলামৃত । হরিচাঁদ । মতুয়া

জয় হরিচাঁদ জয় গুরুচাঁদ, সকল হরি ভক্তের চরণে আমার ভক্তি পূর্ণ প্রণাম নিবেদন করছি।
জয় জয় শান্তি হরি গুরুচাঁদ প্রিতে প্রেমানন্দে হরিবোল।

বন্দনাঃ
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রী বৈষ্ণব দাস জয় গৌরী দাস।
জয় শ্রী স্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর,
পতিত পাবন হেতু হৈলা অবতার।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন,
জয় শ্রী গোলোকচন্দ্র জয় শ্রী লোচন।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়,
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ,
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।

অথ মঙ্গলাচরণঃ
হরিচাঁদ চরিত্রসুধা প্রেমের ভান্ডার,
আদি অন্ত নাহি যার কলিতে প্রচার।
সত্য ত্রেতা দ্বাপরের শেষ হয় কলি,
ধন্য কলিযুগ কহে বৈষ্ণব সকলি।
তিন যুগ পরে কলি যুগ এ কনিষ্ঠ,
কনিষ্ঠ হইয়া হৈল সর্ব্বযুগ শ্রেষ্ঠ।
এই কলিকালে শ্রীগৌরাঙ্গ অবতার,
বর্ত্তমান ক্ষেত্রে দারুব্রহ্মরূপ আর।
যে যাঁহারে ভক্তি করে সে তার ঈশ্বর,
ভক্তিযোগে সেই তার স্বয়ং অবতার।
হয়গ্রীব অবতার কপিলাবতার, অষ্টাবিংশ অবতার পুরাণে প্রচার।
মৎস্য কূর্ম্ম বামন বরাহ নরহরি, ভৃগুরাম রঘুরাম রাম অবতরি।
ঈশ্বরের অংশকলা সব অবতার,
প্রথম পুরুষ অবতার রঘুবর।
নন্দের নন্দন হ’ল গোলোকের নাথ,
সংকর্ষণ রাম অবতার তাঁর সাথ।
সব ঈশ্বরের অংশ পুরাণে নিরখি,
বর্ত্তমান দারুব্রহ্ম অবতার কল্কি।
সব অবতার হ’তে রাম দয়াময়, দারুব্রহ্ম দয়াময় কৃষ্ণ দয়াময়।
পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণানন্দ নন্দের নন্দন, সেই নন্দসূত হ’ল শচীর নন্দন।
যে কালে জন্মিল কৃষ্ণ পূর্ণব্রহ্ম নয়,
পূর্ণ হ’ল যেকালে পড়িল যমুনায়।
শচীগর্ভে জন্ম ল’য়ে না ছিলেন পূর্ণ,
দীক্ষাপ্রাপ্তে পূর্ণ নাম শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।
তখন হইয়া পূর্ণ সন্ন্যাস করিলে,
আটচল্লিশ বর্ষ পরে মিশিলা উৎকলে।
সকল হরণ করে তাঁরে বলি হরি।
রাম হরি কৃষ্ণ হরি শ্রীগৌরাঙ্গ হরি।
প্রেমদাতা নিত্যানন্দ তাঁর সমিভ্যরে,
হরিকে হরয় সেই হরিভক্ত দ্বারে।
নিত্যানন্দ হরি কৃষ্ণ হরি গৌর হরি,
হরিচাঁদ আসল হরি পূর্ণানন্দ হরি।
এই হরিচাঁদ লীলা সুধার সাগর, তারকেরে কর হরি তাহাতে মকর।
জয় জয় শান্তি হরিচাঁদ গুরুচাঁদ প্রিতে প্রেমানন্দে হরিধ্বনী বলমন।

মাতা পিতার বন্দনা:-

পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম সর্ব শাস্তে কয়।
ভাবিয়া পিতার পদ রাখিনী মাথায়।।
যাহায় কৃপাতে আমি এ জগতে আসি।
তাহার চরনে পাপ খন্ডে রাশি রাশি।।
না বুঝিয়া কত পাপ করেছি চরনে।
এ পাপের নাহি ক্ষমা সে চরন বিনে।।
কত কষ্টে পিতা মোরে করেছ পালন।
পিতৃ ঋন শোধ দিতে পারে কোন জন।।
পিতা যে পরম বস্ত সাধনের ধন।
পুজালিনা সে চরন ওরে মূঢ় মন।।
মায়া জালে হয়ে বন্দি সে সব ভূলিলি।
ঘরেতে রাখিয়া ধন বাইরে খুজিলি।।
যখন ছিলিরে মন পিতৃ মনিপুরে।
তথা হতে আইলিরে জননী জঠরে।।
দশ মাস দশ দিন ছিলে মাতৃ গর্ভে।
মাতা মোর কত কষ্ট করে কত ভবে।।
অসহ্য যাতনা মাতা সহে হাস্য মুখে।
আশাতে বাধিয়া বুক সদা থাকে সুখে।।
দশ মাস দশ দিন যখন হইল।
প্রসব করিতে মাতা কত কষ্ট পেল।।
তার পর কত ভবে করেছে পালন।
স্তন দুগ্ধ দিয়ে মোর বাঁচায় জীবন।।
তবু মাতা দিন রাত দেখিল অন্তরে।
মাতা আমারে কলে করে কত যত্ন করে।।
নিজে না খায়িয়া মাতা খাওয়াইছে মোরে।
মলমুএ ধোয়ায়িছে, ঘৃনা নাইি করে।।
এত কষ্ট করে মাতা তবু হাস্য মুখে।
পুএের বদন হেরি পাসরিল দুঃখ।।
মা শব্দের তুল্য দিতে আর কিছু নাই।
এই চরনে গয়া গঙ্গা সব কিছু পাই।।
এহেন মায়ের পদ ভাবিয়া অন্তরে।
লিখিলাম এই পুথি মা বাবার বরে।।
মাতা পিতা চরনে করিলাম স্তুতি।
পাপ দেহে যেন মোর জাগায় ভক্তি।।
তাই বলি ওরে মন হরি হরি বল।
#কিশোর #মতুয়া #হরিলীলামৃত #orakandi বন্দনা #bondhona #horililamrito