ভালোবাসার জন্য মুসলমানদের কি আলাদা দিবস দরকার আছে? মুসলমানের ভালোবাসা ৩৬৫ দিন / ২৪ ঘন্টা সবসময়
আলোচক:
মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসাইন সিদ্দিকী।
খতিব, কক্সবাজার বিমানবন্দর জামে মসজিদ, কক্সবাজার।
মাস্টার্স (কামিল) হাদিস, ইসলামিক এরাবিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।
ভালোবাসা দিবস যেসব কারণে পালন করা হারাম:
এক:
বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন একটি রোমান জাহেলি উৎসব। রোমানরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এ দিবস পালনের প্রথা অব্যাহত রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্রির মৃত্যুদণ্ডের সাথে এ উৎসবটি সম্পৃক্ত। বিধর্মীরা এখনো এ দিবসটি পালন করে, ব্যভিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এ দিবসটি কাটিয়ে থাকে।
দুই:
কোন মুসলমানের জন্য কাফেরদের কোন উৎসব পালন করা জায়েয নয়। কেননা উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় বিষয়। এ ক্ষেত্রে শরয়ি নির্দেশনার এক চুল বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় অনুশাসন, ইসলামী আদর্শ ও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “তোমাদের প্রত্যেককে আমি আলাদা শরিয়ত ও মিনহাজ (আদর্শ) দিয়েছি”। তিনি আরও বলেন: “প্রত্যেক উম্মতের জন্য রয়েছে আলাদা শরিয়ত দিয়েছি; যা তারা পালন করে থাকে” যেমন- কিবলা, নামায, রোজা। অতএব, তাদের উৎসব পালন ও তাদের অন্যসব আদর্শ গ্রহণ করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ তাদের সকল উৎসবকে গ্রহণ করা কুফরকে গ্রহণ করার নামান্তর। তাদের কিছু কিছু জিনিস গ্রহণ করা কিছু কিছু কুফরকে গ্রহণ করার নামান্তর। বরং উৎসবগুলো প্রত্যেক ধর্মের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং ধর্মীয় আলামতগুলোর মধ্যে অন্যতম। অতএব, এটি গ্রহণ করা মানে কুফরের সবিশেষ অনুশাসন ও সবচেয়ে প্রকাশ্য আলামতের ক্ষেত্রে তাদের অনুসরণ করা। কোন সন্দেহ নেই যে, এ ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করা মানে কুফরের অনুকরণ করা।
ভালবাসা দিবস পালন করা হারাম হওয়ার ব্যাপারে আলেমগণ ফতোয়া দিয়েছেন:
১। এ বিষয়ে শাইখ উছাইমীনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রশ্নটি নিম্নরূপ:
-সম্প্রতি ভালবাসা দিবস উদযাপন করার প্রবণতা বিস্তার লাভ করেছে; বিশেষতঃ ছাত্রীদের মাঝে। এটি একটি খ্রিস্টান উৎসব। এ দিনে লাল বেশ ধারণ করা হয়। লাল পোশাক ও লাল জুতা পরিধান করা হয়। লাল ফুল বিনিময় করা হয়। আমরা এ ধরণের উৎসব পালন করার শরয়ি বিধান জানতে চাই এবং এ ধরণের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আপনার পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য দিক নির্দেশনা প্রত্যাশা করছি? আল্লাহ আপনাকে হেফাযত করুন।
তিনি উত্তরে বলেন: ভালবাসা দিবস পালন নিম্নোক্ত কারণে জায়েয নয়
এক. এটি একটি বিদআতি উৎসব; শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই।
দুই. এটি মানুষকে অবৈধ প্রেম ও ভালবাসার দিকে আহ্বান করে।
তিন. এ ধরনের উৎসব মানুষের মনকে সলফে সালেহিনদের আদর্শের পরিপন্থী অনর্থক কাজে ব্যতিব্যস্ত রাখে
আমাদের যুবক-যুবতীর মাঝে ভালবাসা দিবস (ভ্যালেন্টাইন ডে) পালনের রেওয়াজ বিস্তার লাভ করেছে। ভ্যালেন্টাইন হচ্ছে- একজন পাদ্রির নাম। খ্রিস্টানেরা এ পাদ্রিকে সম্মান করে থাকে এবং প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তারা এ দিবসটি উদযাপন করে, উপহার-উপঢৌকন ও লাল গোলাপ বিনিময় করে থাকে, লাল রঙের পোশাক পরিধান করে থাকে। এ দিবসটি পালন করার শরয়ি বিধান কী? অথবা এ দিনে উপহার বিনিময় ও আনন্দ প্রকাশ করার বিধান কী?
জবাবে তিনি বলেন:
এক. এ ধরণের বিদআতি উৎসব পালন করা নাজায়েয। এটি নবউদ্ভাবিত বিদআত। শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই। এটি আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসের বিধানের আওতায় পড়বে যে হাদিসে এসেছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীন বা শরিয়তের মধ্যে এমন কিছু চালু করবে যা এতে নেই সেটি প্রত্যাখ্যাত।”
দুই. এ দিবস পালনের মধ্যে কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ, তারা যে বিষয়কে মর্যাদা দেয় সেটাকে মর্যাদা প্রদান, তাদের উৎসবের প্রতি সম্মান দেখানো এবং ধর্মীয় বিষয়ে তাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করার অর্থ পাওয়া যায়। হাদিসে এসেছে- “যে ব্যক্তি বিজাতিদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করবে সে তাদের দলভুক্ত।”
তিন. এ দিবস পালনের মধ্যে অনেক ক্ষতিকর ও গর্হিত বিষয় রয়েছে। যেমন- খেলতামশা করা, গান করা, বাঁশী বাজানো, গিটার বাজানো, বেপর্দা হওয়া, বেহায়াপনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, গায়রে মোহরেম পুরুষের সামনে নারীদের প্রদর্শনী ইত্যাদি হারাম কাজ এবং ব্যভিচারের উপকরণ ও সূচনাগুলো এ উৎসবে ঘটে থাকে। এটাকে জায়েয করার যুক্তি হিসেবে চিত্ত বিনোদনের যে কারণ দর্শানো হয় বা রক্ষণশীল থাকার দাবী করা হয় সেটা অমূলক। যে ব্যক্তি নিজের কল্যাণ চায় তার উচিত গুনাহর কাজ ও উপকরণ থেকে দূরে থাকা।
তিনি আরও বলেন:
অতএব, যদি বিক্রেতা জানতে পারে যে, ক্রেতা এ উপঢৌকন ও গোলাপ ফুল কিনে এ দিবস উদযাপন করবে, কাউকে উপহার দিবে অথবা এ দিবসগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে তাহলে ক্রেতার কাছে এগুলো বিক্রি করা নাজায়েয; যাতে করে বিক্রেতা এই বিদআত সম্পাদনকারী ব্যক্তির সাহায্যকারী হিসেবে সাব্যস্ত না হয়। আল্লাহই ভাল জানেন। সমাপ্ত।
আল্লাহই ভাল জানেন।
#ভালোবাসা_দিবস
#ভ্যালেন্টাইনস_ডে
#প্রেম_দিবস
#valentinesday
#LoveDay
#valentinesdayspecial
ভালোবাসা দিবস,ভ্যালেন্টাইনস ডে,প্রেম দিবস,ভালোবাসা উৎসব,ভালোবাসা দিবস 2025,ভালোবাসা দিবস কত তারিখ,১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস,১৪ ই ফেব্রুয়ারি কি,বিশ্ব ভালোবাসা দিবস,মুসলিম কি ভালোবাসা দিবস পালন করবে,the valentin's day,14 february love day,maulana Ismael Hossain siddike,মাওলানা মোঃ ইসমাইল হোসাইন সিদ্দিকী,ভালোবাসা দিবস পালন করার বিধান,ইসলামে ভালোবাসা দিবস,ইসলামে ভালোবাসা দিবস হারাম কেন?,হারাম ভালোবাসা দিবস,ওয়াজ,ইসলামিক আলোচনা,তাফসীর মাহফিল,waz,waj
©পরিবেশনায় : MD. ISMAEL HOSSAIN
-------------------------------------------------------------
subsribe my channal: / @mdismaelhossain6530
►► ভিডিওটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ইসলামের প্রতিটি বানী ছড়িয়ে দিতে 'MD. ISMAEL HOSSAIN' চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনে ক্লিক করুন, যেন নতুন নতুন ভিডিও দেওয়া মাত্রই সবার আগে পেয়ে যান, জাযাকাল্লাহ।
Информация по комментариям в разработке