Скачать или смотреть পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির ।। বালাসোর।। ওড়িশা।।

পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালাসোর জেলার নীলগিরি পাহাড়ের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ শৈব তীর্থস্থান। এই মন্দিরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের এক অনন্য সমন্বয় ঘটায়, যা ভক্ত ও পর্যটকদের কাছে সমানভাবে আকর্ষণীয়। মন্দিরটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত, এবং এটি পৌঁছাতে ২৬৩টি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। পঞ্চলিঙ্গেশ্বর নামটি এসেছে এখানে অবস্থিত পাঁচটি শিবলিঙ্গ থেকে, যেগুলো একটি ছোট জলপ্রবাহের নিচে প্রাকৃতিকভাবে অবস্থান করছে। এই শিবলিঙ্গগুলো হাত দিয়ে স্পর্শ করে অনুভব করা যায়, যা ভক্তদের কাছে একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা।

ইতিহাস ও পৌরাণিককাহিনী
:..…...........................................................
............…
পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দিরের সঙ্গে রামায়ণের একটি পৌরাণিক কাহিনী জড়িত। কথিত আছে, রামায়ণের বনবাসের সময় সীতা এই পাঁচটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কারণে মন্দিরটি শৈব ভক্তদের কাছে বিশেষভাবে পবিত্র। এছাড়াও, স্থানীয় লোককথা ও বিশ্বাস অনুসারে, এই শিবলিঙ্গগুলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট, যা এই স্থানের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্দিরটি নীলগিরি পাহাড়ের ঘন সবুজ বন, ঝর্ণা এবং প্রাকৃতিক জলপ্রবাহের মাঝে অবস্থিত। বর্ষাকালে এই স্থানের সৌন্দর্য আরও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে, যখন ঝর্ণাগুলো প্রবলভাবে প্রবাহিত হয় এবং চারপাশের সবুজ আরও ঘন হয়। মন্দিরের চারপাশে ছোট ছোট জলপ্রবাহ এবং পাহাড়ি ঝর্ণা এই স্থানকে একটি শান্ত এবং প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য করে তোলে।


মন্দিরের বিশেষত্বপাঁচটি শিবলিঙ্গ:

মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হলো পাঁচটি শিবলিঙ্গ, যেগুলো জলের নিচে অবস্থিত। ভক্তরা এই লিঙ্গগুলো স্পর্শ করে পূজা করেন, যা তাদের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাকে আরও গভীর করে।প্রাকৃতিক পরিবেশ: মন্দিরটি ঘন জঙ্গল, পাহাড় এবং ঝর্ণার মাঝে অবস্থিত, যা এটিকে একটি শান্তিপূর্ণ তীর্থস্থানে পরিণত করেছে।সিঁড়ি পথ: মন্দিরে পৌঁছাতে ৩০০টি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়, যা একটি ছোট দুঃসাহসিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

পর্যটনের আকর্ষণ: ধর্মীয় তাৎপর্যের পাশাপাশি, এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বালাসোর, চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত এবং অন্যান্য কাছাকাছি স্থানের সঙ্গে এটি একটি দিনের সফরে দেখা যায়।

কীভাবে যাবেনবালাসোর থেকে: পঞ্চলিঙ্গেশ্বর বালাসোর শহর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বালাসোর রেলস্টেশন থেকে ট্যাক্সি, অটোরিকশা বা বাসে এখানে পৌঁছানো যায়।

চাঁদিপুর থেকে: চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত থেকে মন্দিরটি প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে। পর্যটকরা চাঁদিপুর থেকে একটি দিনের সফরে এখানে আসতে পারেন।

নিকটতম বিমানবন্দর: ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে)। এখান থেকে গাড়ি বা বাসে বালাসোর হয়ে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর পৌঁছানো যায়।দর্শনের সেরা সময়বর্ষাকাল (জুন-সেপ্টেম্বর): এই সময়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি মনোরম হয়। তবে, পথ পিচ্ছিল হতে পারে, তাই সাবধানতা প্রয়োজন।শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি): আরামদায়ক আবহাওয়া এবং সহজ ভ্রমণের জন্য এটি উপযুক্ত সময়।শিবরাত্রি: মহাশিবরাত্রির সময় এখানে ভক্তদের ভিড় বাড়ে, এবং বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়।পর্যটকদের জন্য পরামর্শআরামদায়ক পোশাক ও জুতো: সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে, তাই আরামদায়ক জুতো এবং হালকা পোশাক পরুন।পানি ও খাবার: মন্দিরের কাছে ছোট ছোট দোকান আছে, তবে নিজের সঙ্গে পানি ও হালকা খাবার রাখা ভালো।সাবধানতা: বর্ষাকালে পথ পিচ্ছিল হতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।ফটোগ্রাফি: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরায় ধরে রাখতে ভুলবেন না।কাছাকাছি দর্শনীয় স্থানচাঁদিপুর সমুদ্র সৈকত: জোয়ার-ভাটার জন্য বিখ্যাত এই সৈকতটি পঞ্চলিঙ্গেশ্বর থেকে কাছে অবস্থিত।খিরাচোরা গোপীনাথ মন্দির: বালাসোরের আরেকটি প্রসিদ্ধ মন্দির।কুলদিহা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য: প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।উপসংহারপঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং প্রকৃতির কোলে একটি শান্তিপূর্ণ আশ্রয়স্থল। এর পৌরাণিক তাৎপর্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশ এটিকে ভক্ত ও পর্যটকদের কাছে একটি অবিস্মরণীয় গন্তব্য করে তুলেছে। আপনি যদি ওড়িশায় ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির অবশ্যই আপনার তালিকায় রাখার মতো একটি স্থান।
...................
.................

তবে আপনারা লক্ষী নিবাসে থাকতে পারেন। আমার আগের ভিডিও তে আমি লক্ষী নিবাসের বর্ণনা দিয়েছি।।
লক্ষী নিবাস থেকে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দির মাত্র ১ কিমি।
contact number: 9938450160
বিকাশ বেহরা, ম্যানেজার , লক্ষী নিবাস।