সিরিয়ার বিপ্লবে জিওপলিটিক্স! পালিয়েছেন বাশার আল আসাদ| GeoPolitics in Syrian crisis| Shahedin
শেখ হাসিনার মতো সিরিয়ার বাসার আল আসাদ বিদ্রোহীদের ভয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন। তার পালানোর আগেই জীবন বাঁচাতে এক এক করে বহু সিরিয়ান সেনাও দেশ ছেড়েছে। এর ফলে ২০১১ সাল থেকে চলা সিরিয়ান সংকটের আপাতত সমাপ্তি ধরা হচ্ছে। বাসার আল আসাদের দেশ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সিরিয়া এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। মানে দির্ঘ একটা স্বৈরশাসনের পতন হলো সিরিয়ায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, এখন কি সিরিয়ায় গণতন্ত্র আসবে? দেখেন সিরিয়ার এই বিদ্রোহ অন্য দেশগুলোর মতো জনতার বিপ্লব না, এইটা বৈশ্বিক পরাশক্তি গুলোর লড়াইয়ের ফলাফল। অনেকেই স্বৈরশাসক বাসার আল আসাদের পতনে সিরিয়ার শান্তির সম্ভাবনা দেখলেও, যতটুকু মনে হচ্ছে এইটা পুরো মধ্যপ্রাচ্যটাকেই এক নরকে পরিণত করবে।
চলুন খুব সংক্ষেপে এবং একদম সহজভাবে বিষয়টা বুঝার চেষ্টা করি।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলতে আগে থেকেই রাজতন্ত্র ও এক নায়কতন্ত্র ছিলো। সম্পদে পরিপূর্ণ এই দেশগুলোতে অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন থাকলেও মানুষের বাক স্বাধীনতা কখনই ছিলো না, মৌলিক কিছু মানবাধিকার থেকেও মানুষ বঞ্চিত হয়েছিলো। তবে সব দেশই কিন্তু আবার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে নি। এই ধরেন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এরা রাজতন্ত্র হওয়ার পরেও দেশে ব্যাপক উন্নয়ন উপহার দিয়েছে জনগণকে। কিন্তু সিরিয়া, লিবিয়া বা তিউনিসিয়ার মতো দেশ গুলতে একনায়কতন্ত্র থাকলেও জনগণ ঐ পরিমাণ উন্নয়ন পায় নি, সাথে বাক স্বাধীনতা তো পায়ই নি। তাই মানুষের ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ জমা ছিলো।
২০১১ সালে প্রাথমিক ভাবে সিরিয়ায় জনতার বিপ্লব দেখা দিলেও, এখন যেটা হল, সেটা কিন্তু পুরোপুরি জনতার বিপ্লব না। বরং পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে সরকার পতন ।মানে দেশটা জনতার হাতে যাচ্ছে না। এমন গোষ্ঠীর কাছে যাচ্ছে, যাদের উপর যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এদের প্রভাব আছে। এইটা আহামরি ভালো কিছু না। বরং এদেরকে ইউজ করে পুরো মধ্য প্রাচ্য সামনে আরও খারাপ অবস্থার দিকে যাবে। কিভাবে, সেটা একটু শুনেন।
প্রথমত, ইজরায়েলের একটা ভয় ছিলো লেবাননের হিজবুল্লাহকে নিয়ে। যেহেতু লেবাননের ঠিক পাশেই সিরিয়া এবং সেখানে ইরানের সেনা থাকত , রাশিয়ান সেনা থাকত, তাই লেবাননকে নিয়ে ইসরায়েল এক্সত্রিম কিছু প্লান করতে পারত না। কিন্তু সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের বিজয়ে এখন সেই ভয় আর নাই। এবং এইটা নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথেই কিন্তু ইজরায়েল গতরাতে লেবাননে হামলা চালিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের মধ্যে কুর্দীরাও আছে, এই সিরিয়ান কুর্দিরা পুরো কুর্দী অঞ্চলকে স্বাধীন করার জন্য নতুন বিপ্লব শুরু করতে পারে, যেটার জন্য কুর্দী অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তুরস্ক , ইরাক নতুন করে লড়াই শুরু করতে পারে, ঐ অঞ্চলে নিয়মিত ঝামেলা লেগে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃতীয়ত, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে আই এস এর যোগসূত্র আছে, যেহেতু এরা সবাই পশ্চিমা প্রডাক্ট বলে ধরে নেওয়া হয়, তাই এরা মিলে এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এক্সত্রিমিজমের চর্চা শুরু করতে পারে, যা মধ্য প্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং যেটার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল ও পশ্চিমাদের প্রভাব বাড়বে।
লাস্টলি, এতদিন মধ্যপ্রাচ্যে বৈশ্বিক শক্তি গুলর একটা ব্যালেন্স ছিলো, সিরিয়া পুরোপুরি পশ্চিমা ও ইজরায়েলই ব্লকে চলে যাওয়ায় সেই ব্যালেন্স নষ্ট হবে। যেটা মধ্য প্রাচ্যে অশান্তির বার্তা দিচ্ছে।
The Syrian crisis, ignited in 2011 by pro-democracy protests against Bashar al-Assad, quickly spiraled into a devastating civil war. This conflict has seen the rise of extremist groups like ISIS, drawing in global powers with competing agendas. Millions of Syrians have been displaced, creating one of the largest refugee crises in modern history. The war has reduced historic cities like Aleppo to rubble, symbolizing the immense human and cultural loss. Despite international efforts, peace remains elusive, leaving the Syrian people in enduring uncertainty and hardship.
#bashar_al_assad
#syria_crisis
#syria
#সিরিয়ায়_সরকার_পতন
#বাশার_আল_আসাদ
#সিরিয়ায়_বিদ্রোহ
#সিরিয়ায়_কি_হলো
#শান্তি_আসবে_সিরিয়ায়
#সিরিয়া_সংকট
#সিরিয়া_সংকটের_ইতিহাস
#history_of_syria_crisis
#sorol_kotha
#sorol_kothok
#সরল_কথক
#সরল_কথা
#shahedin
Информация по комментариям в разработке