জাবালি| রাজশেখর বসু|

Описание к видео জাবালি| রাজশেখর বসু|

রাজশেখর বসুর "পরশুরাম" ছদ্মনাম নেওয়ার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল সামাজিক অব্যবস্থার মূলে কুঠারাঘাত। তাঁর লেখার মূল উপজীব্যই হল ক্ষুরধার ব্যঙ্গ এবং তীক্ষ্ম হাস্যরস (লঘুচালের নয়)। ধর্মীয় ভন্ডামির প্রতি তাঁর তীব্র কটাক্ষের নমুনা আমরা পাই "বিরিঞ্চিবাবা", " জাবালি" প্রভৃতি রচনায়।


সমকালের দিকে তাকালে শুধুই দেখা যায় ধর্মের জিগির তুলে মানুষে মানুষে সংঘাত। ধর্ম (ধৃ+মন্+অ) মানে যা মনকে ধরে রাখে তাই এখন ব্যবহার হচ্ছে মনকে হিংস্র করে তোলার কাজে। এই প্রসঙ্গে কবিতার কিছু পংক্তি মনে আসে


"ধর্মমোহ


 


ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে


অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।


নাস্তিক সেও পায়ে বিধাতার বর,


ধার্মিকতার করে না আড়ম্বর।


শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো,


শাস্ত্রে মানে না, মানে মানুষের ভালো।


বিধর্ম বলি মারে পরধর্মেরে,


নিজ ধর্মের অপমান করি ফেরে,


পিতার নামেতে হানে তাঁর সন্তানে,


আচার লইয়া বিচার নাহিকো জানে,


পূজাগৃহে তোলে রক্তমাখানো ধ্বজা, —


দেবতার নামে এ যে শয়তান ভজা।


অনেক যুগের লজ্জা ও লাঞ্ছনা,


বর্বরতার বিকারবিড়ম্বনা


ধর্মের মাঝে আশ্রয় দিল যারা


আবর্জনায় রচে তারা নিজ কারা। —


প্রলয়ের ওই শুনি শৃঙ্গধ্বনি,


মহাকাল আসে লয়ে সম্মার্জনী।


যে দেবে মুক্তি তারে খুঁটিরূপে গাড়া,


যে মিলাবে তারে করিল ভেদের খাঁড়া,


যে আনিবে প্রেম অমৃত-উৎস হতে


তারি নামে ধরা ভাসায় বিষের স্রোতে,


তরী ফুটা করি পার হতে গিয়ে ডোবে —


তবু এরা কারে অপবাদ দেয় ক্ষোভে।


হে ধর্মরাজ, ধর্মবিকার নাশি


ধর্মমূঢ়জনেরে বাঁচাও আসি।


যে পূজার বেদি রক্তে গিয়েছে ভেসে


ভাঙো ভাঙো, আজি ভাঙো তারে নিঃশেষে —


ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র হানো,


এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক আনো।"


এই আবহেই আমাদের এবারের নিবেদন "জাবালি"। 


নাটকের শেষের গানটি স্বরচিত ...সুর লালন ফকিরের গানের থেকে নেওয়া।(নাটকের উপস্থাপনায় এই ঋনস্বীকারটি ভুলবশতঃ করা হয়নি)।।

#nahongproduction,#jabali,#parashuram,#rajshekharbasu,#mythdrama,#audiodrama,#ramayan,#shrutinatok,#religion

Комментарии

Информация по комментариям в разработке