Скачать или смотреть বাংলাদেশকে আরো আরো লড়াই করতে হবে : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ( রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঙ্গে )

বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হন অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। শোষণের বিরুদ্ধে, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে , ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে আরো লড়াই করতে হবে বলেও জানান এই কবি।
২০১১ সালের ২৪ মার্চের কথা। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টেলিভিশনের সেসময়কার চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিক ও পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর মুখোমুখি হন কবি ।
সুনীল তার প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঢাকা'ই হবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ তথ্যপূর্ণ লেখা তাঁর 'পূর্ব-পশ্চিম' - এমনটি জানিয়ে সুনীল আরো বলেন, এ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আর কোন বইতে এমনটি বিস্তৃত তথ্যউপাত্ত নিয়ে নেই ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন অপরাধের বিচারের বিষয়টি সে সময় দেশের নাগরিক সমাজ থেকে তীব্র দাবী উঠছিল। আবার ভিন্ন মত পোষণ করছিলেন তখন সরকারবিরোধী' অংশটি। ঠিক এমনই সময় সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার এর প্রশ্নের জবাবে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন 'বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক যুক্ত' । তাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানান এই কবি।
ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে আশাবাদ জানিয়ে ভিসা সরল করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সুনীল বলেন, ভিসা উঠে যাওয়া উচিত। দু'দেশের আরো বেশি করে সাংস্কৃতিক বিনিময় হওয়া উচিত ।
তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় , তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়, তাকে নিয়ে তখন একটি কবিতা লিখি।'
এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বীভৎস অপরাধ করেছে যারা তাদের তাদের বিচার করা উচিত। '

উল্লেখ্য বিশ শতকের শেষভাগে সক্রিয় একজন প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
মৃত্যুর পূর্ববর্তী চার দশক তিনি ছিলেন সর্ববৈশ্বিক বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
জন্মের তারিখ এবং স্থান: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, ফরিদপুর জেলা
ভারতের কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয় ২৩ অক্টোবর, ২০১২ খৃস্টাব্দে ।
স্ত্রী: স্বাতি বন্দ্যোপাধ্যায় (বিবাহ. ১৯৬৭–২০১২)
শিশু: সৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়
চলচ্চিত্র: মিশর রহস্য, অরণ্যের দিনরাত্রি, দেখা, সবুজ দ্বীপের রাজা, প্রতিদ্বন্দ্বী, ইয়েতি অভিযান।