Скачать или смотреть দার্জিলিং এ সূর্যোদয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ দৃশ্য দেখা।। কাঞ্চনজঙ্ঘা পাহাড়।। Kanchanjangha Hills।।

কাঞ্চনজঙ্ঘা উপর গোল্ডেন সূর্যোদয় থেকে দেখা
বিশ্বের দ্বিতীয় সূর্যোদয় দার্জিলিং পরিভ্রমণের মূল আকর্ষণ হলো টাইগার হিল। টাইগার হিল মূলত সূর্যোদয়ের অপরূপ দৃশ্য অবলোকনের স্থান। দার্জিলিং থেকে ২৫ কি.মি দূরে প্রায় ১০হাজার ফুট উচু পাহাড়ের চূড়ায় টাইগার হিলের অবস্থান। টাইগার হিলে যেতে হলে হোটেল থেকে শেষ রাতে রওনা হতে হয়। গাড়ি আগের দিন ঠিক করে রাখা আবশ্যক। এক কথায় রাত থাকতে থাকতেই, সূর্য ওঠার বেশ আগেই টাইগার হিলে পৌছুতে হয়। গাড়িতে করে আঁকাবাঁকা, সরু ও খাড়া রাস্তা পেরিয়ে বেশ রাত থাকতেই সেখানে পৌছে দেখি হাজার হাজার পর্যটকের ভিড়ে টাইগার হিলের চূড়া কানায় কানায় পরিপূর্ণ। পেচানো পেচানো রাস্তা পেরিয়ে উপরে উঠে টাইগার হিলে পৌছুতে হয়। টাইগার হিল থেকে সূর্য উঠার দৃশ্য প্রাণভরে অবলোকণ করেন পর্যটকরা। এখানকার বিশেষত্ব হচ্ছে, টগবগে লাল সূর্য উঠার দৃশ্য দেখে মনে হবে যে, অদূরে পূর্বদিকের পাহাড়ের পিছন থেকে কেউ যেন বিশালাকৃতির লাল সূর্যটি ঠেলে উপরে তুলে দিচ্ছে। আর তা ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে উপরে উঠছে। সামনের পাহাড় পেরুলেই যেন সেই সূর্যকে আমরা ধরতে পারবো। প্রচন্ড ঠান্ডা ও শীতের মধ্যে ওই অপরূপ দৃশ্য যেকারোরই দেখতে ভালো লাগবে। টাইগার হিলের চূড়ার মধ্যস্থলে তিনতলা একটি ভবন আছে। টিকিট কেটে ওই ভবনের পূর্বপাশ্বে সূর্যোদয় দেখার জন্য পর্যটকদের দাড়ানোর ব্যবস্থা। এছাড়াও চূড়ার বিভিন্ন স্থানে দাড়িয়ে তা অবলোকন করা যায়। টাইগার হিলের চারিধারে গাড়ি পার্কিং-এর জায়গা। গাড়ি পার্কিং-এর আধিক্যতার কারণে অনেক সময় অনেকটা পথ পায়ে হেটে টাইগার হিলে পৌছাতে হয়। টাইগার হিল থেকে উত্তর দিকে হিমালয় পর্বত দেখা যায়। ভোরের আলোয় হিমালয়ের সাদা বরফ চিকচিক করে। হিমালয়ে যেতে না পারলেও স্বচক্ষে হিমালয় পর্বত দেখার অনুভূতি সরাসরি দোলা দিল আমাদের মনে। টাইগার হিল থেকে সমগ্র দার্জিলিং শহর, কাঞ্চনজংঘা পর্বতসহ অন্যান্য পাহাড় দেখা যায়। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে চা বা কফি পান করতে করতে ওই অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য যেন তখনকার পরিবেশটাকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে। সব মিলিয়ে টাইগার হিলে শুধু সূর্যোদয় দেখায় যায় না বরং হিমালয়কে খুব কাছ থেকে স্বচক্ষে দেখা যায়।