Скачать или смотреть 🎧

#কবরের_আজাব #সূরা_বালাদ #সুরা_ইয়াসিন #সূরা_আর_রহমান #ক্বারী_আব্দুল_বাসেত
#foryou #motivation ##foryoupageシ #rreels #reelsviralシfb #হাদিস #আল_কোরআন #আল্লাহু_আকবার #১১৪_সূরা #সূরা_আল_বাকারা #সূরামুলক #সূরা_ওয়াকিয়া #সূরা_জুমআ


সূরা বালাদের ফজিলত ও আমল:

পবিত্র কুরআনুল কারীমের ৯০ নম্বর সূরা হলো *সূরা বালাদ* (সূরা আল-বালাদ)। এটি মক্কায় নাযিল হওয়া একটি মাক্কী সূরা, যাতে মোট ২০টি আয়াত রয়েছে। সূরাটি কুরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। সূরার নামকরণ তার প্রথম আয়াতের "বালাদ" (শহর) শব্দ থেকে হয়েছে, যা মক্কা শহরকে নির্দেশ করে। এ সূরায় আল্লাহ তাআলা মানুষের সৃষ্টি, জীবনের কষ্টসাধ্যতা, সৎকর্মের গুরুত্ব এবং কাফিরদের শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন।


সূরা বালাদের ফজিলত

সূরা বালাদের ফজিলত সম্পর্কে হাদীসে সরাসরি কোনো বিশেষ বর্ণনা না থাকলেও, এটি কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা হিসেবে সাধারণ কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত ভোগ করে। কুরআনের যেকোনো সূরা তিলাওয়াতের ফজিলত হাদীসে বর্ণিত, যেমন: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "কুরআন পাঠকারী তার প্রত্যেক হরফের জন্য দশ ভালো আমলের সওয়াব পাবে।" (তিরমিযী)। সূরা বালাদের বিশেষ ফজিলত হলো:

1. **মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য বোঝানো**: সূরায় আল্লাহ শপথ করে বলেছেন যে, মানুষকে শ্রমনির্ভর প্রাণী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে (আয়াত ১-৪)। এটি পড়লে মানুষ বুঝতে পারে যে জীবন কষ্টসাধ্য, কিন্তু সৎকর্মের মাধ্যমে জান্নাত লাভ সম্ভব। এটি হৃদয়কে নরম করে এবং তাকওয়া বাড়ায়।

2. **সৎকর্মের পথ দেখানো**: আয়াত ১১-১৬-এ দাসমুক্তি, দুর্ভিক্ষকালে অন্নদান, ঈমান আনা এবং হিজরতের মতো সৎকর্মের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এগুলো পড়লে নেক আমলের প্রতি অনুপ্রাণিত হওয়া যায়, যা কিয়ামতের দিন মুক্তির কারণ হবে।

3. **কাফিরদের শাস্তির স্মরণ**: সূরার শেষ আয়াতগুলোতে (১৭-২০) কাফিরদের জাহান্নামী শাস্তির কথা বলা হয়েছে, যা তাকওয়া বাড়ায় এবং গুনাহ থেকে দূরে রাখে।

সূরাটি তিলাওয়াত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ, পাপমোচন এবং হিদায়াতের ফজিলত রয়েছে।


সূরা বালাদের আমল

সূরা বালাদের তিলাওয়াত এবং আমলের জন্য নিম্নলিখিত সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। এগুলো কুরআনের সাধারণ আমলের সাথে যুক্ত:

1. **দৈনিক তিলাওয়াত**: প্রতিদিন নামাজের পর বা রাতে ঘুমানোর আগে সূরাটি পড়ুন। বিশেষ করে ফজর বা মাগরিবের পর। এতে হৃদয়ের শান্তি এবং জীবনের কষ্ট সহ্য করার শক্তি পাওয়া যায়।

2. **সৎকর্মের সাথে যুক্ত করা**: সূরা পড়ার পর দান-সদকা করুন, যেমন দাসমুক্তির উদাহরণ অনুসরণ করে গরিবকে সাহায্য করুন। হাদীসে আছে, নেক আমল কুরআনের তিলাওয়াতকে আরও ফলপ্রসূ করে।

3. **দোয়া করা**: সূরা শেষ করে দোয়া করুন: "ইয়া আল্লাহ! এ সূরার বরকাতে আমাকে সৎকর্মের তাওফিক দান করুন এবং কবর ও জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।" এটি কুরআনের সাধারণ ফজিলত অনুসারে কবরের আযাব থেকে প্রতিরক্ষা করে।

4. **শিখানো এবং শেখানো**: সূরাটি শিখে অন্যদের শেখান। রাসুল (সা.) বলেছেন, "সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে কুরআন শিখে এবং শেখায়।" (বুখারী)।

সম্পূর্ণ সূরা তিলাওয়াতের জন্য বিশ্বস্ত কুরআন অ্যাপ বা বই ব্যবহার করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে এ সূরার তিলাওয়াত ও আমলের তাওফিক দান করুন, যাতে আমরা সৎকর্মের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করি, আমীন।