Скачать или смотреть বিলুপ্তির পথে ইসলামপুরের বিখ্যাত কাঁসা শিল্প || ইসলামপুর,জামালপুর || Islampur Vlog |Amity With Amit

নিজ দেশের ঐতিহ্যগত শিল্পের প্রতি অনিহা আমাদের সমাজের একটি ব্যাধি।
মেলামাইন, প্লাস্টিকসহ আধুনিক নানান সহজলভ্য সামগ্রীর দখল নিয়েছে কাঁসার বাজার। আর তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি আর াপূঁজির অভাবে ধুকছে বংশ পরম্পরায় চলে আসা এ কাঁসাশিল্প।
এক সময় ঝকঝকে, তকতকে কাঁসার বাসন-কোসন ছাড়া কোন বাঙালির ঘর-সংসার কল্পনা করা যেত না। মোঘল আমল থেকেই পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে ছিল কাঁসার কদর। সে সময় থেকেই ইসলামপুরের অসংখ্য পরিবার জড়িয়ে ছিল এই শিল্পের সাথে।
সীসা, মেলামাইন, প্লাস্টিক, সিরামিক আর কাঁচের তৈজসপত্রের ভিড়ে এখন কাঁসার প্রচলন ততটা না থাকলেও সৌন্দয প্রিয় মানুষের কাছে এখনও কাঁসার তৈজসপত্রের কদর রয়েছে।
শ্রমিক আর মালিকের আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলানো কঠিন হয়ে পড়ায় অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।
শ্রমিকদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই করুন।চরম অর্থ সংকট এবং কাজের অভাবে তারা এই শিল্প কে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।ইসলামপুরে মাত্র ২০ থেকে ২৫জন শ্রমিক বর্তমানে এই শিল্প কে টিকিয়ে রেখেছেন।তাদের মৃত্যু হলে হয়তো হারিয়েই যাবে ইসলামপুরের ঐতিহ্যের কাঁসা শিল্প।মেলামাইন বা সিরামিকের সাথে তুলনা করলে কাঁসা অনেক বেশি নান্দনিক, রুচিসম্মত।
সরকারি পৃষ্ঠপোশকার অপেক্ষা না করে আমরা নিজেরাই পারি নিজের দেশের ঐতিহ্য কে টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে নামতে।
হাটখোলাও চেষ্টা করছে গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্য কে টিকিয়ে রাখতে।সেইসাথে সহযোগীতা চাই আপনাদের সকলের।
কাঁসার পন্যের উপকারিতা অনেক।

১. কাঁসার পাত্রে খাবার খাওয়া সবচাইতে বেশি নিরাপদ।
২. কাঁসার পাত্রে পানি খেলে শরীর জীবাণুমুক্ত হয়।
৩. খাওয়ার ঠিক আগে কাঁসার পাত্রে রাখা এক গ্লাস পানি খেলে থাইরয়েড সমস্যা নির্মুল হতে পারে।
৪. কাঁসার পাত্রে রাখা গ্লাস পানি খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়বে।
৫. কাঁসার পাত্রে খাবার খেয়ে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
৬.গ্যাষ্টিক সমস্যা কমায়।

এছাড়াও আরও উপকারিতা আছে।