Please Subscribe For More Video
LIKE | COMMENT | SHARE | SUBSCRIBE
Cherrapunji Tour, Season-01, Episode-01: • চেরাপুঞ্জি ভ্রমণ, সিজন-০১, পর্ব-০১ || Cher...
Cherrapunji Tour, Season-01, Episode-02: • চেরাপুঞ্জি ভ্রমণ, সিজন-০১, পর্ব-০২ || Cher...
Cherrapunji Tour, Season-01, Episode-03: • চেরাপুঞ্জি ভ্রমণ, সিজন-০১, পর্ব-০৩ || Cher...
কীভাবে যাবেন?
মেঘালয়ে যেতে হলে আপনাকে আগে সড়ক, রেল কিংবা আকাশপথে দেশের যেকোনো স্থান থেকে সিলেট শহরে পৌঁছতে হবে। শহরের দরগাহ গেইট ও অন্যান্য জায়গায় বিভিন্ন বাজেটের আবাসিক হোটেল পাবেন। শহর থেকে তামাবিল চেকপোস্টে যাওয়ার জন্য সোবহানিঘাট থেকে এসি/ননএসি বাস পেয়ে যাবেন। ভাড়া নিবে ৮০ থেকে ১৪০ টাকা জনপ্রতি। এছাড়া সিলেট শহরের যে কোনো জায়গা থেকে কার কিংবা মাইক্রোবাস পাবেন। কারের জন্য ২,০০০ ও মাইক্রোবাসের জন্য ৩,০০০ টাকা লাগতে পারে। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেরেই বেরিয়ে পড়ুন। প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দূরের তামাবিল চেকপোস্টে পৌঁছতে ৪৫-৫০ মিনিটের মতো লাগতে পারে। এরপর তাড়াতাড়ি কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কাজ সেরে ফেলুন।
জিরো লাইন পেরিয়েই পাবেন ভারতীয় কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন অফিস। সুসজ্জিত ও পরিপাটি অফিসে আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে একটু দ্রুতই। দুই কিলোমিটার দূরের ডাউকি বাজারে যেতে পারেন ট্যাক্সিতেই। ডাউকি থেকেই একটি কার অথবা জিপ রিজার্ভ করতে পারেন শিলং যাওয়ার জন্য। কারের জন্য ২,৫০০ ও জিপের জন্য ৩,৫০০ রুপি লাগতে পারে। পাবলিক পরিবহনও আছে তবে তা আরামদায়ক হবে না। দুপুর ১২টার মধ্যেই রওনা হওয়া উচিত কারণ, সূর্যাস্তের পর ডাউকি-শিলং রুটে যানবাহন প্রায় চলেই না।
ডাউকি থেকে শিলংয়ের দূরত্ব আনুমানিক ৮৩ কিলোমিটার ও প্রায় আড়াই ঘণ্টা লাগবে গন্তব্যে পৌঁছাতে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে এই ভ্রমণ আপনার জন্য উপভোগ্যই হবে। রাস্তার দু’পাশেই দেখবেন ঘন সবুজ পাহাড়, ঝরনা আর বিশালাকৃতির সব প্রস্তুরখণ্ড। যাত্রা শুরুর ২০ মিনিট পরই দেখবেন আশপাশে মেঘের ওড়াওড়ি। পিনুরসলা ও লাইলিংকট নামে দুটি বাজার পড়বে যাত্রাপথে। তবে এগুলোতে নেমে কিছু খাওয়া বা পান করা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
বাংলাদেশে থাকতেই ইন্টারনেটে কোনো হোটেল বুকিং করলে খুব ভালো হবে। তুলনামূলক কমদামের হোটেলগুলো শহরের প্রাণকেন্দ্র পুলিশ বাজারে অবস্থিত। হোটেল সেন্টার পয়েন্ট, হোটেল মিকাসা, হোটেল জে.কে. ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল বুলভার্ড, ইডেন রেসিডেন্সি, হোটেল অ্যাম্বাসি, হোটেল পাইনবোরো, হোটেল ব্রডওয়ে প্রভৃতি পুলিশ বাজারের সুপরিচিত হোটেল। পুলিশ বাজারের বাইরে ভালো হোটেল হলো হোটেল পাইনউড, হোটেল অর্কিড, হোটেল পলো টাওয়ার্স, হোটের পেগাসাস ক্রাউন, হোটেল আলপাইন কন্টিনেন্টাল, দ্য ম্যাজেস্টিক হোটেল, আশুতোষ ইন, হোটেল ইয়ালানা প্রভৃতি।
আপনার সঙ্গে থাকা ইউএস ডলার ভাঙিয়ে ভারতীয় রুপি করার ব্যাপারে হোটেল রিসেপশনের সাহায্য নিতে পারেন। অনেক হোটেলই আকর্ষণীয় জায়গাগুলোতে প্যাকেজ ট্যুরের সুবিধা দিয়ে থাকে। শিলং শহর ও তার বাইরের আকর্ষণীয় সব জায়গা ঘুরে দেখতে হলে আপনাকে অন্তত দু’দিন সেখানে অবস্থান করতে হবে।
কয়েকটি রেস্তোরাঁর তালিকা:
ট্রেটোরিয়া (Trattoria): একটি আরামদায়ক রেস্টুরেন্ট যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও ঘরের তৈরি খাসি খাবার উপভোগ করতে পারবেন।
ক্যাফে শিলং (Cafe Shillong): একটি চমৎকার ক্যাফে যেখানে মাল্টি-কুইজিন মেনু এবং দ্রুত সার্ভিস পাওয়া যায়। এটি একটি শান্ত পরিবেশ প্রদান করে।
Ginger Restaurant: যারা ভারতীয় খাবারের বাইরে অন্য ধরনের খাবার খেতে চান, তাদের জন্য এই রেস্তোরাঁটি একটি দারুণ জায়গা।
Blogger's Cafe: একটি জনপ্রিয় ক্যাফে, যা তার দারুণ খাবার ও ক্যাফের পরিবেশের জন্য পরিচিত।
Cloud 9: এটি একটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ যা স্থানীয় এবং বহিরাগত পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবার পাবেন।
কিছু টিপস:
আপনি যদি স্থানীয় খাবার চেখে দেখতে চান, তাহলে খাসি খাবারের জন্য পরিচিত রেস্তোরাঁগুলিতে যেতে পারেন।
শিলং-এ অনেক ক্যাফে ও বেকারি রয়েছে, যা আপনাকে হালকা খাবার বা পানীয়ের জন্য দারুণ বিকল্প দেবে।
আপনি যদি ভিন্ন ধরনের খাবারের সন্ধান করেন, তাহলে Ginger Restaurant-এর মতো রেস্তোরাঁগুলোতে যেতে পারেন।
চেরাপুঞ্জি ভ্রমণ খরচ সবমিলিয়ে ৮০০০-৯০০০ টাকায় ঢাকা থেকে শিলং হয়ে চেরাপুঞ্জি দুই দিনের ট্যুরে আবার ঢাকায় ফিরে আসতে পারবেন। দুই দিনের বেশি থাকলে এতে শুধু হোটেল ভাড়া ও খাবার খরচ বাড়বে। সহজে ও কম খরচে শিলং, চেরাপুঞ্জি, মওসিনরাম, নারটিয়াং এবং মাওলিনং ভ্রমণের জন্য মেঘালয় পর্যটন দপ্তর আয়োজিত ট্যুরে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়া ঢাকা থেকেও প্রচুর গ্রুপ ট্যুরের আয়োজন করে বিভিন্ন কোম্পানী ও এজেন্সি। আপনি একা হলে এসব গ্রুপে এড হয়ে ট্যুর দিতে পারেন। আর যদি আপনার ৫/৬ জনের টিম হয় তাহলে নিজেরাই স্বাধীনভাবে ট্যুর করে আসতে পারেন।
Информация по комментариям в разработке