Скачать или смотреть চট্টগ্রামে কী আছে কী নেই ? | Chittagong City | পার্বত্য চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে কী আছে কী নেই
বাংলাদেশের নয়টি প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম হলো বৃহত্তম বিভাগ। ১৮২৯ সালে এটি গঠিত হয়। এই বিভাগের আয়তন ৩৪,৫২৯.৯৭ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশের মানচিত্রে চট্টগ্রাম বিভাগের অবস্থান পূর্ব দক্ষিণ অঞ্চলে। এর বিভাগীয় সদর সপ্তর দপ্তর চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানীও বলা হয়।


ভৌগলিক অবস্থান ও সীমানা
বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বে ২০°৩৫' থেকে ২২°৫৯' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°২৭' থেকে ৯২°২২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ বরাবর। সীমানা পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা , মিজোরাম, মায়ানমারের আরাকান প্রদেশ। পশ্চিমে মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর, ভোলা জেলা রয়েছে। উত্তরে রয়েছে কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ ও নরসিংদী। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, মায়ানমারের আরাকান প্রদেশ।

জেলা-উপজেলা সমূহঃ চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে ২টি সিটিকর্পোরেশন, ১১ টি জেলা, ১০৩ টি উপজেলা, ১২০ টি থানা, ৬২ টি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ ৯৪৯টি।
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোঃ চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগরাছড়ি, নোয়াখালি, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চাদপুর, বাহ্মণবাড়িয়া।


ব্যবসা বাণিজ্যঃ
চট্টগ্রাম আমাদের বাণিজ্যিক রাজধানী। চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে দেশের সর্বমোট বাণিজ্য রপ্তানীর প্রায় ৭৫% ভাগ সংগঠিত হয় এবং এর মধ্যে দিয়েই সঞ্চালিত হয় দেশের অর্থনৈতিক জীবনীশক্তি। একটি দেশের কাঙ্খিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্রুত প্রসারের জন্য প্রথমে পূর্বশর্ত হলো সমুদ্রবন্দর। যার মাধ্যমে একটি দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নায়ন ঘঠে। সমুদ্রবন্দর একটি দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ শক্তির মত কাজ করে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রামের ভূমিকা রাজস্ব আয়েও অপরিসীম। কারণ এখান থেকে রাজস্ব আয়ের শতকরা ৬০ ভাগ আসে। যার কারণে চট্টগ্রামে গড়ে উঠেছে প্রচুর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানা।

দেশের প্রথম পোশাক পল্লী হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ( বেজা ) পোশাক পল্লী গড়ার জন্য বিজিএমইএ কে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। বরাদ্দ জমির মধ্যে শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে ৩২১ একর জমিতে। সব মিলিয়ে এই পোশাক পল্লীতে বিনিয়োগের কথা রয়েছে ৩০০ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় সারে ২৫হাজার কোটি টাকার সমান। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের উৎপাদিত সব পোশাক রপ্তানি করা হয়। এজন্য চট্টগ্রামে পোশাক পল্লী হলে লাভবান হবে উদ্যোক্তারা।

#Chittagong_Hill_Tracts