Скачать или смотреть খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে খোকসা বিএনপির বিশাল গাড়িবহর, নেতৃত্বে সৈয়দ আমজাদ আলী

১৭ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও গণমানুষের প্রিয় নেতা জনাব সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর পক্ষ থেকে খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে খোকসা উপজেলা থেকে এক বিশাল গাড়িবহর রবিবার সকাল ৭ টায় রওনা হয়।

খোকসা উপজেলা বিএনপির সাবেক, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও পৌর শাখার নেতাকর্মীরা খোকসা বাসস্ট্যান্ডে একত্রিত হন। দৃপ্ত কণ্ঠে এক বুক ভালোবাসা নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করেন। এই ঐতিহাসিক বহরের নেতৃত্ব দেন খোকসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব সৈয়দ আমজাদ আলী।
তার নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের মাঝে ছিলো এক অদম্য উদ্দীপনা, লক্ষ্য একটাই—প্রিয় নেতা জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা ও আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে খুলনা বিভাগীয় সমাবেশকে সফল করা।

গাড়িবহর যখন জাতীয় মহাসড়ক পাড়ি দিচ্ছিল, তখন অনেক সাবেক যুবদল, ছাত্রদল ও পৌর শাখার নেতাকর্মীদের চোখে পড়ে এই ব্যতিক্রমধর্মী দৃশ্য। সবার মুখে প্রশংসার ধারা, এ যেন এক বিজয় অভিযাত্রা। দুর্যোগ-দুশ্চিন্তা কিংবা ক্লান্তি—কিছুই তাদের মনোবল ভাঙতে পারেনি, কারণ তাদের সামনে ছিল একটাই লক্ষ্য—বিএনপির নেতৃত্বে একটি সুশৃঙ্খল, শক্তিশালী ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।

দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে গাড়িবহর কিছুক্ষণ বিরতি নেয়। খোকসা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হয়, এরপর সবাই আবার উদ্দীপ্ত চিত্তে রওনা দেন সমাবেশ অভিমুখে।

খুলনা শহরের কাছাকাছি পৌঁছালে গাড়ি থেকে নামতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। দলে দলে স্লোগানে মুখরিত হয় পরিবেশ— "তারেক রহমানের নির্দেশ মানি, আন্দোলনে রাজপথ দখল করি" ইত্যাদি স্লোগানে গর্জে ওঠে আকাশ। এ সময় যোগ দেন খোকসা বিএনপির সিনিয়র আহ্বায়ক মোঃ আনিসুজ্জামানসহ হাজারো নেতাকর্মী, যাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া।

পরিশেষে, জনাব সৈয়দ আমজাদ আলীর নেতৃত্বে বিশাল মিছিলটি খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

খুলনার মাটিতে বিএনপির তারণ্যের এই মহাসমাবেশ যেন এক নবদিগন্তের সূচনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নেতাকর্মীদের ঐক্য, শৃঙ্খলা ও দৃঢ় প্রত্যয় প্রমাণ করলো, বাংলাদেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, আর সে পরিবর্তনের জন্য তারা প্রস্তুত।