Скачать или смотреть ইসলামের শত্রু থেকে বীর সাহাবী ইকরামার অনুপ্রেরণাদা|শত্রু থেকে সাহাবী|হযরত ইকরিমা ইবনে আবি জাহল [রা]

ইসলামের শত্রু থেকে বীর সাহাবী ইকরামার অনুপ্রেরণাদা|
শত্রু থেকে সাহাবী|হযরত ইকরিমা ইবনে আবি জাহল [রা]

একদিন নবী করিম (সাঃ) একটি গাছের নীচে অবস্থান নেন এবং নিজ ত*রবা*রি গাছের ডালে লটকানো অবস্থায় রেখে বিশ্রাম করতে শুরু করেন।
সে সময় জনৈক বেদুইন তার গোত্রের লোকজনকে বললো- ‘তোমরা নিশ্চিন্ত থাকো। গোপনে আমি মুসলিম সেনার মধ্যে প্রবেশ করে মুসলমানদের নবীকে হ*ত্যা করে ফিরে আসছি’। (নাউজুবিল্লাহ)
সে তার অ*পবিত্র পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেরিয়ে গেলো। মুসলমানরা জানতেন না, কোনো ব্যক্তি এমন কু*মত*লব নিয়ে তাদের দিকে আসছে।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যখন শুয়ে গেলেন, সেই বেদুইন মু*শরি*ক ধীরে ধীরে প্রথমে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর লটকানো ত*রবা*রিটা ক*ব্জা করে নিলো। ত*রবা*রি খাপমুক্ত করে শূন্যে একটু নাড়া-চাড়া করলো। তারপর সে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)-এর মাথার নিকট এসে ত*রবা*রিটা উপরে তুলে উচ্চস্বরে বলতে লাগলো- ‘হে মুহাম্মদ! তুমি কি আমাকে ভ*য় পাচ্ছো’?
সেই লোক ছিল বনু গাতফান গোত্রের। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে হ*ত্যা করে বনি গাতফানের এক উচ্চমর্যাদা হাসিলের সুযোগ তার হাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু সে জানতো না, সে যে লোকটিকে শে*ষ করার জন্য এসেছে, তিনি কোনো সাধারণ লোক নন; বরং তিনি আল্লাহর সর্বশেষ রাসূল।
তার এমন হু*মকি*তে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) একটুও ভী*ত হননি। তাঁর অন্তরে কোনো ধরনের ভ*য়ে*র সৃষ্টিও হয়নি। তিনি পূর্ণ আস্থার সঙ্গে নিশ্চিন্তে বললেন- ‘না। আমি তোমাকে একদমই ভ*য় পাচ্ছি না’।
সেই লোক তখন নবী করিম (সাঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বললো- ‘তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে’? সঙ্গে সঙ্গে সে ত*রবা*রি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাথার নিকট উপুড় করে ধরলো।
কিন্তু, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তখনো অবিচল, নিশ্চিন্ত। চেহারায় পেরেশানির কোন লক্ষ্মণই নেই! একদম শান্ত শীতল কন্ঠে বললেন- ‘তোমার কাছ থেকে আমাকে আমার আল্লাহ-ই রক্ষা করবেন’।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পবিত্র মুখ থেকে যখন-ই আল্লাহ তা‘আলার নাম উচ্চারিত হলো, ওই কা*ফি*র ভী*ত-স*ন্ত্র*স্ত হয়ে গেল। ভ*য়ে তার শরীর থর থর করে কাঁপতে লাগলো।
তার কাঁপন এতোই তীব্র হলো যে, হাত থেকে ত*রবা*রিটা নিচে পড়ে গেলো। তখন আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সেই ত*রবা*রি নিজ হাতে উঠিয়ে নিলেন। তার দিকে বাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘বলো, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে’?
মু*শ*রিক লোকটি প্রাণ হা*রা*নোর ভ*য়ে একেবারে কাহিল। সে এটাও বলতে পারছে না, আল্লাহ রক্ষা করবেন, আবার তার মি*থ্যা উপাস্যদেরও নাম নিতে পারছে না। ভ*য়ে কেঁপে কেঁপে বললো- ‘কেউই না। আপনি ছাড়া কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না’।
সঙ্গে সঙ্গে সে এও বললো- ‘আপনি যদি আমাকে হ*ত্যা না করেন এবং ক্ষমা করে দেন, তাহলে আপনার সামনে আমি অঙ্গিকার করছি, কখনো আপনার বি*রু*দ্ধে লড়াই করবো না। এমন লোকের সঙ্গও দেবো না, যারা আপনার বি*রু*দ্ধে লড়াই করে’।
রাসূল (সাঃ) তাকে বললেন- ‘ইসলাম কবুল করে নাও’। জবাবে সে বললো- ‘আমি তো ইসলাম কবুল করবো না’। আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ)-এর চরিত্র লক্ষ করুন। তাকে তিনি হ*ত্যা করতে পারতেন। এ কথা বলা সত্ত্বেও আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
অত:পর সে তার গোত্রের কাছে ফিরে গেলো। সেখানের লোকজনকে বলতে লাগলো- ‘আমি এইমাত্র সবচেয়ে উত্তম লোকটির নিকট থেকে এসেছি’।
পরবর্তী সময়ে সেই লোকটি স্বেচ্ছায় মুসলমান হয়ে যায়। তার গোত্রে ফিরে গিয়ে ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করে। ফলে তার মাধ্যমে অনেক লোক মুসলমান হয়ে যায়। সুবহান আল্লাহ!

ইসলামের শত্রু থেকে বীর সাহাবী ইকরামার অনুপ্রেরণাদা|
শত্রু থেকে সাহাবী|হযরত ইকরিমা ইবনে আবি জাহল [রা]

হযরত ইকরিমা ইবনে আবি জাহল [রা]
আবু জাহেল এর ছেলে ইকরামা ইসলামের যে জন্য ভূমিকা রেখেছে
হিন্দ বিনতে উতবা শত্রু থেকে সাহাবি
শত্রু থেকে সাহাবী
আবু জাহেলের পুত্র ইকরামা রাঃ এর বীরত্বের ইতিহাস
ইসলামের শত্রু থেকে বীর সাহাবী ইকরামার অনুপ্রেরণাদা