Скачать или смотреть পাতাল রেল চালু হবে কবে, নির্মাণে কত খরচ হবে?

মেট্রো রেলের পর পাতালরেলের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যানজট নিরসনে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে এটি। কিন্ত এটি কবে নাগাদ চালু হতে পারে, আর খরচ ইবা কতো, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় কী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে এটি – সেটি ব্যাখ্যা করবো আমি শ্রেয়সী শিকদার।

পাতাল রেল প্রকল্পটি মেট্রোরেলের লাইন বা এমআরটি-১ নামেও পরিচিত। এটির দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি পুরোপুরি পাতালপথে, দ্বিতীয়টি উড়ালপথ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর (বিমানবন্দর রুট) পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার অংশ ভূগর্ভস্থ হবে। আর নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল (পূর্বাচল রুট) পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার হবে উড়াল।

বিমানবন্দর রুটে ১২ ও পূর্বাচল রুটে ৯টি স্টেশন থাকবে।পূর্বাচল রুটের নর্দ্দা ও নতুনবাজার স্টেশন থাকবে ভূগর্ভে এবং এ দুটি স্টেশন যাত্রীদের রুট পরিবর্তনের জন্য ইন্টারচেঞ্জ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

বাকি ১২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা খরচ করবে বাংলাদেশ সরকার।
চলতি বছরের প্রথমদিকে এটির কাজ শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এমআরটি লাইন-১ চালু হলে এ রুটে প্রতিদিন ৮ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে লাগবে সাড়ে ২৪ মিনিট। নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল যেতে লাগবে ২০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড। ফলে সাশ্রয় হবে রাজধানীবাসীর কর্মঘণ্টা।

এমআরটি লাইন-১-এর প্রতিটি পাতাল স্টেশন হবে তিন তলা। টিকিট কাউন্টার ও অন্যান্য সুবিধা থাকবে প্রথম বেসমেন্টে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বের নানা ধরনের কন্টেন্ট পেতে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের সাথেই থাকুন।