Скачать или смотреть বনওয়ারী নগর রাজবাড়ি || ফরিদপুর || পাবনা ||

তাড়াশের জমিদার বনওয়ারী লাল রায় নৌ ভ্রমণের সময় নদীবেষ্টিত ছায়া সিনিবিড় আম্রকাননের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তার নাম অনুসারে বনওয়ারী নগর নামে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। তার আগে জায়গাটির নাম ছিল ফরিদপুর। জমিদার বনমালী রায় বাহাদুর নিজের নামে গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেই সমাপ্ত করইননি, তাড়াশের জমিদার বাড়ির অনুরূপ আরো একটি বাড়ি তৈরি করেন। চারদিকের দিঘী বেষ্টিত একটি মাত্র প্রবেশদ্বার বিশিষ্ট ছায়া ঘেরা আম বাগানের মধ্যে মনোরম এ বাড়িটি ফরিদপুর রাজবাড়ী বা বনওয়ারী নগর রাজবাড়ী নামে পরিচিত। বর্তমানে বনমালী রায়ের বিশাল বাড়িটি ফরিদপুর উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অফিসের কার্যালয়। রানির ঘাট খ্যাত আম্রকাননে বনমালীর বাসভবন এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসা। যেখানে বিচার কার্য সম্পাদন হতো সেটি এসি ল্যান্ডের অফিস। হাওয়াখানার একপাশে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, অন্য পাশে অফিসার্স ক্লাব। বাড়ির প্রবেশ পথের সামনে পাহারাদারদের কক্ষটি উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী। একটু এগিয়ে দিতল একটি ভবন যেখানে আনসার ভিডিপি অফিসের সাইনবোর্ড পরিলক্ষিত হয়।বাড়িটির চারদিকে পুকুর সদৃশ্য পরীখা বেষ্টিত। বনওয়ারী নগরের এই বাড়িটি রাজবাড়ী নামে সমাধিক পরিচিত। এটি অকল্পনীয় সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি। ১৮৯৪ সালে ইংরেজ সরকার তাকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯১৪ সালে বনমালী রায় বাহাদুর মৃত্যুবরণ করেন। বৃহত্তর পাবনার জমিদারদের মধ্যে তিনিই ছিলেন বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ। বনওয়ারী নগর রাজবাড়ী প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে একটি জনশ্রুতি আছে, তবে তার ঐতিহাসিক কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। তৎকালে জমিদার তাড়াশ থেকে করোতোয়া, গুমানি বড়াল ও চিকনাই নদীপথে এসে ইছামতি নদী দিয়ে পাবনা সদরে খাজনা দিতে যেতেন। যাত্রা পথে একবার তিনি বরাল নদীর পারে এই সুন্দর ছায়াঘেরা স্থানে যাত্রা বিরতি করে বিশ্রাম করেন। সে সময় তিনি একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখে বিস্মিত হন। ব্যাঙ সাপকে ভক্ষণ করছে। এতে তিনি বুঝতে পারেন জায়গাটি ব্যতিক্রম ধর্মী। তিনি জায়গাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানে বাড়ি তৈরি করেন এবং আস্তে আস্তে তাড়াশ থেকে বনওয়ারী নগরে তার জমিদারের সকল কার্যক্রম স্থানান্তর করেন। জমিদার বনওয়ারী লাল রায় বাহাদুর বৃহত্তর পাবনা জেলার বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার দেব চড়িয়া গ্রামের বাসুদেব তালুকদার ওরফে নারায়ণ দেব চৌধুরীর বংশধর। নারায়ণ দেব চৌধুরী তৎকালে ঢাকার নবাব ইসলাম খাঁর অধীনে চাকরি করতেন। নবাব তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে চৌধুরী রাই তাড়াশ নামক সম্পত্তি তাকে জায়গীর দান করেন এবং রায় চৌধুরী উপাধি প্রদান করেন।

#বনওয়ারী নগর রাজবাড়ি
#ফরিদপুর রাজবাড়ী পাবনা
#travel video
#historical place