জাফলং ও লালাখাল ভ্রমন।জাফলং ও লালাখাল ভ্রমন খরচ। jaflong & lalakhal travel

Описание к видео জাফলং ও লালাখাল ভ্রমন।জাফলং ও লালাখাল ভ্রমন খরচ। jaflong & lalakhal travel

Traveller sayed/ Tour at Jaflong and lalakhal/ one day tour Jaflong and lalakhal/Tourist place Jaflong and lalakhal/ জাফলং ও লালাখাল ভ্রমন/ একদিনে জাফলং ও লালাখাল ভ্রমন/ মায়াবতী ঝর্না, জাফলং ও লালাখাল ভ্রমন।
#jaflong
#jafrabad
#lalakhal
#জাফলং
#লালাখাল
জাফলং ভ্রমণ এর আদ্যোপান্ত
দেশের প্রকৃতি কন্যা জাফলং এক অসম্ভব সুন্দর দর্শনীয় স্থান। সবুজ পাহাড় এবং উপত্যকায় ঘেরা এটি বর্তমানে দেশের অন্যতম একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র। জাফলং এর সৌন্দর্য লক্ষ্য করা যায় এর স্বচ্ছ নদী পিয়াইন, উপত্যকা, চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য, পাথর, নুড়ি ইত্যাদিতে ভরা। এটি স্ফটিক-স্বচ্ছ নীল পানি এবং শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
জাফলং কিভাবে যাবেন
বাংলাদেশের যেকোন স্থান থেকে সড়ক, রেল এবং আকাশপথে যেতে পারবেন জাফলং ভ্রমণ করতে। ঢাকা থেকে সিলেটের দূরত্ব প্রায় ২৪০ কিলোমিটার। এরপর আরো প্রায় ৬০কিলোমিটার পথ পারি দিতে হবে জাফলং যেতে। সময় লাগে প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা।
ঢাকা থেকে বাসে সিলেট
ঢাকার গাবতলী, ফকিরাপুল, মহাখালী এবং সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে যায় সিলেটের উদ্দেশ্যে। বাসগুলো সাধারনত সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ মিনিট পর্যন্ত তাদের ম্যানুয়ালি নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের যাত্রা শুরু করে।
অপরূপা জাফলং
জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে সত্যিকারের রত্ন। প্রকৃতিকন্যা নামেই চিনে থাকি এই জাফলংকে। জাফলংয়ের সৌন্দর্য কে সরাসরি না দেখে তার স্বাদ নেওয়া যায়না।
সীমান্তের ওপারে ইন্ডিয়ান পাহাড় টিলা, ডাউকি পাহাড় থেকে অবিরাম প্রবাহমান জলপ্রপাত, ঝুলন্ত ডাউকি ব্রীজ, পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ হীম ঠান্ডা পানি,উঁচু পাহাড় গুলোতে গহিন অরণ্য এবং নিরবতা সত্যিই আশ্চর্যকর এবং মনোমুগ্ধকর। সিলেট ভ্রমণে এসে জাফলং ভ্রমণ করতে না গেলে ভ্রমণের স্বাদ অপূর্নই থেকে যাবে।
জাফলং ভ্রমণ এর অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে পিয়াইন নদী, যা উপত্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নফীর অয়ানিতে প্রতিফিলিত হয় আশেপাশের উচু উচু পাহাড়গুলো। সেখানে নৌকাভ্রমণ করা টাই মূল আকর্ষন। সেখানে রয়েছে অনন্য সব পাথর, যা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আসেপাশে থাকা পাহাড়ের চলমান ক্ষয়ের ফলেই আজকের এই ছোট ছোট পাহাড়গুলো তৈরি। এর মধ্যে কিছু পাথর এত বড় যে সেগুলোর ওজন কয়েকটক টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই হাজারো পাথরগুলো কাছ থেকে দেখা, পানি প্রবাহের মধ্য দিয়ে সেই পাথরে বসার স্বাদ নিতে চায় সকল পর্যটকরা।
জাফলং ভ্রমণ এর উপযুক্ত সময়
জাফলং ভ্রমণে দর্শনার্থীরা বেশিরভাগই বেশে নেয় বর্ষাকালকে। তবে আপনি চাইলে যেকোন সময়েই যেতে পারেন জাফলং ভ্রমণ করতে। জাফলং এর সৌন্দর্য ভিন্ন মৌসমে ভিন্ন রূপ ধারন করে। বর্ষায় জাফলং কে দেখা যায় ভিন্ন লাবন্যময় রূপে। পরিবেশ যেন নতুন করে প্রান ফিরে পায়, হয়ে উঠে স্বচ্ছ। স্নিগদগ্ধ সেই পরিবেশ মনের মাঝে অনুভূত হয় ফুরফুরে ভাব। পাশের খাসিয়া পাহাড়ের চূড়ায় সবুজ রঙের পাশ দিয়েই বিচরন করে সাদা মেঘ। হঠাৎ করেই যখন তখন শুরু হয় অঝোরধারায় পাহাড়ি বৃষ্ট সেই সাথে সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসে
জাফলং ভ্রমণ এর জন্য ঢাকা থেকে সবচেয়ে দ্রুত সিলেট যেতে পারবেন আকাশ পথে ভ্রমণের মাধ্যমে।
সিলেটের মূল শহর থেকে জাফলংয়ের দূরত্ব প্রায় ৬২ কিলোমিটার। সেখান থেকে জাফলং যেতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লাগে। বাস, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজিতে করে যেতে পারবেন জাফলং ভ্রমণ করতে। সেখানে কদমতলী থেকে জাফলং যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। জনপ্রতি লোকাল বাস ভাড়া ৭০ টাকা এবং বিরতিহীন গেইট লক বাস ভাড়া ১০০ টাকা। এছাড়াও সিলেট শহরের সোবহানীঘাট থেকেও বাসে যেতে পারবেন জাফলং।
রির্জাভ গাড়িতে জাফলং ভ্রমণ করতে যেতে পারবেন বন্দরবাজার শিশু পার্কের সামনে থেকে সিএনজি, লেগুনা কিংবা মাইক্রোবাসে। সিলেটের প্রায় সব জায়গা থেকেই রিজার্ভ গাড়ি পেয়ে যাবেন জাফলং যাওয়ার জন্য। জাফলং যাওয়া আসার জন্য রিজার্ভ সিএনজি ভাড়া ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, লেগুনা ভাড়া ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা, মাইক্রোবাস ভাড়া রিজার্ভ ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত।
জাফলংয়ে থাকার ব্যবস্থা
জাফলং এর জেলা পরিষদের বাংলো ছাড়া তেমন কোনো ভালো থাকার জায়গা নেই। তাই জাফলং ভ্রমণ কারী পর্যটকেরা বেশিরভাগই রাত্রিযাপনের জন্য সিলেটে ফিরে আসেন। আপনি যদি জাফলংয়েই থাকতে চান তাহলে মামার বাজার এলাকায় জাফলং ইন হোটেল, হোটেল প্যারিস ও আরো কিছু রেস্ট হাউজ পাবেন। এছাড়াও জৈন্তিয়া হিল রিসোর্ট থেকে জাফলং এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
জাফলং ভ্রমণ এ খাবারের জন্য পাবেন জাফলং পর্যটক রেস্টুরেন্ট, জাফলং ভিউ রেস্টুরেন্ট, সীমান্ত ভিউ রেস্টুরেন্ট এছাড়াও বিভিন্ন সাধারণ হোটেল। তবে জাফলং রেস্টুরেন্টের পরিমাণ কম হওয়ায় খাবারের মূল্য
জাফলং এর পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
প্রকৃতির রূপসোভার স্থান জাফলং ভ্রমণ এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু ভ্রমণ উপযোগী ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন- লালাখাল, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর, তামাবিল, জৈন্তাপুর, সংগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা বা মায়াবী ঝরনা, রাতারগুল, শাপলা বিল ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান। চলুন সেই স্থানগুলোর ভ্রমণ ধারনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
লালাখাল
সিলেটের নীল নদ-লালাখাল
লালাখাল জাফলং ভ্রমণ কারীদের জন্ সিলেটের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। এটি স্ফটিক-স্বচ্ছ নীল পানি এবং শ্বাসরুদ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। চারপাশের পাহাড় গুলো সবুজ গাছে আচ্ছাদিত, ঘূর্ণায়মান নদী এবং এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এটিকে প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য অবশ্যই দর্শনীয় গন্তব্য করে তুলেছে।
লালাখালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এর গভীর নীল পানি এবং সবুজ পাহাড়ের মধ্যে রঙের ভিন্নতা। লালাখালের পানি এতটাই স্বচ্ছ যে নদীর তলদেশে থাকা পাথর ও নুড়ি দেখা যায় সহজেই।

Комментарии

Информация по комментариям в разработке